জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দুই ছেলে আর পাঁচ মেয়েকে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন পিয়ারা বেগম । আট বছর আগে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ আর নিজের গয়না বেঁচে কিনেছিলেন কয়েকটি গরু। সেই গরুর দুধ বেচা টাকা দিয়ে ঋণের কিস্তি দেওয়াসহ ভালোই চলছিল পিয়ারা বেগমের সংসার। কিন্তু সেই গরুগুলো গত রোববার রাতে চুরি হয়ে গেছে!
পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস আর দেনা মেটানোর সম্বল ওই ছয়টি গরু চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা ওই নারী। এ ঘটনায় সোমবার জগন্নাথপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা পেয়ারা বেগম। আজ মঙ্গলবার পিয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালঘরে দাঁড়িয়ে খড় হাতে নিয়ে কাঁদছেন আর আহাজারি করছেন। কথা বলতেই তিনি বলছেন, ‘এখন আমি ঋণ দিমু কিলা আর খাইমু বা কিতা। আমার যে আর কিচ্ছু রইল না।’
পিয়ারা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন চার লিটার দুধ বিক্রি করে ৪০০ টাকা পেতাম। এই টাকা দিয়া সংসার চলত। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতাম। এখন আমার কী হবে?’
স্বামীর অবর্তমানে নিজের জীবনযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে পিয়ারা বেগম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর গরু লালন-পালন করে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। টিনশেডের পাকা ঘর তৈরি করছি। সন্তানের মতো আদর দিছিলাম ওই প্রাণীগুলারে। দুই সপ্তাহ আগে একটা এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিছি আর ছেলের বউয়ের একটা গয়না বেঁচে একটা ষাঁড় কিনছিলাম। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
পিয়ারা বেগমের বড় ছেলে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি জাতের তিনটা গাভি ও তিনটা ষাঁড় গরু ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র সম্বল। মায়ের সঙ্গে আমরা দুই ভাই গরু লালন-পালন করি। প্রতিদিনের মতোই গত রোববার ২টার দিকে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমায়ে পড়ি। সকালে আমার ছোট ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখে গোয়ালঘরের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখে গরু নাই। পরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে একটা গরুরও খোঁজ পাই নাই।’
পিয়ারা বেগমের এক প্রতিবেশী রুহেলা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টে গরুগুলো লালনপালন করে সংসার চালাতেন পিয়ারা বেগম। নিজের সন্তানের মতো গরুগুলোর যত্ন করতেন। চোরেরা তাঁর সব শেষ করে দিল!’
চুরির বিষয়ে কথা হয় জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের বাড়ির পাশে হাওর থাকায় চোরেরা নৌকাযোগে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এবং গরুগুলো উদ্ধারে কাজ করছে।’
স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দুই ছেলে আর পাঁচ মেয়েকে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন পিয়ারা বেগম । আট বছর আগে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ আর নিজের গয়না বেঁচে কিনেছিলেন কয়েকটি গরু। সেই গরুর দুধ বেচা টাকা দিয়ে ঋণের কিস্তি দেওয়াসহ ভালোই চলছিল পিয়ারা বেগমের সংসার। কিন্তু সেই গরুগুলো গত রোববার রাতে চুরি হয়ে গেছে!
পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস আর দেনা মেটানোর সম্বল ওই ছয়টি গরু চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা ওই নারী। এ ঘটনায় সোমবার জগন্নাথপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা পেয়ারা বেগম। আজ মঙ্গলবার পিয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালঘরে দাঁড়িয়ে খড় হাতে নিয়ে কাঁদছেন আর আহাজারি করছেন। কথা বলতেই তিনি বলছেন, ‘এখন আমি ঋণ দিমু কিলা আর খাইমু বা কিতা। আমার যে আর কিচ্ছু রইল না।’
পিয়ারা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন চার লিটার দুধ বিক্রি করে ৪০০ টাকা পেতাম। এই টাকা দিয়া সংসার চলত। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতাম। এখন আমার কী হবে?’
স্বামীর অবর্তমানে নিজের জীবনযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে পিয়ারা বেগম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর গরু লালন-পালন করে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। টিনশেডের পাকা ঘর তৈরি করছি। সন্তানের মতো আদর দিছিলাম ওই প্রাণীগুলারে। দুই সপ্তাহ আগে একটা এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিছি আর ছেলের বউয়ের একটা গয়না বেঁচে একটা ষাঁড় কিনছিলাম। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
পিয়ারা বেগমের বড় ছেলে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি জাতের তিনটা গাভি ও তিনটা ষাঁড় গরু ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র সম্বল। মায়ের সঙ্গে আমরা দুই ভাই গরু লালন-পালন করি। প্রতিদিনের মতোই গত রোববার ২টার দিকে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমায়ে পড়ি। সকালে আমার ছোট ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখে গোয়ালঘরের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখে গরু নাই। পরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে একটা গরুরও খোঁজ পাই নাই।’
পিয়ারা বেগমের এক প্রতিবেশী রুহেলা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টে গরুগুলো লালনপালন করে সংসার চালাতেন পিয়ারা বেগম। নিজের সন্তানের মতো গরুগুলোর যত্ন করতেন। চোরেরা তাঁর সব শেষ করে দিল!’
চুরির বিষয়ে কথা হয় জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের বাড়ির পাশে হাওর থাকায় চোরেরা নৌকাযোগে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এবং গরুগুলো উদ্ধারে কাজ করছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১১ ঘণ্টা আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১১ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৯ দিন আগে