Ajker Patrika

শিল্পী সাজুর বিরুদ্ধে মাকে জখমের অভিযোগ

প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
শিল্পী সাজুর বিরুদ্ধে মাকে জখমের অভিযোগ

পারিবারিক কলহের জেরে সংগীতশিল্পী সাজু আহমেদ তাঁর মাকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেলিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজুর বড় বোন আঞ্জুমানআরা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সাজু ২০০৮ সালে টিভি চ্যানেল এনটিভির গানের রিয়্যালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছিলেন। তিনি মায়ের ওপর হামলার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাজুর বাবা সাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজগার আলী ২০০৩ সালে। এরপর থেকে তাঁর মা রানীজান বেওয়া সংসারের হাল ধরেন। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। বড় ছেলের মেয়ের বিয়ের জন্য রানীজান দুই ছেলের নামে দলিলের জমি বন্ধক রেখে পাঁচ লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই জমিজমার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে কলহ শুরু হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ আগস্ট সালিস হয়। সেখানে এক বছর পর জমিজমা ভাগ-বাঁটোয়ারার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সাজু নাখোশ হন। এর জেরে শুক্রবার মায়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ছোরা দিয়ে আঘাত করতে যান। এ সময় বড়বোন আঞ্জুমানআরা সাজুকে ঝাপটে ধরলে মায়ের কপালে ছোরার আঘাত লাগে। পরে তাঁকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে জানতে চাইলে রানীজান বেওয়া বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার সময় সাজুর জন্য জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ১৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়। এরপর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সাজু তা না করে উল্টা আরও টাকা চায়। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পর সে পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিল। তার টাকা দরকার। তাই সে জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। আমাকে অপমান করত। এখন সে আমার গায়ে হাত তুলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

সংগীতশিল্পী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজু আহমেদ তাঁর মায়ের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ভিতরের রুম থেকে বাইরের রুমে শিফট হতে চেয়েছিলাম। সেটা আমি জানালে মা পাশের গ্রামে থাকা আমার বড় বোন আঞ্জুমানআরাকে মোবাইলে ডেকে আনে। একপর্যায়ে বড় বোন আমাকে পিড়ি দিয়ে আঘাত করলে আমি ঠেকাতে গিয়ে সেটি মায়ের কপালে লাগে। আমি আমার মাকে আঘাত করিনি। আর ছোরা দিয়ে আঘাতের ঘটনা বানোয়াট।’

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পুলক কুমার সরকার বলেন, ‘রোগীর বাম চোখের ওপরে কপালে কাটায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে।’ উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টেলিগ্রামে সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে টাকা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের

আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠি

প্রাথমিকে পাঠদান: বাইরের ২০ কাজের চাপে শিক্ষক

প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন

‘মামলা করি কী হইবে, পুলিশ থাকিয়াও হামার জীবনে নিরাপত্তা নাই’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত