কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।
রাখাইনের অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পুরো সীমান্তে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একটি ‘নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে পুরো সীমান্ত। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারছে না।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চাইলেও বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইনের মুসলমানপ্রধান রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১০ লক্ষাধিক মানুষ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রাখাইনে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার সংকট দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বাংলাদেশের কাছে ‘মানবিক প্যাসেজ’ চায়। বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে ঢাকা ও কক্সবাজারে সফরের সময় বাংলাদেশকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানান।
রাখাইন ও আশপাশের এলাকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রামরত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অস্ত্রধারী শাখা উইং আরাকান আর্মি ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত বছর (২০২৪) ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। রাজধানী সিটোয়ে ও বন্দরনগরী চকপু ছাড়া রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রায় সমগ্র রাখাইন অঞ্চলে চাষাবাদ বিঘ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিদেশি মিশনগুলো ও বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা বছরখানেক আগেই রাখাইন থেকে নিজেদের কার্যক্রম খুব সীমিত করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ছাড়া অন্যদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় সেখানে খাদ্যাভাব প্রকট আকার ধারণ করছে। অসুস্থ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা খুব সীমিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত এক বছরে সীমান্তে বাংলাদেশের সতর্কতার মধ্যেও লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, রাখাইনে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত আছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলো মনে করছে, রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ায় সেখানে ‘ত্রাণ ও মানবিক কার্যক্রম’ চালানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভারতসংলগ্ন সীমান্ত তুলনামূলকভাবে দুর্গম হওয়ায় রাখাইনে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থল ও নৌপথে বিশেষ ব্যবস্থায় মানবিক সহায়তার পণ্য পৌঁছানো সহজ হতে পারে, এমনটা মনে করছে এসব সংস্থা।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।
রাখাইনের অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পুরো সীমান্তে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একটি ‘নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে পুরো সীমান্ত। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারছে না।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চাইলেও বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইনের মুসলমানপ্রধান রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১০ লক্ষাধিক মানুষ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রাখাইনে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার সংকট দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বাংলাদেশের কাছে ‘মানবিক প্যাসেজ’ চায়। বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে ঢাকা ও কক্সবাজারে সফরের সময় বাংলাদেশকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানান।
রাখাইন ও আশপাশের এলাকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রামরত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অস্ত্রধারী শাখা উইং আরাকান আর্মি ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত বছর (২০২৪) ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। রাজধানী সিটোয়ে ও বন্দরনগরী চকপু ছাড়া রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রায় সমগ্র রাখাইন অঞ্চলে চাষাবাদ বিঘ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিদেশি মিশনগুলো ও বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা বছরখানেক আগেই রাখাইন থেকে নিজেদের কার্যক্রম খুব সীমিত করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ছাড়া অন্যদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় সেখানে খাদ্যাভাব প্রকট আকার ধারণ করছে। অসুস্থ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা খুব সীমিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত এক বছরে সীমান্তে বাংলাদেশের সতর্কতার মধ্যেও লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, রাখাইনে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত আছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ ও সাহায্য সংস্থাগুলো মনে করছে, রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ায় সেখানে ‘ত্রাণ ও মানবিক কার্যক্রম’ চালানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভারতসংলগ্ন সীমান্ত তুলনামূলকভাবে দুর্গম হওয়ায় রাখাইনে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থল ও নৌপথে বিশেষ ব্যবস্থায় মানবিক সহায়তার পণ্য পৌঁছানো সহজ হতে পারে, এমনটা মনে করছে এসব সংস্থা।
আরও খবর পড়ুন:
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতকদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— কর্নেল একে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দু’জনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দু’জনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতকদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— কর্নেল একে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দু’জনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দু’জনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ২০২৫নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।
সিইসি ইউএনওদের বলেন, ‘কোনো প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।
সিইসি ইউএনওদের বলেন, ‘কোনো প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ৭টার পর তাঁদের কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এজলাসে তাঁদের ওঠানো হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির কথা ছিল।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায়। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
আওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ৭টার পর তাঁদের কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এজলাসে তাঁদের ওঠানো হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির কথা ছিল।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায়। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাঁদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ পোশাক পরা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুরু হবে শুনানি।
ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকা। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক।
এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাঁদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ পোশাক পরা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুরু হবে শুনানি।
ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকা। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক।
এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে