বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা: সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ইসলামি বক্তা শায়খ আলী হাসান উসামা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিন সাকিব এ কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার (১৫ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। ওইদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল-আমিন সাকিবকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার স্বীকারোক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। আদালত জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং আলী হাসান উসামা ও আল-আমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ মে সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এছাড়া এই হামলার পরিকল্পনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একইদিন আলী হাসান উসামাকে রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে দুইজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৫ মে সন্ধ্যার পর আল-আমিনকে ধারাল অস্ত্র, কালো পতাকা ও মাথায় বাধা কালো কাপড়সহ আটক করা হয়। ওই রাতেই অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নাশকতার পরিকল্পনা ছিল আল আমিনের। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী সদর থেকে আলী হাসান উসামাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সাকিব জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন, তিনি আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। সংসদ ভবনের কাছ থেকে আটক হয়েছেন তিনি। সংসদ ভবনে হামলার জন্য উসামা তাকে প্ররোচিত করেছিলেন। শুধু আলামিন নন, আনসার আল ইসলামের অনেক সদস্যই উসামার অনুসারী। আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্যরা উসামার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ গ্রহণ করে। তার লেখা বিভিন্ন বই এবং ইউটিউবে প্রচারিত বিভিন্ন বক্তব্য আনসার আল ইসলামের সদস্যদের কাছে খুবই প্রিয়। সে কারণেই তারা আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে উসামাকে মানেন।
স্বীকারোক্তিতে সাকিব আরো বলেন, তিনি উসামার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও সদস্যদের একত্রিত করার পরামর্শ দেন। আলামিন সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে গত ৫ মে দিবাগত রাতে সংসদ ভবনে হামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। সংসদ ভবনে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর এই হামলার পরিকল্পনা ছিল। কালো পতাকা হাতে এবং কালো রুমাল মাথায় দিয়ে তলোয়ার দিয়ে এই হামলা করার পরিকল্পনা ছিল।
রাজবাড়ী শহরের বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব এই ওসামা তাদের বলেছেন, তারা ইসলামি শরিয়া আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন চান। কিন্তু এদেশে ইসলামি আইন বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করেন। আল্লাহর আইন ও কোরান সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ যাতে কেউ না করে সেই কারণেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।
উসামাকেও এই মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসামার পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সহযোগীরা হাজির হওয়ার আগেই সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা: সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ইসলামি বক্তা শায়খ আলী হাসান উসামা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিন সাকিব এ কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার (১৫ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। ওইদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল-আমিন সাকিবকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার স্বীকারোক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। আদালত জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং আলী হাসান উসামা ও আল-আমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ মে সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এছাড়া এই হামলার পরিকল্পনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একইদিন আলী হাসান উসামাকে রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে দুইজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৫ মে সন্ধ্যার পর আল-আমিনকে ধারাল অস্ত্র, কালো পতাকা ও মাথায় বাধা কালো কাপড়সহ আটক করা হয়। ওই রাতেই অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নাশকতার পরিকল্পনা ছিল আল আমিনের। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী সদর থেকে আলী হাসান উসামাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সাকিব জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন, তিনি আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। সংসদ ভবনের কাছ থেকে আটক হয়েছেন তিনি। সংসদ ভবনে হামলার জন্য উসামা তাকে প্ররোচিত করেছিলেন। শুধু আলামিন নন, আনসার আল ইসলামের অনেক সদস্যই উসামার অনুসারী। আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্যরা উসামার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ গ্রহণ করে। তার লেখা বিভিন্ন বই এবং ইউটিউবে প্রচারিত বিভিন্ন বক্তব্য আনসার আল ইসলামের সদস্যদের কাছে খুবই প্রিয়। সে কারণেই তারা আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে উসামাকে মানেন।
স্বীকারোক্তিতে সাকিব আরো বলেন, তিনি উসামার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও সদস্যদের একত্রিত করার পরামর্শ দেন। আলামিন সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে গত ৫ মে দিবাগত রাতে সংসদ ভবনে হামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। সংসদ ভবনে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর এই হামলার পরিকল্পনা ছিল। কালো পতাকা হাতে এবং কালো রুমাল মাথায় দিয়ে তলোয়ার দিয়ে এই হামলা করার পরিকল্পনা ছিল।
রাজবাড়ী শহরের বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব এই ওসামা তাদের বলেছেন, তারা ইসলামি শরিয়া আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন চান। কিন্তু এদেশে ইসলামি আইন বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করেন। আল্লাহর আইন ও কোরান সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ যাতে কেউ না করে সেই কারণেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।
উসামাকেও এই মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসামার পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সহযোগীরা হাজির হওয়ার আগেই সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪