Ajker Patrika

ভারতে ইসরায়েলি নারী খুন, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১: ২৮
ভারতে ইসরায়েলি নারী খুন, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

ভারতের কেরালায় ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক ইসরায়েলি নারীকে (৩৬) হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরালার কোল্লাম জেলায় কোদালিমুক্কু এলাকায় নারীটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ওই ব্যক্তি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই বলছে, নিহত ইসরায়েলি নারীর নাম সত্তা। অভিযুক্ত ব্যক্তি কৃষ্ণচন্দ্রন কেরালার স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা স্বামী–স্ত্রী ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তবে ভিন্ন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে।

কোল্লামের পুলিশ বলছে, নিহতের স্বামী সোরিয়াসিস রোগে ভুগছিলেন। তিনি সত্তাকে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।

পুলিশ আরও বলছে, আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে থিরুভানন্তপুরম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই নারীকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। 

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধারা ৩০২–এর অধীনে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে আরও তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই নারী–পুরুষ স্বামী–স্ত্রী নন। তাঁরা একসঙ্গে বসবাস করতেন। ইসরায়েলি সেই নারী ও তাঁর সঙ্গী ৭০ বছর বয়সী কৃষ্ণচন্দ্রন একসঙ্গে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে নারীটি নিজেই তাঁর গলায় চুরি চালান। কৃষ্ণচন্দ্রনও পরবর্তীতে নিজের গলায় ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। 

তবে পুলিশ বলছে, নিহত নারীর গলায় গুরুতর আঘাতের পাশাপাশি তাঁর শরীরে আরও কয়েকটি ছুরির আঘাতের ক্ষত রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশের নজরদারিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা নজরে আসে যখন অভিযুক্তের আত্মীয় এ দুজনকে আহত অবস্থায় তাঁদের কামরায় পড়ে থাকতে দেখেন। আত্মীয়টি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে আহত কৃষ্ণচন্দ্রন উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। 

পুলিশ আসার পর দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে নারীটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তের আত্মীয়ের বাড়িতে দুজনে থাকতেন। ইসরায়েলি নারীটি ১৫ বছর ধরে উত্তরাখণ্ডে বসবাস করছিলেন। গত এক বছর ধরে তিনি কেরালায় ছিলেন। 

পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বক্তব্য অনুসারে, ওই নারী হতাশায় ভুগছিলেন। তাঁর কাছে যোগব্যায়াম শেখার পরও কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। 

অভিযুক্তের দাবি, তিনি ত্বকের রোগ সোরাইসিসে ভুগছিলেন, তাই তিনি আর বাঁচতে চাচ্ছিলেন না। তাঁরা দুজন মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। 

তাঁদের কামরা থেকে একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পাওয়া গেলেও তা এখনো বিশ্লেষণ করে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত