মো. আব্দুল হান্নান
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ ও ভালো আছো। অবশেষে তোমাদের এসএসসি পরীক্ষায় গ্রুপভিত্তিক বিষয়গুলোয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষাপূর্ব প্রস্তুতি ও পরীক্ষার হলে করণীয় সম্পর্কে তোমাদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে মোট ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (মোট ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে), সময় ১৫ মিনিট। এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (মোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে), সময় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। যদিও বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ৩০ মিনিট এবং সৃজনশীল প্রশ্নে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট উল্লেখ থাকবে। আবার সৃজনশীল প্রশ্নে ক বিভাগ (আবশ্যিক) হতে ২টি এবং খ বিভাগ থেকে যেকোনো ৫টি মোট ৭টি উল্লেখ থাকলেও মোট ১১টি প্রশ্ন হতে যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ৩টি করে (ক, খ ও গ) প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। ক-এর জন্য ২ নম্বর, খ-এর জন্য ৪ নম্বর এবং গ-এর জন্য ৪ নম্বর থাকবে।
তোমাদের হয়তো মনে হতে পারে, ১১টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৩টির উত্তর করা খুব সহজ; কিন্তু সহজ ভেবে অবহেলা করা মোটেও উচিত হবে না। যতটুকু সময় হাতে আছে তার পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে যেহেতু গাণিতিক সমস্যা থাকে, তাই এই বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে বা এই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে উল্লিখিত অধ্যায়গুলো বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। কোনো অধ্যায় ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে প্রথমে সেই অধ্যায়ের তাত্ত্বিক আলোচনা (থিয়োরি) মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ, তত্ত্বের মধ্যেই সেই অধ্যায়ের অঙ্কগুলো কোন নিয়মে করতে হবে, তার আলোচনা থাকে। আবার আলোচনার মাঝে মাঝে কিছু উদাহরণ থাকে। দেখা যায়, সেই আলোচনা ও উদাহরণের আলোকে অনুশীলনীর অঙ্কগুলো দেওয়া থাকে। এভাবে অঙ্কের নিয়মগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
বিভিন্ন বোর্ড প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে কোন প্রশ্নগুলো বারবার আসে, সেগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। মূল বই থেকে সরাসরি প্রশ্ন না থাকলেও মূল বইয়ের অনুকরণে প্রশ্ন করা হয়, তাই মূল বইয়ের অঙ্কগুলোর ওপর দক্ষতা থাকা জরুরি। হিসাববিজ্ঞান অঙ্ক করতে হলে কিছু কিছু বিষয় আছে যা মুখস্থ থাকতে হবে। যেমন: ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়ের সূত্র, প্রারম্ভিক ও সমাপনী মূলধন নির্ণয়ের সূত্র, লাভ/ক্ষতি নির্ণয়ের সূত্র, মালিকানাস্বত্ব নির্ণয়ের সূত্র, চালান, ক্যাশমেমো, ডেবিট নোট, ক্রেডিট নোট, ডেবিট ভাউচার, ক্রেডিট ভাউচার ইত্যাদির ছক ভালোভাবে মুখস্থ রাখতে হবে। ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। এসব ভুলে গেলে জানা প্রশ্নের উত্তর ভুল হতে পারে। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল বারবার রিভিশন দিতে হবে।
হিসাববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে যেহেতু গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়, তাই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সব সময়ই হিসাববিজ্ঞান অঙ্ক করতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তারা বহুনির্বাচনী অংশকে গুরুত্ব কম দেয়, যা মোটেও ঠিক নয়। কোনো শিক্ষার্থী যদি বহুনির্বাচনির নির্ধারিত সব কটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে পারে, তাহলে তার জন্য জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সঠিক ও নির্ভুল উত্তর করার জন্য অবশ্যই মূল বই যত্নসহকারে বারবার পড়তে হবে।
মো. আব্দুল হান্নান
সহকারী শিক্ষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ ও ভালো আছো। অবশেষে তোমাদের এসএসসি পরীক্ষায় গ্রুপভিত্তিক বিষয়গুলোয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষাপূর্ব প্রস্তুতি ও পরীক্ষার হলে করণীয় সম্পর্কে তোমাদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে মোট ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (মোট ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে), সময় ১৫ মিনিট। এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (মোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে), সময় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। যদিও বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ৩০ মিনিট এবং সৃজনশীল প্রশ্নে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট উল্লেখ থাকবে। আবার সৃজনশীল প্রশ্নে ক বিভাগ (আবশ্যিক) হতে ২টি এবং খ বিভাগ থেকে যেকোনো ৫টি মোট ৭টি উল্লেখ থাকলেও মোট ১১টি প্রশ্ন হতে যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ৩টি করে (ক, খ ও গ) প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। ক-এর জন্য ২ নম্বর, খ-এর জন্য ৪ নম্বর এবং গ-এর জন্য ৪ নম্বর থাকবে।
তোমাদের হয়তো মনে হতে পারে, ১১টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৩টির উত্তর করা খুব সহজ; কিন্তু সহজ ভেবে অবহেলা করা মোটেও উচিত হবে না। যতটুকু সময় হাতে আছে তার পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে যেহেতু গাণিতিক সমস্যা থাকে, তাই এই বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে বা এই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে উল্লিখিত অধ্যায়গুলো বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। কোনো অধ্যায় ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে প্রথমে সেই অধ্যায়ের তাত্ত্বিক আলোচনা (থিয়োরি) মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ, তত্ত্বের মধ্যেই সেই অধ্যায়ের অঙ্কগুলো কোন নিয়মে করতে হবে, তার আলোচনা থাকে। আবার আলোচনার মাঝে মাঝে কিছু উদাহরণ থাকে। দেখা যায়, সেই আলোচনা ও উদাহরণের আলোকে অনুশীলনীর অঙ্কগুলো দেওয়া থাকে। এভাবে অঙ্কের নিয়মগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
বিভিন্ন বোর্ড প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে কোন প্রশ্নগুলো বারবার আসে, সেগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। মূল বই থেকে সরাসরি প্রশ্ন না থাকলেও মূল বইয়ের অনুকরণে প্রশ্ন করা হয়, তাই মূল বইয়ের অঙ্কগুলোর ওপর দক্ষতা থাকা জরুরি। হিসাববিজ্ঞান অঙ্ক করতে হলে কিছু কিছু বিষয় আছে যা মুখস্থ থাকতে হবে। যেমন: ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়ের সূত্র, প্রারম্ভিক ও সমাপনী মূলধন নির্ণয়ের সূত্র, লাভ/ক্ষতি নির্ণয়ের সূত্র, মালিকানাস্বত্ব নির্ণয়ের সূত্র, চালান, ক্যাশমেমো, ডেবিট নোট, ক্রেডিট নোট, ডেবিট ভাউচার, ক্রেডিট ভাউচার ইত্যাদির ছক ভালোভাবে মুখস্থ রাখতে হবে। ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। এসব ভুলে গেলে জানা প্রশ্নের উত্তর ভুল হতে পারে। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল বারবার রিভিশন দিতে হবে।
হিসাববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে যেহেতু গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়, তাই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সব সময়ই হিসাববিজ্ঞান অঙ্ক করতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তারা বহুনির্বাচনী অংশকে গুরুত্ব কম দেয়, যা মোটেও ঠিক নয়। কোনো শিক্ষার্থী যদি বহুনির্বাচনির নির্ধারিত সব কটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে পারে, তাহলে তার জন্য জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সঠিক ও নির্ভুল উত্তর করার জন্য অবশ্যই মূল বই যত্নসহকারে বারবার পড়তে হবে।
মো. আব্দুল হান্নান
সহকারী শিক্ষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চারটি স্কুলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউমিনিটিসের জন্য সরকারি বাংলা কলেজ এবং স্কুল অব
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
২ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
২ দিন আগে