Ajker Patrika

জায়গা পুরোপুরি ছেড়ে দিলে দখলও হয়ে যেতে পারে

খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ১৫
জায়গা পুরোপুরি ছেড়ে দিলে দখলও হয়ে যেতে পারে

কলকাতার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ঢাকায় এসেছেন। উপলক্ষ্য—নতুন সিনেমার মুক্তি। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভারতে একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’। এতে ঋত্বিকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অপি করিম। সিনেমাটি নিয়ে ঋত্বিক চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় আপনার যুক্ত হওয়ার গল্পটা কেমন?
এর আগে কবিদার (পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী) দুটো কাজ করেছি— ‘ফড়িং’ ও ‘ভালোবাসার শহর’। ‘মায়ার জঞ্জাল’ তাঁর সঙ্গে তৃতীয় কাজ। কবিদা একদিন আমাকে ফোনে বলেন, এ রকম একটা ছবি করতে চাইছি। তারপর স্ক্রিপ্ট শুনি। আমি সব সময়ই কবিদার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, ফলে মায়ার জঞ্জালের জন্য এক পায়ে খাঁড়াই ছিলাম বলা যায়।

এ সিনেমায় আপনার চরিত্রের নাম ‘চাঁদু’। চরিত্রটি নিয়ে যদি কিছু বলেন…
চাঁদু একটা প্লাষ্টিক কারখানায় চাকরি করতো, সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। সে এখন একটা এটিএম বুথের গার্ড। রাত্তিরে মদটদ খেয়ে এসিতে ঘুমায়। মানুষের ছোটখাটো আশা আকাঙ্ক্ষা যেমন থাকে, তারও আছে। ছেলে একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ুক বা টেলিভিশনে যে ধরনের ট্যালেন্ট শো হয় গানের, সে রকম একটা জায়গায় যাক। ফলে চাঁদু তার ছেলেকে গানও শেখায়। সে চায় কোথাও একটু বেড়াতে যাওয়া হোক। এই যে ছোট ছোট চাওয়া, সেগুলো অ্যাচিভ করতে গিয়ে চাঁদু যা যা করে, সেটাই গল্প। আমাদের পাশাপাশি সোহেল মণ্ডলের যে গল্প, সেটাতেও আমরা দেখি, ভালোবাসা, ঘৃণা, ভালো করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলা, এসব অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে থাকে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি গল্প থেকে ‘মায়ার জঞ্জাল’ তৈরি হয়েছে (বিষাক্ত প্রেম ও সুবালা)। গল্পগুলো লেখা হয়েছে পঞ্চাশের দশকে। তখন সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, মানুষের অর্থনৈতিক সংকট প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। তো ওই সময়ের জীবনযাপনের যে সংকট, সেটা কি এ সময়ে এসে বদলেছে?
মূল ক্রাইসিসগুলো পাল্টায়নি। ক্রাইসিসের চেহারাগুলো হয়তো এক রকমভাবে বদলে গেছে। সময়, সমাজ, মানুষের আদর্শ—সে সবও অনেকটা বদলেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ও রকম পঞ্চাশের দশকের দুটো গল্প, ২০১৯-এ এসে (ঋত্বিক সংশোধন করে নিলেন, ২০১৯ নয়, ২০১৮) ছবিটা যখন তৈরি হয়েছে, তখন একটা ভালো ছবির ক্ষেত্রে যা হয়, যে বহমান সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সময়ের চিহ্ন ছবিতে থেকে যায়। সেটা ভীষণমাত্রায় ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ আছে। ছবির প্রতিটা মানুষ, তাদের ক্রাইসিস, সেগুলো আমাদের অচেনা নয়।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পের ক্রাইসিসের চেহারাটা আলাদা ছিল, কিন্তু সেটা যখন মানুষের ওপরে এসে পড়ে, তখন ব্যাপারটা এক। সব দেশের মানুষ, সব ভাষার মানুষ অর্থনৈতিক চাপে পড়ে গেলে, প্রায় এ রকমই বিহ্যাব করে সর্বত্র। এ বিষয়গুলো ছবিটা করার আগে আমাদের মাথায় ছিল। কাজটা শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হয়েছে, এই সমস্যা পৃথিবীর সব জায়গায়ই আছে। ফলে বিষয়টা গ্লোবাল হয়ে উঠেছে। এটা রিলেট করার জন্য আলাদা করে বাঙালি হতে হবে, তা নয়।

ঋত্বিক চক্রবর্তীযখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠির গল্প নিয়ে এ ধরনের কোনো সিনেমা তৈরি হয়, সেটা হয়তো অনেকেই দেখেন। কিন্তু যাঁদের নিয়ে বানানো হয়েছে, তাঁদের কাছে অনেক সময়ই কাজটা পৌঁছায় না। এটা নিয়ে আপনার কিছু বলার আছে কিনা?
এটা সত্যি। যাঁদের গল্প বলা হচ্ছে, সব সময় হয়তো তাঁরা দর্শক হয়ে ওঠেন না। কিন্তু এই ছবিটা (মায়ার জঞ্জাল) যাদের গল্প বলছে, ছবিটা তাদের কাছে পৌঁছুবে, কিন্তু তারা দেখতে পারবেন কিনা জানি না। তবে এ সিনেমার যে ভাষা, সেটা খুবই শুদ্ধ সিনেমার ভাষা। এটা সেই অর্থে তথাকথিত কমার্শিয়াল ছবি নয়, ফলে ভীষণ আমোদ হবে, ঠিক সেটা নয়। তবে প্রান্তিক দর্শক দেখবেন না, বা দেখলে বুঝতে পারবেন না—সে কথা বলার জায়গাটা একেবারেই নেই।

অপি করিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
দুর্দান্ত এক্সপেরিয়েন্স। অপি খুবই উঁচুমানের একজন অভিনেতা। শুধু নিজের কাজ করেই তো একজন অভিনেতার কাজ শেষ হয়ে যায় না, সহ-অভিনেতার জন্যও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। এ সিনেমায় অপি আমার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাঁর চরিত্রের নাম সোমা। সহ-অভিনেতা হিসেবে তাঁর কাছ থেকে অনেক হেল্প পেয়েছি। আমি তো মুগ্ধ অপির কাজ দেখে! 

জয়া আহসান ও অপি করিম—বাংলাদেশের দুই অভিনেত্রীর সঙ্গেই আপনি কাজ করলেন। তাঁদেরকে নিয়ে যদি কিছু বলেন…
খুব যে কমপেরয়ার করতে পারব, তা নয়। দুজনই ভীষণ গুণী অভিনেত্রী। জয়ার সঙ্গে কাজ একটু বেশি করেছি। ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর পরিচালক ছবিতে আমাদেরকে এত ডুবিয়ে রেখেছিলেন যে, আলাদা করে কো-অ্যাক্টর কী করছে, সেটা বিচার করার সুযোগ কম। কবিদা সেটে খুব একটা কথা বলেন না। খুব ইন্সট্রাকশন দিতে থাকেন, তাও নয়। কথাবার্তা যা হওয়ার শুটিংয়ের আগে হয়। রিহার্সেলের মতোন হয়। অপিসহ আমরা কয়েকবার বসেছি। সে আলাপ শুধু যে স্ক্রিপ্টের মধ্য কেন্দ্রীভূত হয়ে থেকেছে, তা নয়। তার বাইরেও চলে গেছে আলোচনা। আলাদাভাবেও স্ক্রিপ্ট পড়েছি, আবার অপির সাথে বসেও স্ক্রিপ্ট পড়েছি। ফলে একটা যে তালমিল, সেটা শুটিংয়ের আগেই হয়ে গিয়েছিল।

বরং জয়ার সাথে যে কাজগুলো আমি আগে করেছি, কবিদার সাথেই করেছিলাম ‘ভালোবাসার শহর’, সেখানে যেহেতু কবিদা এ প্রসেসেই কাজ করেন, ফলে এ প্রসেসের মধ্য দিয়ে গেছি। আবার এমন কাজও করেছি, ‘বিনিসুতোয়’ বলে আমি জয়ার সাথে একটা ছবি করেছি, সেখানে আমরা আগে কখনো রিহার্সেল করিনি। আমরা আলাদাভাবে পরিচালকের সাথে কথা বলেছি। তারপর সেটে এসে মিট করেছি। আমরা যেহেতু ছোট ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা, ফলে সব রকম প্রসেসে কাজ করতে আমরা তৈরি থাকি।

ঋত্বিক চক্রবর্তী

অপিকে কি কলকাতা ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে?
কাজের ব্যস্ততা ছিল। খুব যে অপির সাথে ঘোরা হয়েছিল তা নয়। তবে শুটিংয়ের পর সবাই মিলে মন্দারমনিতে গিয়েছিলাম। সেটা একটা পিকনিকের মতো হয়েছিল। গোটা ইউনিট সবাই একসাথে মজাটজা হয়েছিল।

অপি করিমের কোনো কাজ কি দেখেছেন?
মায়ার জঞ্জালের শুটিংয়ের পরে দেখেছি। ইউটিউবে যেহেতু এখন সবার কাজ অ্যাভেলেবল। দেখেছি।

এর আগেও তো আপনি বাংলাদেশে এসেছিলেন? 
প্রথম এসেছিলাম থিয়েটার করতে ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে। তখন সিনেমায় অভিনয় করতাম না। সেই সময় আমি যে দলে থিয়েটার করতাম, তাদের সাথে এসেছিলাম। তারপর ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর শুটিং করতে এসেছিলাম, দিন পাঁচ-ছয়েকের মতো ছিলাম।

বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব নিশ্চয়ই পেয়েছেন?
বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু এখনো নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। তবে অবশ্যই কাজ করতে চাই। আজকাল ওটিটির দৌলতে আমরা সব রকম কাজ দেখতে পাচ্ছি। আমি সেই ছোটবেলায় ‘বহুব্রীহি’সহ বাংলাদেশের অনেক নাটক দেখেছি। মাঝখানে একটা বড় গ্যাপ ছিল। এখন আবার রেগুলার কাজ দেখতে পাচ্ছি। আশা করা যায়, শিগগিরই করে ফেলব হয়তো। তবে ফাইনাল হয়নি কিছু।

‘মায়ার জঞ্জাল’ যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। যৌথ প্রযোজনার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন? এটা নিয়ে নানা সময়ে নানা রকম নীতিগত পরিবর্তন হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এসেছে…
নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি হলো রাষ্ট্রের ব্যাপার। তার মধ্যে না ঢুকে আমি বলতে পারি, যৌথ প্রযোজনার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। আমরা ভাষাগতভাবে এক তো বটেই, কালচারালিও এক। এ দুই অঞ্চলে প্রচুর গুণী মানুষ ছিলেন ও আছেন, শুধু সিনেমার নয়, পুরো সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেই। এটার একটা আদান প্রদানের প্রয়োজন আছে। এবং তাতে আমাদের লাভ বৈ ক্ষতি নেই। দর্শকের ক্ষেত্রে বুঝতে পারি, যেমন আমার কথা বলি, আমার কাজ এখানকার মানুষ দেখেন, পছন্দ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে আমরা তো বুঝতে পারি, অনেকের সঙ্গে কথাও হয়, সেখান থেকে বুঝতে পারি যে, মানুষ পছন্দ করেন। আমাদের ওখানেও বাংলাদেশের অনেকের কাজ প্রচুর মানুষ দেখছেন। ওটিটির কারণেই বেশি দেখছেন। এটা বাড়লে তো বাংলা ছবিরও ভালো, সব কিছুরই ভালো বলেই মনে হয়।

ঋত্বিক চক্রবর্তী

বলিউডের ছবি নিয়ে কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক ভুগতে হয়। বাংলাদেশেও বলিউডের সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তো আপনার অভিজ্ঞতা থেকে বলুন, বাংলাদেশে বলিউডের সিনেমা এলে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
এটা ঠিক যে, বলিউড একটা বিরাট শক্তিধর ব্যাপার। খুবই জোর তার। সম্প্রতি আমাদের বাংলা ছবিকে হল থেকে চলে যেতে হয়েছে ‘পাঠান’-এর কারণে। কারণ ওদের প্রাথমিক শর্তই ছিল যে, সিঙ্গেল স্ক্রিনের সব শো পাঠানের চাই। স্বাভাবিকভাবেই এক্সিবিউটররা চাইবে পাঠান চালাতে। সেটাও কোনো একভাবে ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো, কারণ এক্সিবিটররা ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কেউ নন। তারা লাভবান হলেও এক ধরনের লাভ হয়। সব ছবি প্রচুর পয়সা দিতে পারে না। পাঠান দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ইনিশিয়ালি একটা বিরাট পয়সা দিয়ে দেবে। সেটাকেও উপেক্ষা করা যায় না। পাশাপাশি এটাও ঠিক, আমরা যারা ছোট ইন্ডাস্ট্রি, তাদের নিজেদের সংরক্ষণের কথা নিজেদেরকেই ভাবতে হবে। কারণ জায়গা পুরোপুরি ছেড়ে দিলে দখলও হয়ে যেতে পারে। অতএব নিজেদের জায়গাটা রেখেই যা করার করতে হবে।

গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে মসলাদার বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা অনেকটাই কোণঠাসা। তার বদলে দর্শক বরং কিছুটা ভিন্ন ধারার কাজ বেশি দেখছেন। এ বিষয়টি নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
হয়তো এখন ওইভাবে কমার্শিয়াল ছবি চলছে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির একজন ইনসাইডার হিসেবে আমি মনে করি, কমার্শিয়াল ছবি বাঁচিয়েও রাখে ইন্ডাস্ট্রিকে। আমি নাচগানের ছবি করি না মানে এই নয় যে, আমি সেটা চাই না। বরং আমি চাই, নাচগানের ছবি হোক এবং সেটা মানুষ হুড়মুড় করে দেখুক। কারণ ওটা বেশি সংখ্যক মানুষকে ইনভলভ করে, ইন্ডাস্ট্রির লাভই হয়। তবে মানুষের তো স্বাদ বদলাচ্ছে। দেখাটা তো ভীষণ বেড়ে গেছে। আমরা এত কিছু দেখছি, আমাদের ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সটা বদলে গেছে। আমরা অডিও ভিজ্যুয়াল এভাবে দেখতাম না, এখন যেভাবে দেখি। ফলে দেখার ব্যাপারে মানুষ বেছে নিচ্ছেন বেশি। আগে যেমন কিছু পেলেই দেখতেন, এখন সেটা একটু কমে গেছে।

এ বিষয়ে একটা সম্পূরক প্রশ্ন আছে, এই যে আমরা সারাক্ষণ অনেক কিছু দেখছি। ফেসবুক ইন্সটার রিলস থেকে শুরু করে সিরিজ-সিনেমা। এই এত কিছুর ভিড়ে ভালো কনটেন্টের প্রতি মুগ্ধতা কীভাবে বজায় থাকবে?
বজায় খুব একটা থাকছে না। একটু তো অসুবিধে করছেই। কেননা, সত্যিই এটা মানবজাতিরই এক্সপেরিয়েন্সে ছিল না। ফলে এতটা দেখার একটা প্রভাব আছেই। ছোটদের মধ্যে তো ভয়ংকর প্রভাব। যারা বড় হচ্ছে এই সময়টায়, তারা এত বেশি অডিও ভিজ্যুয়াল দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে যে, সেটা স্বাভাবিকও নয় খুব একটা। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যক্তির কিছু দায়িত্ব আছে। এত ইমেজের ভিড়, তাহলে আমি কি এই ইমেজের ভেতরে সাঁতার কাটব, নাকি বেছে বেছে দেখব?

সেটা বোধহয় ব্যক্তির দায়িত্ব। এখন কেউ যদি আনন্দ পায় অত কিছু দেখতে, সে দেখতেই পারে, কিন্তু আমার মনে হয় এই সমস্যাটার মধ্যে সে পড়বে। নব্বইয়ের দশকে দেখা ছবি ফ্রেম টু ফ্রেম মনে আছে, অথচ এক বছর আগে যে ছবিটা দেখেছি, তার অত মনে নেই। তারপর এত কিছু দেখে নিয়েছি! একটা মিডিয়াম এসেছে, এবং এমনই একটা মিডিয়াম যেটাকে পুরোটা আমরা বুঝেও উঠতে পারিনি। তার শক্তিটা যে কত বড়, তা বুঝে ওঠা যায়নি এখনো। তো আমার মনে হয় ব্যক্তির দায়িত্ব আছে, সে কীভাবে এই পরিস্থিতির সঙ্গে রিয়্যাক্ট করবে।

ঋত্বিক চক্রবর্তীমঞ্চে বোধহয় অনেকদিন কাজ করেননি…
বহুদিন করিনি।

মঞ্চকে কি পুরোপুরি বিদায়?
আমি হার্ডকোর মঞ্চের মানুষ নইও। মঞ্চ করেছি, কিন্তু খুব সিরিয়াস থিয়েটার সারাজীবন ধরে করে গেছি ও রকম নই। মঞ্চ করতে চাই। এখন কাজের যে রকম ব্যস্ততা, তাতে খুব একটা সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই।

বেশ আগে আপনার একটা শর্টফিল্ম দেখেছিলাম ‘বিশ্বাস নাও করতে পারেন’ এ নামে। শ্যামল নামের এক যুবক…
সে সেলিম হয়ে যায় সকালে উঠে।

হ্যাঁ, সবাই মিলে তাকে সেলিম বানিয়ে দেয়। এবং সে একটা আত্মপরিচয়ের সংকটে পড়ে। এই ধরনের কাজ, সেগুলো অনেকটা অগোছালো, আয়োজনে ছোট, কিন্তু অনবদ্য নির্মাণ। এমন কাজের প্রস্তাব কি এখন আপনার কাছে আসে?
আমি এ ধরনের কাজ এত করেছি, বহু পরিচালক এখনো ওই ধরনের কাজ করলে আমাকে জানায়। এ রকম একটা কাজ করতে চাইছি, আপনার সময় আছে কিনা! আমিও মানসিকভাবে এই পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে থাকতে চাই। থাকতে ভালোবাসি। এবং আমি এটার মধ্য থেকেই হয়ে উঠেছি। এ ধরনের কাজ করতে করতেই মানুষ আমাকে চিনেছে। ফলে অবশ্যই এটা আমার মধ্যে থাকে এবং আমি করতেও চাই। কিন্তু এখন কাজও বেড়েছে, দায়দায়িত্বও বেড়ে গেছে। ফলে সব সময় করে উঠতে পারি না। কিন্তু এই পুরো আইডিয়াটার সঙ্গেই আছি। চাই যে, এ রকম কাজ হোক।

বাংলাদেশে কি আপনার কোনো পূর্বপুরুষ আছে?
তিন জেনারেশন আগেই দাদুদা চাকরির কারণে চলে গিয়েছিলেন কলকাতায়। দেশভাগের আগেই। ফলে আত্মীয়-স্বজন সেভাবে এখানে এখন নেই। কিন্তু আত্মীয়ের আত্মীয়, পরিচিতর আত্মীয়—এমন অনেকেই আছেন বাংলাদেশে।

টালিউডে আপনার সহকর্মীরা অনেকেই সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন। আপনি কি কখনো রাজনীতিতে…
(তীব্র কাঁধ ঝাঁকিয়ে) না না না।

আপনার রাজনৈতিক দর্শনটা কী?
সাধারণ মানুষের ভালো হওয়া। গরীবের ক্ষতি না হওয়া—খুব সামান্য চাওয়া আমার।

এমন কোনো চরিত্র আছে, যেটা করতে চান অথচ এখনো করা হয়ে ওঠেনি?
সত্যি কথা বলতে কী, এই যে করতে চাওয়াটা, এটা আমার আগে ছিল। যখন অভিনয় করতাম না। অভিনয় যখন করতে শুরু করেছি, চরিত্র সংক্রান্ত কোনো এক্সপেকটেশন আমি নিজের মধ্যে রাখিনি। রাখিনি বলব না, ওটা আমার নেই। যে চরিত্রটা আসবে, সেটা করব। এই চরিত্রটা করলে ভালো, ওই চরিত্রটা করলে ভালো; এমন করতে গেলে প্রডিউস করতে হয়। অভিনেতা হয়ে থাকলে হয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এফডিসিতে মিউজিক স্কুল করতে চান আসিফ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪২
আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত
আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

গান ও ক্রিকেট নিয়ে আসিফ আকবরের ব্যস্ততা এখন দ্বিগুণ। কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে টানা দুই মাসের সংগীত সফর শেষ করে ফিরেছেন দেশে। ফিরেই ছুটে গেছেন ক্রিকেট মাঠের দায়িত্ব পালনে। এর মাঝেই আসিফ জানালেন, নতুন সংগীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক স্কুল চালু করতে চান তিনি।

তেজগাঁওয়ে নির্মাণাধীন বিএফডিসি কমপ্লেক্সে মিউজিক স্কুলটি করতে চান আসিফ। স্কুলটি গড়ে তুলতে চান যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিক স্কুলের আদলে। তাই এবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকার সময় বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছেন তিনি। সেই স্কুলগুলোর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নিয়ে এসেছেন। আসিফ আকবর বলেন, ‘আমি সব সময় নতুন শিল্পীদের সঙ্গে গান করেছি। তরুণদের নিয়ে চলাই আমার অভ্যাস। আমাদের দেশে অসংখ্য মেধাবী ছেলে-মেয়ে আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা ভালো কাজ করতে পারছে না। যারা গান শিখতে চায়, তাদের জন্য দেশে ভালো মানের, বিশ্বমানের মিউজিক স্কুল নেই। তাই এফডিসিতে যে নতুন কমপ্লেক্স হচ্ছে, সেখানে একটা মিউজিক স্কুল চালু করার ইচ্ছা আছে। আগে থেকে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এবার আমেরিকা ট্যুরে গিয়ে বিভিন্ন মিউজিক স্কুলের ছবি-ভিডিও নিয়ে এসেছি। সেসব স্কুলের আদলে গড়ে তুলব এই স্কুল। বহু কিছুতে গ্যাপ আছে আমাদের, সেসব ফিলআপ করার সময় এসেছে। একসময় ক্রিকেট খেলতাম, ক্রিকেট নিয়ে নতুন দায়িত্ব কাঁধে এসেছে। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আমার যে প্রাপ্তি, সেখান থেকে একধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে, সেই দায়বদ্ধতাও ঠিকভাবে ফুলফিল করতে চাই। তাই নতুনদের নিয়ে আমার এই পরিকল্পনা।’

ক্রিকেটেও আসিফ কাজ করবেন তরুণদের নিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। যেখান থেকে উঠে আসবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ কান্ডারি। ইতিমধ্যে বোর্ডে নিজের কর্মপরিকল্পনা জমা দিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বের পাশাপাশি গানটাও সমানতালে চালিয়ে যেতে চান আসিফ। ১৪ নভেম্বর কনসার্ট করতে যাবেন সৌদি আরব। এ ছাড়া বেশ কিছু নতুন গানের কাজও রয়েছে তাঁর। আসিফ বলেন, ‘প্রায় ১০টা গানের কাজ জমে আছে। দেশের বাইরে থাকায় করা হয়নি। প্রায় দুই মাসের সংগীত সফর শেষে দেশে ফিরেছি। এখন আবার ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ততা থাকবেই, সব নিয়েই তো এগিয়ে যেতে হবে। এসবের ফাঁকে গানগুলো করব। তা ছাড়া আগের মতো সব চ্যানেল-কোম্পানির গান করি না। ভালো কথা-সুর হলে নিজেই প্রযোজনা করি। নিজের জন্য, ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য, ভালো গান করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তটিনীর অপেক্ষা ফুরাল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৭
তানজিম সাইয়ারা তটিনী।	ছবি: সংগৃহীত
তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ছবি: সংগৃহীত

ছোট পর্দার পরিচিত মুখ তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ওটিটিতেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০২০ সালে ওয়েব সিরিজ ‘তকদীর’ ও ২০২২ সালে ‘এই মুহূর্তে’ নামের অ্যান্থলজি সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। এরপর আর কোনো ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করা হয়নি তটিনীর। নাটক নিয়েই ছিল ব্যস্ততা। বিরতি কাটিয়ে আবার ওটিটিতে ফিরছেন এই অভিনেত্রী। ৬ নভেম্বর চরকিতে মুক্তি পাবে তটিনী অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘তোমার জন্য মন’।

তোমার জন্য মন বানিয়েছেন শিহাব শাহীন। এতে তটিনীর সঙ্গে আছেন ইয়াশ রোহান। অনেক নাটকেই একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তাঁরা। এবার জুটি বেঁধেছেন ওটিটিতে। গল্পে দেখা যাবে, দুই শহরের দুজন মানুষ একই সময়ে কক্সবাজার যায়। সেখানে তাদের পরিচয় হয়। তারপর একটা ভুল-বোঝাবুঝি থেকে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে তটিনী বলেন, ‘এটি রোমান্টিক জনরার একটি গল্প। শেষ দিকে দারুণ টুইস্ট আছে। এই গল্পের মূল মোটিভ হলো, মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যই সব নয়, ভেতরের সৌন্দর্যই আসল।’

ওটিটিতে দীর্ঘদিনের বিরতির কারণ জানতে চাইলে অভিনেত্রী জানান, একটা ভালো গল্প আর পছন্দের চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তোমার জন্য মন দিয়ে শেষ হলো তটিনীর অপেক্ষা। তটিনী বলেন, ‘ওটিটি দিয়েই আমার ক্যারিয়ার শুরু। নাটকে ব্যস্ত হওয়ার পর ওটিটির অনেক প্রস্তাব এসেছে। সব সময় মনে হতো, ওয়েবে কাজ করলে এমন কোনো গল্প ও চরিত্রে অভিনয় করা উচিত, যেখানে অভিনয়ের সুযোগটা থাকবে। অপেক্ষা করছিলাম তেমন কাজের জন্য।’

তানজিম সাইয়ারা তটিনী।	ছবি: সংগৃহীত
তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ছবি: সংগৃহীত

এ বছর বড় পর্দায়ও দেখা গেছে তটিনীকে। গত মে মাসে মুক্তি পাওয়া ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমায় ছিলেন অতিথি চরিত্রে। শোনা যাচ্ছে, সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন তিনি। সত্যিই কি তাই? জানতে চাইলে তটিনী বলেন, ‘নতুন কোনো সিনেমায় এখন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হইনি। মিথ্যা বলব না, বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। কথাও হয়েছে। কিন্তু কথা বললেই তো সিনেমায় কাজ করা হয়ে গেল না। আমার নিজেরও তো বিশ্বাস করতে হবে, বুঝতে হবে—চরিত্রটি আমি কেন করব? ওই জায়গা থেকে মনে হচ্ছে, আরেকটু সময় অপেক্ষা করা উচিত।’

সিনেমা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানিয়ে তটিনী বলেন, ‘এমন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই, যেখানে নিজের সন্তুষ্টি থাকবে। সিনেমা অনেক বড় বিষয়। অনেক সময় নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। তাই আমার মনে হয়, একটি সিনেমা তখনই করা উচিত, যখন নিজেকে প্রস্তুত মনে হবে, যখন চরিত্রটি মনে রাখার মতো হবে। শুধু করার জন্য সিনেমা করলাম, ছয় মাসের জন্য জনপ্রিয় হলাম, এটা আমি চাই না। নাটকে যেমন নিজের একটা জায়গা তৈরি করছি, সিনেমাতেও যেন নিজস্বতা তৈরি হয়, নিজের একটা জায়গা তৈরি হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জালের সঙ্গে এক মঞ্চে ওয়ারফেজ ও লেভেল ফাইভ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জাল ব্যান্ডের গহর মমতাজ
জাল ব্যান্ডের গহর মমতাজ

আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল। ২৮ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিটের স্বদেশ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সাউন্ড অব সোল’ শিরোনামের কনসার্ট। জাল ব্যান্ডের সঙ্গে এই কনসার্টে পারফর্ম করবে দেশের দুই ব্যান্ড ওয়ারফেজ ও লেভেল ফাইভ। কনসার্টটি আয়োজন করছে স্টেইজ কো।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি হবে মৌসুমের সবচেয়ে বড় ওপেন এয়ার কনসার্ট। যেখানে শ্রোতারা জাল ব্যান্ডের আবেগঘন সুর ও লাইভ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ওয়ারফেজ এবং লেভেল ফাইভের পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ওয়ারফেজ ও লেভেল ফাইভ কনসার্টটি উপভোগ করার জন্য ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ব্যান্ড ওয়ারফেজ বলেছে, ‘অনেক দিন পর ওপেন এয়ার কনসার্টে ওয়ারফেজ। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। স্বদেশ অ্যারেনায় আসুন, উপভোগ করুন সাউন্ড অব সোল, কণ্ঠ মেলান ওয়ারফেজের সঙ্গে।’

ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। অনলাইট টিকিট প্ল্যাটফর্ম গেট সেট রকের ওয়েবসাইটে দুই ক্যাটাগরিতে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯০ টাকা (রেগুলার) ও ২ হাজার ৫০০ টাকা (ভিআইপি)। দর্শকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ৩টায়। কনসার্টের আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। ‘লিজেন্ডস অব দ্য ডেকেড’ শিরোনামের কনসার্টটি প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা অ্যারেনায়। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর শো শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয় আয়োজন।

ওয়ারফেজ
ওয়ারফেজ

পরদিন যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজন করা হয় কনসার্টটি। সেখানেও বাধে বিপত্তি, কনসার্ট শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় আয়োজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আবার শুরু হয় কনসার্ট।

লেভেল ফাইভ। ছবি: সংগৃহীত
লেভেল ফাইভ। ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কিয়ারাই হচ্ছেন পর্দার মীনা কুমারী

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি।
কিয়ারা আদভানি।

বলিউডে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে মীনা কুমারীর বায়োপিক নিয়ে। কে হবেন পর্দার ট্র্যাজেডি কুইন? শোনা যাচ্ছিল কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম। কখনো কৃতি শ্যানন, কখনো কিয়ারা আদভানি, আবার তৃপ্তি দিমরির নামও শোনা গিয়েছিল। অবশেষে চূড়ান্ত হলো সিদ্ধান্ত। সংবাদমাধ্যম মিড-ডে জানিয়েছে, সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা পরিচালিত ‘কামাল অউর মীনা’ সিনেমায় মীনা কুমারী হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি।

মীনা কুমারীর বায়োপিক তৈরির অনুমতি মিলেছে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। ‘পাকিজা’খ্যাত পরিচালক কামাল আমরোহিকে বিয়ে করেছিলেন মীনা। সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই পরস্পরের কাছাকাছি আসেন তাঁরা। গোপনে বিয়ে করেন। তবে সম্পর্কটি শেষ পর্যন্ত সুখের হয়নি। কামাল ও মীনা কুমারীর এই বেদনাবিধুর সম্পর্ক বায়োপিকটির মূল বিষয়। জানা গেছে, আমরোহি পরিবারই উদ্যোগ নিয়ে সিনেমাটি তৈরি করছে।

বিশাল বাজেট ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিকল্পনায় তৈরি হচ্ছে কামাল অউর মীনা সিনেমাটি। নির্মাতাদের দাবি, বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বড় আয়োজনের বায়োপিক হতে চলেছে এটি। নির্মাতারা মনে করছেন, মীনা কুমারীর চরিত্রটির জন্য যে আবেগ, গভীরতা আর আভিজাত্যপূর্ণ রূপ দরকার, তা রয়েছে কিয়ারার মধ্যে। তাঁদের বিশ্বাস, মীনার চরিত্রকে পর্দায় বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারবেন একমাত্র কিয়ারাই। কামাল অউর মীনা হতে চলেছে কিয়ারা অভিনীত প্রথম বায়োপিক। মা হওয়ার পর এ প্রজেক্ট দিয়েই ক্যামেরার সামনে ফিরবেন তিনি। এতে অভিনয়ের জন্য উর্দু শিখবেন কিয়ারা।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগামী বছরের প্রথমার্ধে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। ২০২৬ সালেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা। মীনা কুমারী আর কামাল আমরোহির সম্পর্কের টানাপোড়েন, ভালোবাসা আর বিভেদই এ সিনেমার মূল ভিত্তি। তাই পর্দায় কে হবেন কিয়ারার নায়ক, সেটাই এখন সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়।

মীনা কুমারী
মীনা কুমারী

মীনা কুমারী ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে। কারণ, দুঃখের দৃশ্যে তাঁর অভিনয় ছিল মনে দাগ কাটার মতো। ‘বৈজু বাওরা’, ‘পরিণীতা’, ‘সাহেব বিবি অউর গোলাম’, ‘কাজল’, ‘পাকিজা’সহ ৯০টির বেশি সিনেমায় নিজের অভিনয়প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন মীনা কুমারী। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তির।

মীনা কুমারীর বায়োপিকটি কিয়ারার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, এ চরিত্রে কিয়ারাকে এমন এক নারীকে ফুটিয়ে তুলতে হবে, যাঁর জীবনভর দুঃখ, প্রেম, অপমান, যন্ত্রণা আর নিঃসঙ্গতায় মোড়া ছিল। এই চরিত্রে নির্মল বিষণ্নতা তুলে ধরতে পারলেই কিয়ারা হয়ে উঠবেন ‘নতুন ট্র্যাজেডি কুইন’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

ফখরুলের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত