মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষকেরা স্কুলের মাঠ পরিষ্কার করাতেন। যেন পরিবেশটা সুন্দর থাকে আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ভালো রাখার সচেতনতা তৈরি হয়। মাঠ পরিষ্কারকারীদের দলে তিনি ছিলেন একজন সদস্য। শিক্ষকদের পরিবেশ ভালো রাখার এই চেষ্টা তাঁর মনে গেঁথে যায়। একটু বড় হয়ে পরিবেশরক্ষার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এতক্ষণ যাঁর গল্প বলা হলো, তিনি জয়ীতা বিশ্বাস ত্রয়ী। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। এতটুকু বয়সে তাঁর কাজের ফিরিস্তি দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে।
ত্রয়ী পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক সাতটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এগুলোর কোনোটাতে তিনি বৈশ্বিক সমন্বয়কারী, কোনোটাতে সিইও, কোনোটার অ্যাম্বাসেডর তো কোনোটার সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি, গ্লোরি ফিউচার ফাউন্ডেশন, বার্জিয়ান বাংলাদেশ, গ্রিন ইউনাইটেড ন্যাশনস ইত্যাদি।
একটি সুন্দর ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে চান বলে ত্রয়ী জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করেন। এত দুর্যোগের খবর শুনতে হয় প্রতিবছর যে তিনি নিজেদের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী হবে, তা ভাবতে শুরু করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ভয়াবহ অবস্থার পেছনে মানুষের হাত আছে বলে পরিবেশ দূষণমুক্ত করা, বেশি বেশি গাছ লাগানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা মানুষেরই দায়িত্ব বলে মনে করেন ত্রয়ী। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্য কেউ করবেন তার অপেক্ষায় না থেকে নিজ উদ্যোগে এসব কাজ সবার করা উচিত। তাতে আরেকজন সে কাজ করতে শিখবে, সচেতন ও উৎসাহিত হবে।
এ বছর ত্রয়ী আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটির (জিএলটিএস) স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত হন। ১০০টির বেশি দেশে এর অঙ্গসংগঠন আছে। এই সংগঠনের হয়ে ত্রয়ী জলবায়ু ও পরিবেশরক্ষা, সচেতনতা তৈরি, সমাজসেবা, ইয়ুথ লিডারশিপ, ইয়ুথ ইকোনমিক ফ্রিডম, মানবাধিকার, ইন্টার ফেইথ হারমনি, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন।
গ্রিন ইউনাইটেড নেশনসের আর্ট ফর আর্ট-২০২৩ প্রোগ্রামের পরিচালনার সঙ্গে ত্রয়ী যুক্ত ছিলেন। ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ কর্তৃক বুড়িগঙ্গা রিভার ফেস্টিভ্যাল ২০২২-এ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে তিনি শিশুদের জীবন, পড়ালেখা, সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে কাজ করেন গ্লোরি ফিউচার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার লিডারশিপ কার্যক্রম এবং নানা সামিট ও প্রোগ্রামে অনলাইনে বা সশরীরে যুক্ত হয়ে কাজ করেন ত্রয়ী।
জলবায়ু নিয়ে সাধারণ নারীরাও কাজ করতে পারেন। সে পথই বাতলে দিলেন ত্রয়ী। বললেন, কেউ সরাসরি কাজ করতে না পারলেও অনলাইনে বিভিন্নভাবে অনেক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু সবার আগে নিজেকে ও নিজের পরিবারের লোকজনকে
সচেতন করতে হবে।
ত্রয়ী পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়েই অন্যান্য কাজ করেছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবকিছুর ভারসাম্য তৈরি করা যায় বলে মনে করেন। কাজের তালিকা তৈরি করে তারপর কাজে নামেন তিনি। পড়াশোনা বাদে যে সময় অন্যরা হেলাফেলা করে কাটায়, সে সময় দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বেচ্ছাসেবা, দেশ বা বিশ্বের বা সামাজিক উন্নয়নকাজ করা যায় বলে মনে করেন তিনি।
এত কাজ করতে গিয়ে ত্রয়ীর ঝুলিতে কিছু পুরস্কারও ধরা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি দেওয়া রাইজিং উইমেন লিডার ২০২১। আছে চেঞ্জমেকারস বেস্ট সাপোর্টিভ লিডার ২০২২, আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে পেয়েছেন গ্লোবাল পিস প্যাসওভার সামিট ২০২২ ইত্যাদি পুরস্কার।
একটি সুন্দর ও সবুজ পৃথিবী গড়তে নিজের কাজের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন ও পরিবেশ সুরক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে চান ত্রয়ী। এটিই তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষকেরা স্কুলের মাঠ পরিষ্কার করাতেন। যেন পরিবেশটা সুন্দর থাকে আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ভালো রাখার সচেতনতা তৈরি হয়। মাঠ পরিষ্কারকারীদের দলে তিনি ছিলেন একজন সদস্য। শিক্ষকদের পরিবেশ ভালো রাখার এই চেষ্টা তাঁর মনে গেঁথে যায়। একটু বড় হয়ে পরিবেশরক্ষার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এতক্ষণ যাঁর গল্প বলা হলো, তিনি জয়ীতা বিশ্বাস ত্রয়ী। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। এতটুকু বয়সে তাঁর কাজের ফিরিস্তি দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে।
ত্রয়ী পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক সাতটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এগুলোর কোনোটাতে তিনি বৈশ্বিক সমন্বয়কারী, কোনোটাতে সিইও, কোনোটার অ্যাম্বাসেডর তো কোনোটার সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি, গ্লোরি ফিউচার ফাউন্ডেশন, বার্জিয়ান বাংলাদেশ, গ্রিন ইউনাইটেড ন্যাশনস ইত্যাদি।
একটি সুন্দর ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে চান বলে ত্রয়ী জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করেন। এত দুর্যোগের খবর শুনতে হয় প্রতিবছর যে তিনি নিজেদের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী হবে, তা ভাবতে শুরু করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ভয়াবহ অবস্থার পেছনে মানুষের হাত আছে বলে পরিবেশ দূষণমুক্ত করা, বেশি বেশি গাছ লাগানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা মানুষেরই দায়িত্ব বলে মনে করেন ত্রয়ী। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্য কেউ করবেন তার অপেক্ষায় না থেকে নিজ উদ্যোগে এসব কাজ সবার করা উচিত। তাতে আরেকজন সে কাজ করতে শিখবে, সচেতন ও উৎসাহিত হবে।
এ বছর ত্রয়ী আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটির (জিএলটিএস) স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত হন। ১০০টির বেশি দেশে এর অঙ্গসংগঠন আছে। এই সংগঠনের হয়ে ত্রয়ী জলবায়ু ও পরিবেশরক্ষা, সচেতনতা তৈরি, সমাজসেবা, ইয়ুথ লিডারশিপ, ইয়ুথ ইকোনমিক ফ্রিডম, মানবাধিকার, ইন্টার ফেইথ হারমনি, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন।
গ্রিন ইউনাইটেড নেশনসের আর্ট ফর আর্ট-২০২৩ প্রোগ্রামের পরিচালনার সঙ্গে ত্রয়ী যুক্ত ছিলেন। ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ কর্তৃক বুড়িগঙ্গা রিভার ফেস্টিভ্যাল ২০২২-এ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে তিনি শিশুদের জীবন, পড়ালেখা, সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে কাজ করেন গ্লোরি ফিউচার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার লিডারশিপ কার্যক্রম এবং নানা সামিট ও প্রোগ্রামে অনলাইনে বা সশরীরে যুক্ত হয়ে কাজ করেন ত্রয়ী।
জলবায়ু নিয়ে সাধারণ নারীরাও কাজ করতে পারেন। সে পথই বাতলে দিলেন ত্রয়ী। বললেন, কেউ সরাসরি কাজ করতে না পারলেও অনলাইনে বিভিন্নভাবে অনেক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু সবার আগে নিজেকে ও নিজের পরিবারের লোকজনকে
সচেতন করতে হবে।
ত্রয়ী পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়েই অন্যান্য কাজ করেছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবকিছুর ভারসাম্য তৈরি করা যায় বলে মনে করেন। কাজের তালিকা তৈরি করে তারপর কাজে নামেন তিনি। পড়াশোনা বাদে যে সময় অন্যরা হেলাফেলা করে কাটায়, সে সময় দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বেচ্ছাসেবা, দেশ বা বিশ্বের বা সামাজিক উন্নয়নকাজ করা যায় বলে মনে করেন তিনি।
এত কাজ করতে গিয়ে ত্রয়ীর ঝুলিতে কিছু পুরস্কারও ধরা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি দেওয়া রাইজিং উইমেন লিডার ২০২১। আছে চেঞ্জমেকারস বেস্ট সাপোর্টিভ লিডার ২০২২, আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে পেয়েছেন গ্লোবাল পিস প্যাসওভার সামিট ২০২২ ইত্যাদি পুরস্কার।
একটি সুন্দর ও সবুজ পৃথিবী গড়তে নিজের কাজের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন ও পরিবেশ সুরক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে চান ত্রয়ী। এটিই তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু পড়াশোনা নয়, এটি স্বপ্ন গড়ে তোলার, লক্ষ্য নির্ধারণের এবং ক্যারিয়ার তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য। তাঁদের মনে এমন পরিকল্পনা থাকতে পারে—আমি কী হব, আমি কী করব, আমি কী করতে চাই এবং...
১৭ ঘণ্টা আগেমনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়েত্তি। বয়স সবে ৯ বছর। এ ছোট্ট বয়সেই রোবট বানিয়ে তাঁর অর্জনের ঝুলিতে পুরেছে গোল্ড মেডেল। শুধু কি তা-ই? সে লিখেছে গল্পের বই, শিখেছে প্রোগ্রামিং!
১৮ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৮ জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫। জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের...
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষাজীবন শুধু পরীক্ষার খাতা ভরাট করার জন্য নয়। এটি আসলে ভবিষ্যৎ-জীবনের প্রস্তুতির সময়। একজন শিক্ষার্থীর বড় কাজ শুধু বই মুখস্থ করা নয়; বরং এমন শেখার কৌশল আয়ত্ত করা, যা দ্রুত, গভীর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে।
১৯ ঘণ্টা আগে