Ajker Patrika

ঢাবিতে ১২তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণ

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে ১২তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণ

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ১২তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল মিলনায়তনে জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। 

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বনানী শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তহরুল হক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান অংশগ্রহণকারীদের ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা দেন। বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২২-এর সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত ফেলো, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সারা দেশের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারীরা। 

নবম-দশম (বিদ্যালয় গ্রুপ) ও একাদশ-দ্বাদশ (কলেজ গ্রুপ) শ্রেণির বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২২ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড মেডেল, সনদপত্র ও বিজ্ঞানবিষয়ক বই প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্বে বিজ্ঞানের জয়যাত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা শিখিয়ে গেছেন লড়াই করে জিততে হয়; কন্যা বলেছেন, করোনাকালে লড়ে যেতে হবে ভয় করে জয়। তরুণদের দিকে তাকালে আরও হাজার বছর বাঁচতে ইচ্ছে জাগে। তা না হলে আমরা প্রবীণেরা অনেক আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতাম। মুক্তিযুদ্ধকালে একমাত্র আশা ছিল তরুণ প্রজন্ম। আমরা চলে যাব, আর তরুণেরা সোনার বাংলা গড়ে তুলবে—সেই আশাতেই আমরা বেঁচে আছি।’ 

উল্লেখ্য, এ বছর বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের আটটি বিভাগ থেকে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে নবম-দশম (বিদ্যালয় গ্রুপ) ও একাদশ-দ্বাদশ (কলেজ গ্রুপ) শ্রেণির মোট ৬০ শিক্ষার্থীকে তিন স্তরে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিদ্যালয় গ্রুপ থেকে প্রথম হয়েছেন রংপুর জেলা স্কুলের এস এম মুনতাসির মোস্তাফিজ। আর কলেজ গ্রুপে প্রথম হয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী রিফা তাসনিম সিফাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত