এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
প্রতিদিন আমরা কেমন জানি ম্যারাথন দৌড়ের মধ্যে আছি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই। তারপর সকালের নাশতা সেরে কর্মস্থল অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাই। আবার বিকেলে বাসায় ফিরি। দিন শেষে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আবার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একই রকম কাজ করি।
শৃঙ্খলিত থাকুন
প্রতিদিন কী কী কাজ করতে হবে, তার একটা তালিকা তৈরি করা উচিত। একে ‘টু ডু লিস্ট’ বলে। এ তালিকায় প্রথম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি রাখতে হবে। তারপর তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর কাজের পাশে নির্দিষ্ট সময়সীমা লিখে রাখতে পারলে ভালো হয়। এভাবে কাজের তালিকা তৈরি করলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সময়মতো করা হয়ে যাবে। তারপর সময় না পেলে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি না করলেও সমস্যা নেই।
নিখুঁত হওয়া বন্ধ করুন
যারা নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করে সব সময়, তারা সুখী হতে পারে না। সর্বদা একটা চাপের মধ্যে থাকে। তারা যে কাজে যায়, সে কাজে খুঁতখুঁতে ভাব তৈরি হয়। তাই সব কাজে নিখুঁত হওয়ার চিন্তাভাবনা থাকলে আজই তা থেকে বেরিয়ে আসুন। যে কাজ করবেন, সে কাজে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করুন। আকাশকুসুম কল্পনা করবেন না। আত্মসমালোচনা করুন। নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পরে কাজে লাগান। তাহলে একসময় নিজেই অবাক হবেন কতটা স্বাধীনভাবে নিজের কাজগুলো করতে পারছেন। তখন আনন্দ লাগবে।
দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলুন
আমাদের অনেক সময় চাপ হয় পাশের মানুষটির জন্য, সহকর্মী, সহপাঠী বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া দ্বন্দ্ব অথবা মনোমালিন্যের জন্য। চাপমুক্ত থাকতে হলে যথাসম্ভব দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। পাশের মানুষ বা সহকর্মীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে তার সঙ্গে নিজ থেকে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে তা সমাধান করুন। অনেকে সুন্দরভাবে কথা না বলে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে চুপচাপ থাকেন। ফলে মানসিক চাপটা আরও বাড়ে।
‘না’ বলতে শিখুন
প্রয়োজনের সময় ‘না’ বলতে জানাটা একটা আর্ট। আমরা অনেকে মানুষকে খুশি করার জন্য না বলা যায় না। ফলে বিভিন্ন বিপত্তিতে পড়ি। তাই প্রয়োজনের সময় ‘না’ বলতে শিখতে হবে। এমনকি আপনার বসও যদি অযথা বেশি কাজ চাপিয়ে দেয়; সে ক্ষেত্রে না বলা শিখতে হবে। কেননা এ রকম অযৌক্তিক বেশি কাজ করতে গেলে মানসিক চাপে থাকবেন। আর মানসিক চাপে থাকলে অসুখী হবেন।
গড়িমসি থেকে বিরত থাকুন অলসতার কারণে আমরা অনেকে কাজের ক্ষেত্রে গড়িমসি করি। আজকের কাজ পরের দিনের জন্য ফেলে রাখি। আজকের কাজ আজই করতে হবে। গড়িমসি, অলসতাকে জীবন থেকে যত মুছে ফেলা যাবে; আমরা তত বেশি চাপমুক্ত থাকব, ভালো থাকব।
নিজের জন্য কিছু সময়
হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় বের করতে হবে। সে সময়টা নিজের হবে। সময়কে উপভোগ করতে হবে। এ সময় পছন্দের বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ভালো লাগার কোনো কাজ করতে পারেন। তাতে মন যেমন সতেজ থাকবে, তেমনি চাপমুক্ত থাকবেন।
খেতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। ঠিক তেমনি চাপমুক্ত থাকতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিমিত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কখনোই শরীর ও মনের জন্য সুফল বয়ে আনে না। যাদের ডায়েট করার প্রয়োজন, তাদের নিয়মিত ডায়েট করা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, চাপমুক্ত জীবন চালান।
পরিমিত ঘুমান
ঘুম আমাদের জীবনের অন্যতম বড় অনুষঙ্গ। পরিমিত ঘুম না হলে আমাদের মন ও দেহঘড়ি—কোনোটিই ঠিকমতো সময় দেবে না। ঘুম কম হলে আমাদের মস্তিষ্কে কম কাজ করে। সারা দিন ঝিমঝিম ভাব থাকে। ফলে অল্পতেই চাপ মনে হয়। চাপমুক্ত থাকতে হলে প্রতিদিন রাতের বেলা নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে আর পরিমিত ঘুম দিতে হবে। পরিণত বয়সে প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ ঘুম।
প্রতিদিন আমরা কেমন জানি ম্যারাথন দৌড়ের মধ্যে আছি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই। তারপর সকালের নাশতা সেরে কর্মস্থল অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাই। আবার বিকেলে বাসায় ফিরি। দিন শেষে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আবার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একই রকম কাজ করি।
শৃঙ্খলিত থাকুন
প্রতিদিন কী কী কাজ করতে হবে, তার একটা তালিকা তৈরি করা উচিত। একে ‘টু ডু লিস্ট’ বলে। এ তালিকায় প্রথম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি রাখতে হবে। তারপর তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর কাজের পাশে নির্দিষ্ট সময়সীমা লিখে রাখতে পারলে ভালো হয়। এভাবে কাজের তালিকা তৈরি করলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সময়মতো করা হয়ে যাবে। তারপর সময় না পেলে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি না করলেও সমস্যা নেই।
নিখুঁত হওয়া বন্ধ করুন
যারা নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করে সব সময়, তারা সুখী হতে পারে না। সর্বদা একটা চাপের মধ্যে থাকে। তারা যে কাজে যায়, সে কাজে খুঁতখুঁতে ভাব তৈরি হয়। তাই সব কাজে নিখুঁত হওয়ার চিন্তাভাবনা থাকলে আজই তা থেকে বেরিয়ে আসুন। যে কাজ করবেন, সে কাজে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করুন। আকাশকুসুম কল্পনা করবেন না। আত্মসমালোচনা করুন। নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পরে কাজে লাগান। তাহলে একসময় নিজেই অবাক হবেন কতটা স্বাধীনভাবে নিজের কাজগুলো করতে পারছেন। তখন আনন্দ লাগবে।
দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলুন
আমাদের অনেক সময় চাপ হয় পাশের মানুষটির জন্য, সহকর্মী, সহপাঠী বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া দ্বন্দ্ব অথবা মনোমালিন্যের জন্য। চাপমুক্ত থাকতে হলে যথাসম্ভব দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। পাশের মানুষ বা সহকর্মীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে তার সঙ্গে নিজ থেকে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে তা সমাধান করুন। অনেকে সুন্দরভাবে কথা না বলে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে চুপচাপ থাকেন। ফলে মানসিক চাপটা আরও বাড়ে।
‘না’ বলতে শিখুন
প্রয়োজনের সময় ‘না’ বলতে জানাটা একটা আর্ট। আমরা অনেকে মানুষকে খুশি করার জন্য না বলা যায় না। ফলে বিভিন্ন বিপত্তিতে পড়ি। তাই প্রয়োজনের সময় ‘না’ বলতে শিখতে হবে। এমনকি আপনার বসও যদি অযথা বেশি কাজ চাপিয়ে দেয়; সে ক্ষেত্রে না বলা শিখতে হবে। কেননা এ রকম অযৌক্তিক বেশি কাজ করতে গেলে মানসিক চাপে থাকবেন। আর মানসিক চাপে থাকলে অসুখী হবেন।
গড়িমসি থেকে বিরত থাকুন অলসতার কারণে আমরা অনেকে কাজের ক্ষেত্রে গড়িমসি করি। আজকের কাজ পরের দিনের জন্য ফেলে রাখি। আজকের কাজ আজই করতে হবে। গড়িমসি, অলসতাকে জীবন থেকে যত মুছে ফেলা যাবে; আমরা তত বেশি চাপমুক্ত থাকব, ভালো থাকব।
নিজের জন্য কিছু সময়
হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় বের করতে হবে। সে সময়টা নিজের হবে। সময়কে উপভোগ করতে হবে। এ সময় পছন্দের বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ভালো লাগার কোনো কাজ করতে পারেন। তাতে মন যেমন সতেজ থাকবে, তেমনি চাপমুক্ত থাকবেন।
খেতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। ঠিক তেমনি চাপমুক্ত থাকতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিমিত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কখনোই শরীর ও মনের জন্য সুফল বয়ে আনে না। যাদের ডায়েট করার প্রয়োজন, তাদের নিয়মিত ডায়েট করা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, চাপমুক্ত জীবন চালান।
পরিমিত ঘুমান
ঘুম আমাদের জীবনের অন্যতম বড় অনুষঙ্গ। পরিমিত ঘুম না হলে আমাদের মন ও দেহঘড়ি—কোনোটিই ঠিকমতো সময় দেবে না। ঘুম কম হলে আমাদের মস্তিষ্কে কম কাজ করে। সারা দিন ঝিমঝিম ভাব থাকে। ফলে অল্পতেই চাপ মনে হয়। চাপমুক্ত থাকতে হলে প্রতিদিন রাতের বেলা নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে আর পরিমিত ঘুম দিতে হবে। পরিণত বয়সে প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ ঘুম।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা।
১৫ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সরাসরি সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ‘ইউসিবিডি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ইয়ার (ইউআইএফওয়াই)’ শীর্ষক একটি প্রোগ্রাম...
২ দিন আগেমাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ৫ শিক্ষক একসঙ্গে অধ্যাপক হয়েছেন।
২ দিন আগে