Ajker Patrika

গ্রীন লাইফ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ 

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৪৭
গ্রীন লাইফ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসে ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় তাসলিমা বেগমের (৩০) গর্ভপাত (ভ্রূণ হত্যা) করানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এখন রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসলিমা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার শিবপুর জাগিরপাড়া গ্রামের জালালা উদ্দীনের স্ত্রী। 

ভুক্তভোগীর স্বামী জালাল উদ্দীন বলেন, আমার স্ত্রী ৭ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গ্রীন লাইফ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। কিছুক্ষণ পর বলেন গর্ভের সন্তান মৃত। এরপর ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত করানোর চুক্তি করেন এবং একটি ওষুধ খাওয়াতে বলেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর আমাদের সন্দেহ হয়। সে সময় পাশের একটি ক্লিনিকে (মা ক্লিনিক) আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা যায় বাচ্চা জীবিত। বিষয়টি গ্রীন লাইফের মালিককে অবহিত করলে তিনি ওই দিন বিকেলে আমাদের রাজশাহী মহানগরে নিয়ে যান। সেখানে বেলভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তৃতীয় দফা আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। সেখানেও চিকিৎসক পেটে বাচ্চা জীবিত আছে বলে জানান। 

জালাল উদ্দীন আরও বলেন, সন্তান জীবিত জানার আগে ওষুধ খাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আমার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরদিন বুধবার রাত ১০টার দিকে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রাতেই তাঁকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে গ্রীন হাসপাতালের মালিক বাবু বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে যা পেয়েছেন, চিকিৎসক তা-ই উল্লেখ করেছেন। তবে ওই নারীর আগেও একাধিকবার গর্ভপাত হয়েছে। সেই জেরে এবারও হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অপচিকিৎসা বা গাফিলতি করা হয়নি। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মতিন বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই নারীর অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ভ্রূণ হত্যার এমন কোনো অভিযোগ এখনো থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত