জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন। রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি সাদিয়া আফরিন শিল্পী রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়্যালিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাঁদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’
সবশেষে বাবা-মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া। এর বাইরে নতুন কিছু বলার নেই। যেভাবে ছিলাম, সেভাবেই আছি, এভাবেই থাকব।’
তিনজনের প্রত্যেককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। তিনজন পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁদের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এই হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব ছিল। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়।
পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডাকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করার পর গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ধার্য করেন। সেদিন জামিনে থাকা ও কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরোজ শিল্পী জানান।
পরে ফেসবুক পোস্টটি লামিয়া ডিলিট করে দেন। আইডিতে পোস্টটি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমি কারও সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইনি। তাও একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হওয়ার পর সবার উদ্দেশে ফেসবুকে আমি আমার প্রতিক্রিয়াটি শেয়ার করি। কিন্তু এরপর আরও বেশি মানুষ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া শুরু করে। এরপর আমি এটি ডিলিট করে দিই।’
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন। রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি সাদিয়া আফরিন শিল্পী রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়্যালিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাঁদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’
সবশেষে বাবা-মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া। এর বাইরে নতুন কিছু বলার নেই। যেভাবে ছিলাম, সেভাবেই আছি, এভাবেই থাকব।’
তিনজনের প্রত্যেককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। তিনজন পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁদের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এই হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব ছিল। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়।
পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডাকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করার পর গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ধার্য করেন। সেদিন জামিনে থাকা ও কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরোজ শিল্পী জানান।
পরে ফেসবুক পোস্টটি লামিয়া ডিলিট করে দেন। আইডিতে পোস্টটি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমি কারও সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইনি। তাও একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হওয়ার পর সবার উদ্দেশে ফেসবুকে আমি আমার প্রতিক্রিয়াটি শেয়ার করি। কিন্তু এরপর আরও বেশি মানুষ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া শুরু করে। এরপর আমি এটি ডিলিট করে দিই।’
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
২ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
২ ঘণ্টা আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
২ ঘণ্টা আগে