মো. আশিকুর রহমান
প্রিন্স অব ওয়েলস ডায়ানার স্মরণে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ। চতুর্থ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৪) বাস্তবায়নে মানসম্মত বিজ্ঞানশিক্ষা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছেন শাওন মাহমুদ।
২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে শাওন মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক নেটওয়ার্ক। বিগত ছয় বছরে এটি ১৫ লাখের বেশি বিজ্ঞানপ্রেমীর বৃহৎ অনলাইন সম্প্রদায় হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত তাঁরা গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞানের ওপর প্রায় ২৫ হাজার কনটেন্ট এবং ৩৫০টির বেশি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা করেছেন আড়াই লাখের বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে।
‘প্রজেক্ট প্রাচি’ শাওনের একাধিক উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি। এই প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসায় দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় ২০০ স্কুলশিক্ষার্থীকে ১৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার আগ্রহ বাড়াতে শাওন বিশেষ এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি প্রকাশ করেন নেবুলা নামের একটি ই-ম্যাগাজিন, যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীদের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং কৌতূহল সম্পর্কে প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গণিতের সূত্রের ভেতর নতুন কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া কিংবা খেলার ছলে বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট সম্পন্ন করার মতো বিষয়গুলো ম্যাগাজিনে নাম-ছবিসহ প্রকাশ করা হয়। এই ম্যাগাজিন প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন প্রসঙ্গে শাওন মাহমুদ বলেন, ‘ডায়ানা পুরস্কার আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি প্রাপ্তি। এটি কেবল একটি পুরস্কারই নয়, বরং এরই মধ্যে যে পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, তার অনন্য স্বীকৃতি। পথটা যেহেতু সঠিক, তখন গতি বাড়ানোই হবে প্রথম দায়িত্ব। আমরা বাংলা ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। উদ্দেশ্য, দেশ-বিদেশে কর্মরত বাঙালি গবেষকদের সঙ্গে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের সংযোগ সেতু তৈরি করা। দেশের মেধাবী দেশেই থাকবে—এই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে দেশে অসংখ্য গবেষণাকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান খাত তৈরি করার বিকল্প নেই, যার মূলস্তম্ভ হতে পারে এই পরিকল্পনা।’
বিজ্ঞানপ্রিয়র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক তানভীর ইশরাক বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলা ভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সহজ বিজ্ঞানকে আরও সহজতরভাবে দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল বিজ্ঞানপ্রিয়। এই অভিযাত্রায় আমাদের প্রতিষ্ঠাতার ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন চলার পথকে আরও মসৃণ করবে।’
যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা চার্লসের প্রয়াত স্ত্রী ডায়ানার স্মরণে বিশ্বব্যাপী ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী সংগঠকদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। যারা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজ নিজ সম্প্রদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাদেরই এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছরের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নাম জানানো হয়।
এক অভিনন্দনবার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘শাওন মাহমুদের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের ও সম্মানের। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সম্মাননা তাঁকে বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার, উদ্ভাবনী কাজ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রিন্স অব ওয়েলস ডায়ানার স্মরণে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ। চতুর্থ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৪) বাস্তবায়নে মানসম্মত বিজ্ঞানশিক্ষা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছেন শাওন মাহমুদ।
২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে শাওন মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক নেটওয়ার্ক। বিগত ছয় বছরে এটি ১৫ লাখের বেশি বিজ্ঞানপ্রেমীর বৃহৎ অনলাইন সম্প্রদায় হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত তাঁরা গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞানের ওপর প্রায় ২৫ হাজার কনটেন্ট এবং ৩৫০টির বেশি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা করেছেন আড়াই লাখের বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে।
‘প্রজেক্ট প্রাচি’ শাওনের একাধিক উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি। এই প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসায় দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় ২০০ স্কুলশিক্ষার্থীকে ১৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার আগ্রহ বাড়াতে শাওন বিশেষ এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি প্রকাশ করেন নেবুলা নামের একটি ই-ম্যাগাজিন, যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীদের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং কৌতূহল সম্পর্কে প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গণিতের সূত্রের ভেতর নতুন কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া কিংবা খেলার ছলে বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট সম্পন্ন করার মতো বিষয়গুলো ম্যাগাজিনে নাম-ছবিসহ প্রকাশ করা হয়। এই ম্যাগাজিন প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন প্রসঙ্গে শাওন মাহমুদ বলেন, ‘ডায়ানা পুরস্কার আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি প্রাপ্তি। এটি কেবল একটি পুরস্কারই নয়, বরং এরই মধ্যে যে পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, তার অনন্য স্বীকৃতি। পথটা যেহেতু সঠিক, তখন গতি বাড়ানোই হবে প্রথম দায়িত্ব। আমরা বাংলা ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। উদ্দেশ্য, দেশ-বিদেশে কর্মরত বাঙালি গবেষকদের সঙ্গে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের সংযোগ সেতু তৈরি করা। দেশের মেধাবী দেশেই থাকবে—এই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে দেশে অসংখ্য গবেষণাকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান খাত তৈরি করার বিকল্প নেই, যার মূলস্তম্ভ হতে পারে এই পরিকল্পনা।’
বিজ্ঞানপ্রিয়র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক তানভীর ইশরাক বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলা ভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সহজ বিজ্ঞানকে আরও সহজতরভাবে দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল বিজ্ঞানপ্রিয়। এই অভিযাত্রায় আমাদের প্রতিষ্ঠাতার ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন চলার পথকে আরও মসৃণ করবে।’
যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা চার্লসের প্রয়াত স্ত্রী ডায়ানার স্মরণে বিশ্বব্যাপী ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী সংগঠকদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। যারা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজ নিজ সম্প্রদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাদেরই এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছরের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নাম জানানো হয়।
এক অভিনন্দনবার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘শাওন মাহমুদের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের ও সম্মানের। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সম্মাননা তাঁকে বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার, উদ্ভাবনী কাজ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে।’
ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
৩ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
৫ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
৭ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
১২ ঘণ্টা আগে