মুসাররাত আবির
কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঘুরে একটি দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ছে। একদল শিক্ষার্থী রংতুলি নিয়ে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকছেন। পাশেই আরেক দল শিক্ষার্থী নিয়ম মেনে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শত শত শিক্ষার্থীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেও দেখা যাচ্ছে। তাঁরা হাতে গ্লাভস পরে ঝাড়ু দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করছেন। আবার অনেকে আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তায় ভরছেন। বিষয়টিকে ভীষণ ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে পুরো দেশে।
মিরপুর ১২ নম্বরে গ্রাফিতির কাজ করছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের একজন হলেন সামিহা সাইয়ারা সাবা। তিনি জানালেন, মানুষ যখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করবেন, তখন যেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কথা জানতে পারেন, তাঁদের কথা দীর্ঘদিন মনে রাখেন, সে জন্য তাঁরা গ্রাফিতি তৈরি করছেন। মিরপুর ১০ নম্বরে মেট্রোরেলের নিষ্প্রাণ পিলারগুলো রংতুলি দিয়ে রাঙিয়ে তুলেছেন ফয়সাল ও তাঁর বন্ধুরা। ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী তাঁরা।
শুধু ছবি এঁকেই নয়, প্রতিবাদী ভাষায় দেয়াল লিখনেও পিছিয়ে ছিলেন না শিক্ষার্থীরা। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যারীন তাসনিম বলেন, ‘এবারের আন্দোলন ও এর পরবর্তী পুরোটা সময়জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি করা হয়েছে। এটি সাধারণত করা হয় দেয়াললিখনের মাধ্যমে নিজেদের দাবিদাওয়াগুলো উপস্থাপন করার জন্য। আমরাও মূলত এ কারণেই গ্রাফিতি করেছি। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্কারের পাশাপাশি নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের কী কী দাবি রয়েছে, সেগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার একটা সহজ ও সুন্দর মাধ্যম এই গ্রাফিতি।’
সেখানকারই আরেকজন শিক্ষার্থী কাজী ওমর যুক্ত ছিলেন রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার কার্যক্রমে। তিনি বলেন, ‘দেশটা তো আমাদেরই, তাই এর দেখভাল-রক্ষণাবেক্ষণের দায়ও আমাদের।’
পথে নামলেই এখন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণরত শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাজী সাজিদ জানান, তিনি যেহেতু সশরীরে আন্দোলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়েছেন। যাতে একটু হলেও আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার দুঃখ লাঘব হয়।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা নওমী। তিনি জানিয়েছেন, সহিংস পরিস্থিতির জেরে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। ফলে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পথে নেমেছেন তাঁরা।
আদিবা নওমী শাড়ি পরে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘শাড়ি পরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ। একটি মেয়ে যেভাবে সালোয়ার-কামিজ পরে সব কাজ করতে পারেন, একইভাবে একই কাজ শাড়ি পরেও করতে পারেন। আমাদের মায়েরা বেশির ভাগ সময় শাড়ি পরেন।’
শুধু ঢাকা শহরেই নয়; চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর, নরসিংদীসহ ঢাকার বাইরের আরও বেশ কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়েছে আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। বোঝা যাচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যৎ দেশ গঠনে এই তরুণসমাজ অনেক অবদান রাখবে। তাদের নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে।
কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঘুরে একটি দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ছে। একদল শিক্ষার্থী রংতুলি নিয়ে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকছেন। পাশেই আরেক দল শিক্ষার্থী নিয়ম মেনে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শত শত শিক্ষার্থীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেও দেখা যাচ্ছে। তাঁরা হাতে গ্লাভস পরে ঝাড়ু দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করছেন। আবার অনেকে আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তায় ভরছেন। বিষয়টিকে ভীষণ ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে পুরো দেশে।
মিরপুর ১২ নম্বরে গ্রাফিতির কাজ করছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের একজন হলেন সামিহা সাইয়ারা সাবা। তিনি জানালেন, মানুষ যখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করবেন, তখন যেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কথা জানতে পারেন, তাঁদের কথা দীর্ঘদিন মনে রাখেন, সে জন্য তাঁরা গ্রাফিতি তৈরি করছেন। মিরপুর ১০ নম্বরে মেট্রোরেলের নিষ্প্রাণ পিলারগুলো রংতুলি দিয়ে রাঙিয়ে তুলেছেন ফয়সাল ও তাঁর বন্ধুরা। ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী তাঁরা।
শুধু ছবি এঁকেই নয়, প্রতিবাদী ভাষায় দেয়াল লিখনেও পিছিয়ে ছিলেন না শিক্ষার্থীরা। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যারীন তাসনিম বলেন, ‘এবারের আন্দোলন ও এর পরবর্তী পুরোটা সময়জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি করা হয়েছে। এটি সাধারণত করা হয় দেয়াললিখনের মাধ্যমে নিজেদের দাবিদাওয়াগুলো উপস্থাপন করার জন্য। আমরাও মূলত এ কারণেই গ্রাফিতি করেছি। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্কারের পাশাপাশি নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের কী কী দাবি রয়েছে, সেগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার একটা সহজ ও সুন্দর মাধ্যম এই গ্রাফিতি।’
সেখানকারই আরেকজন শিক্ষার্থী কাজী ওমর যুক্ত ছিলেন রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার কার্যক্রমে। তিনি বলেন, ‘দেশটা তো আমাদেরই, তাই এর দেখভাল-রক্ষণাবেক্ষণের দায়ও আমাদের।’
পথে নামলেই এখন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণরত শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাজী সাজিদ জানান, তিনি যেহেতু সশরীরে আন্দোলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়েছেন। যাতে একটু হলেও আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার দুঃখ লাঘব হয়।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা নওমী। তিনি জানিয়েছেন, সহিংস পরিস্থিতির জেরে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। ফলে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পথে নেমেছেন তাঁরা।
আদিবা নওমী শাড়ি পরে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘শাড়ি পরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ। একটি মেয়ে যেভাবে সালোয়ার-কামিজ পরে সব কাজ করতে পারেন, একইভাবে একই কাজ শাড়ি পরেও করতে পারেন। আমাদের মায়েরা বেশির ভাগ সময় শাড়ি পরেন।’
শুধু ঢাকা শহরেই নয়; চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর, নরসিংদীসহ ঢাকার বাইরের আরও বেশ কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়েছে আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। বোঝা যাচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যৎ দেশ গঠনে এই তরুণসমাজ অনেক অবদান রাখবে। তাদের নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে।
বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
১ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
১ দিন আগেন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে
১ দিন আগে