শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে মালিহাটা-উদয়কুঁড়ি সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার মাস পেরোতেই ধসে গেছে রাস্তা, ভেঙে গেছে ইট। বগুড়ার শেরপুরের কুসুম্বী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আসন্ন বর্ষায় আগের মতোই ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দরপত্র আহ্বান করে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর। কুসুম্বী ইউনিয়নের মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মেসার্স টুম্পা এন্টারপ্রাইজ।
দরপত্র অনুযায়ী এই সড়কের ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২৮ মিটার হেরিং বন বন্ড (এইবিবি) কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে চুক্তিমূল্যের প্রায় ৮০ ভাগ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। এই সরকারের উন্নয়নকাজে দেখভাল করেছেন শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী কায়ছার আহমেদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজ শেষ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় ইটগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে, কিছু ইট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে ও কয়েক জায়গায় রাস্তা ধসে চলা চলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এর দৈর্ঘ্য দরপত্রের চেয়ে কমপক্ষে ১০ ফুট কম পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন উদয়কুঁড়ি, বাঁশবাড়িয়া ও উচলবাড়িয়া এই তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। তা ছাড়া এখানে প্রচুর পরিমাণে রবিশস্যের চাষ হয়। রাস্তা কাঁচা হওয়ায় ফসল ও পণ্য পরিবহনে অনেক কষ্ট হয়। প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য হলেও রাস্তা উন্নত হওয়া শাস্তি ফিরে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু এখন তাঁদের সেই আশায় গুঁড়েবালি।
মালিহাটা গ্রামের মো. লেমন অলী বলেন, ‘এটি আগে মাটির রাস্তা ছিল। মাত্র ৩-৪ দিনেই রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে। ফলে মাটি ভরাটের কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। তাই যানবাহন চলাচল করায় অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তাটি ধসে গেছে।’
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ইটগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে ভালো ভাবে তদারকি করলে এমনটা হতো না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য রইস উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তার কাজ কখন শুরু হয়ে আবার শেষ হয়েছে, আমি জানি না। আমাকে জানালে অন্তত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। সবাই আশঙ্কা করছেন, আসন্ন বর্ষাকালে সম্পূর্ণ রাস্তাটির নষ্ট হয়ে যাবে। এই অবস্থায় এলাকার জনগণ আমার কাছে রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু আমার তো করার কিছু নেই।’
উপজেলার কুসুম্বি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, ‘সড়কে উন্নয়নকাজের জন্য এক নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু এই সড়ক উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সড়ক উন্নয়নকাজের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে (এলজিইডি) জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের তদারকির অভাবে সরকারি বরাদ্দের টাকায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে।’
তবে এই কাজের তদারককারী উপসহকারী প্রকৌশলী (আরসিআইপি) কায়সার আহমেদ বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী এখানে ভালো মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু চলতি আলুর মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রঘুনাথ রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এই সড়কের কাজে প্রায় ৬০ হাজার ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো ইটের পাশাপাশি কিছু খারাপ ইটও থাকতে পারে। তবে আলু বোঝাই ভারী যানবাহনের কারণে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হলে, প্রয়োজনে তা অপসারণ করা হবে।’
বগুড়ার শেরপুরে মালিহাটা-উদয়কুঁড়ি সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার মাস পেরোতেই ধসে গেছে রাস্তা, ভেঙে গেছে ইট। বগুড়ার শেরপুরের কুসুম্বী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আসন্ন বর্ষায় আগের মতোই ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দরপত্র আহ্বান করে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর। কুসুম্বী ইউনিয়নের মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মেসার্স টুম্পা এন্টারপ্রাইজ।
দরপত্র অনুযায়ী এই সড়কের ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২৮ মিটার হেরিং বন বন্ড (এইবিবি) কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে চুক্তিমূল্যের প্রায় ৮০ ভাগ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। এই সরকারের উন্নয়নকাজে দেখভাল করেছেন শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী কায়ছার আহমেদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজ শেষ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় ইটগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে, কিছু ইট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে ও কয়েক জায়গায় রাস্তা ধসে চলা চলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এর দৈর্ঘ্য দরপত্রের চেয়ে কমপক্ষে ১০ ফুট কম পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন উদয়কুঁড়ি, বাঁশবাড়িয়া ও উচলবাড়িয়া এই তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। তা ছাড়া এখানে প্রচুর পরিমাণে রবিশস্যের চাষ হয়। রাস্তা কাঁচা হওয়ায় ফসল ও পণ্য পরিবহনে অনেক কষ্ট হয়। প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য হলেও রাস্তা উন্নত হওয়া শাস্তি ফিরে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু এখন তাঁদের সেই আশায় গুঁড়েবালি।
মালিহাটা গ্রামের মো. লেমন অলী বলেন, ‘এটি আগে মাটির রাস্তা ছিল। মাত্র ৩-৪ দিনেই রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে। ফলে মাটি ভরাটের কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। তাই যানবাহন চলাচল করায় অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তাটি ধসে গেছে।’
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ইটগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে ভালো ভাবে তদারকি করলে এমনটা হতো না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য রইস উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তার কাজ কখন শুরু হয়ে আবার শেষ হয়েছে, আমি জানি না। আমাকে জানালে অন্তত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। সবাই আশঙ্কা করছেন, আসন্ন বর্ষাকালে সম্পূর্ণ রাস্তাটির নষ্ট হয়ে যাবে। এই অবস্থায় এলাকার জনগণ আমার কাছে রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু আমার তো করার কিছু নেই।’
উপজেলার কুসুম্বি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, ‘সড়কে উন্নয়নকাজের জন্য এক নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু এই সড়ক উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সড়ক উন্নয়নকাজের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে (এলজিইডি) জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের তদারকির অভাবে সরকারি বরাদ্দের টাকায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে।’
তবে এই কাজের তদারককারী উপসহকারী প্রকৌশলী (আরসিআইপি) কায়সার আহমেদ বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী এখানে ভালো মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু চলতি আলুর মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রঘুনাথ রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এই সড়কের কাজে প্রায় ৬০ হাজার ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো ইটের পাশাপাশি কিছু খারাপ ইটও থাকতে পারে। তবে আলু বোঝাই ভারী যানবাহনের কারণে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হলে, প্রয়োজনে তা অপসারণ করা হবে।’
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫