ইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
নাদিম মজিদ
প্রশ্ন: চাকরির ক্ষেত্র হিসেবে সুইডেন কেমন? সুযোগ-সুবিধা কেমন?
উত্তর: সুইডেনে শিক্ষার্থীরা ফুলটাইম পড়াশোনার পাশাপাশি ফুলটাইম কাজের অনুমতি পান। শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রীও ফুলটাইম কাজের অনুমতি পান। তবে একসঙ্গে ফুলটাইম কাজ ও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুইডেনের চাকরির বাজার অনেক বদলে গেছে। এখন কাজ পাওয়া সময়সাপেক্ষ। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফল সেমিস্টারে ভর্তি হন, অর্থাৎ সামারের শেষে সুইডেনে আসেন। শুরুতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামার-কেন্দ্রিক অড-জব দিয়ে কাজ শুরু করেন। ফলে কাজ ম্যানেজ করতে করতে অনেক সময় পরের সামার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ছোট শহরে কাজ খুঁজে পেতে সময় বেশি লাগে, বড় শহরে তুলনামূলকভাবে দ্রুত কাজ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সুইডেনে বাংলাদেশিরা কীভাবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন?
উত্তর: সুইডেনে কাজ পেতে হলে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করতে হয়। শুরুতে দেশটিতে চাকরি দেয়, এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রার্থী ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চাকরির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারে। ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন লিঙ্ক এরপর মাইগ্রেশনভারকেট প্রার্থীর ই-মেইলে একটি ফর্ম পাঠাবে, যা পূরণ করতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন হলে, প্রার্থীকে সুইডেন এম্বাসিতে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিতে হবে এবং পরে ওয়ার্ক পারমিট কার্ড প্রদান করা হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী সুইডেনে অন্তত ৩০ ক্রেডিট সম্পন্ন করেন এবং নিয়ম মেনে চাকরি পান, তবে তিনি স্টুডেন্ট পারমিট থেকে ওয়ার্ক পারমিটে শিফট করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে বর্তমানে সুইডেনের মাইগ্রেশন পলিসি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই সব সময় আপডেট থাকা জরুরি।
প্রশ্ন: কোনো বাংলাদেশি সুইডেনে চাকরি করতে চাইলে কখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত? কী থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়?
উত্তর: সুইডেনে কাজ পেতে হলে ভাষা ও দক্ষতায় নিজেকে প্রস্তুত করুন। যদিও আইটি, সফটওয়্যার ও কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে ভাষাজ্ঞান ছাড় দেওয়া হয়। যাঁরা শিক্ষার্থী হিসেবে আসবেন, তাঁদের শুরু থেকেই সুইডিশ শেখা উচিত। পাশাপাশি সারভাইভালের জন্য সাইকেল চালানো, গাড়ি চালানো, বারিস্তা, হাউসকিপিং ইত্যাদির দক্ষতা থাকলে সুবিধা হয়।
প্রশ্ন: চাকরির পোস্টগুলো কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়:
প্রশ্ন: সুইডিশ ভাষা শেখার জন্য কী উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে?
উত্তর: বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সুইডিশ ভাষা শেখার জন্য Duolingo অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি কিছু ফ্রি ওয়েবসাইটরয়েছে, যেমন: সুইডেনে শিক্ষার্থী হয়ে অথবা ওয়ার্ক পারমিটে এসে যাঁরা সুইডিশ শিখতে চান, তাঁদের জন্য সরকারিভাবে ফ্রি ভাষা শেখার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রশ্ন: সুইডেনের কোন কোন শহরে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি বসবাস করে?
উত্তর: সুইডেনের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টকহোম, গোথেনবার্গ, মালমো, ইউপসালা ও লিনশোপিং। প্রায় প্রতিটি ছোট-বড় শহরেই বাংলাদেশিরা রয়েছেন, তবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন স্টকহোম, গোথেনবার্গ, মালমো ও ইউপসালায়।
প্রশ্ন: অনেকে সুইডেনে মাস্টার্স বা পিএইচডি করে পরে অন্য দেশে চলে যান। কারণ কী?
উত্তর: সুইডেনে পিএইচডি শেষ করে অন্য দেশে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে মাস্টার্স শেষ করার পরে অনেকে ভালো সুযোগের আশায় অন্য দেশে চলে যান। কারণ, সুইডেনের প্রফেশনাল চাকরির জন্য ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী স্কলারশিপ ছাড়া পড়তে আসেন, ফলে টিউশন ফি জোগাড়ের চাপে পড়াশোনার সময় কমে যায়।
আর পড়াশোনা শেষ করলেও প্রফেশনাল মার্কেটের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার যথেষ্ট সময় পান না। এখানে সব সেক্টরের জন্য চাকরির বাজার খুব একটা সহজলভ্য নয়। সুইডেনের মাইগ্রেশনভারকেটের তথ্যমতে, সুইডেনে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের অনেকে পড়ালেখা শেষ করেননি অথবা সঠিক সময়ে পড়ালেখা শেষ করেননি। এই সমস্যা সমাধানে সুইডেনের সরকার পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে।
প্রশ্ন: চাকরির ক্ষেত্র হিসেবে সুইডেন কেমন? সুযোগ-সুবিধা কেমন?
উত্তর: সুইডেনে শিক্ষার্থীরা ফুলটাইম পড়াশোনার পাশাপাশি ফুলটাইম কাজের অনুমতি পান। শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রীও ফুলটাইম কাজের অনুমতি পান। তবে একসঙ্গে ফুলটাইম কাজ ও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুইডেনের চাকরির বাজার অনেক বদলে গেছে। এখন কাজ পাওয়া সময়সাপেক্ষ। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফল সেমিস্টারে ভর্তি হন, অর্থাৎ সামারের শেষে সুইডেনে আসেন। শুরুতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামার-কেন্দ্রিক অড-জব দিয়ে কাজ শুরু করেন। ফলে কাজ ম্যানেজ করতে করতে অনেক সময় পরের সামার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ছোট শহরে কাজ খুঁজে পেতে সময় বেশি লাগে, বড় শহরে তুলনামূলকভাবে দ্রুত কাজ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সুইডেনে বাংলাদেশিরা কীভাবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন?
উত্তর: সুইডেনে কাজ পেতে হলে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করতে হয়। শুরুতে দেশটিতে চাকরি দেয়, এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রার্থী ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চাকরির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারে। ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন লিঙ্ক এরপর মাইগ্রেশনভারকেট প্রার্থীর ই-মেইলে একটি ফর্ম পাঠাবে, যা পূরণ করতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন হলে, প্রার্থীকে সুইডেন এম্বাসিতে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিতে হবে এবং পরে ওয়ার্ক পারমিট কার্ড প্রদান করা হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী সুইডেনে অন্তত ৩০ ক্রেডিট সম্পন্ন করেন এবং নিয়ম মেনে চাকরি পান, তবে তিনি স্টুডেন্ট পারমিট থেকে ওয়ার্ক পারমিটে শিফট করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে বর্তমানে সুইডেনের মাইগ্রেশন পলিসি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই সব সময় আপডেট থাকা জরুরি।
প্রশ্ন: কোনো বাংলাদেশি সুইডেনে চাকরি করতে চাইলে কখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত? কী থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়?
উত্তর: সুইডেনে কাজ পেতে হলে ভাষা ও দক্ষতায় নিজেকে প্রস্তুত করুন। যদিও আইটি, সফটওয়্যার ও কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে ভাষাজ্ঞান ছাড় দেওয়া হয়। যাঁরা শিক্ষার্থী হিসেবে আসবেন, তাঁদের শুরু থেকেই সুইডিশ শেখা উচিত। পাশাপাশি সারভাইভালের জন্য সাইকেল চালানো, গাড়ি চালানো, বারিস্তা, হাউসকিপিং ইত্যাদির দক্ষতা থাকলে সুবিধা হয়।
প্রশ্ন: চাকরির পোস্টগুলো কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়:
প্রশ্ন: সুইডিশ ভাষা শেখার জন্য কী উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে?
উত্তর: বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সুইডিশ ভাষা শেখার জন্য Duolingo অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি কিছু ফ্রি ওয়েবসাইটরয়েছে, যেমন: সুইডেনে শিক্ষার্থী হয়ে অথবা ওয়ার্ক পারমিটে এসে যাঁরা সুইডিশ শিখতে চান, তাঁদের জন্য সরকারিভাবে ফ্রি ভাষা শেখার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রশ্ন: সুইডেনের কোন কোন শহরে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি বসবাস করে?
উত্তর: সুইডেনের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টকহোম, গোথেনবার্গ, মালমো, ইউপসালা ও লিনশোপিং। প্রায় প্রতিটি ছোট-বড় শহরেই বাংলাদেশিরা রয়েছেন, তবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন স্টকহোম, গোথেনবার্গ, মালমো ও ইউপসালায়।
প্রশ্ন: অনেকে সুইডেনে মাস্টার্স বা পিএইচডি করে পরে অন্য দেশে চলে যান। কারণ কী?
উত্তর: সুইডেনে পিএইচডি শেষ করে অন্য দেশে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে মাস্টার্স শেষ করার পরে অনেকে ভালো সুযোগের আশায় অন্য দেশে চলে যান। কারণ, সুইডেনের প্রফেশনাল চাকরির জন্য ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী স্কলারশিপ ছাড়া পড়তে আসেন, ফলে টিউশন ফি জোগাড়ের চাপে পড়াশোনার সময় কমে যায়।
আর পড়াশোনা শেষ করলেও প্রফেশনাল মার্কেটের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার যথেষ্ট সময় পান না। এখানে সব সেক্টরের জন্য চাকরির বাজার খুব একটা সহজলভ্য নয়। সুইডেনের মাইগ্রেশনভারকেটের তথ্যমতে, সুইডেনে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের অনেকে পড়ালেখা শেষ করেননি অথবা সঠিক সময়ে পড়ালেখা শেষ করেননি। এই সমস্যা সমাধানে সুইডেনের সরকার পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্মউন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৯ ঘণ্টা আগেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২১ ঘণ্টা আগেএই তালিকায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে না থাকলেও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১ দিন আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের ‘আইকিএসির পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দিনব্যাপী স্টাডি ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে।
১ দিন আগে