নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মহাসড়ক ও এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দারও রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। র্যাবের দাবি, ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালানোর আড়ালে তারা টার্গেট করা যানবাহন আটকে ডাকাতি করতেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর টিকাটুলির র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্র এবং সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত দলের নেতা আবুল হোসেন (৩৫), রহমত আলী (২৮), জসিম মিয়া (৩৩), নয়ন মিয়া (২৪) এবং মো. ইব্রাহীম (২৬) নামে পাঁচজন ও তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইদ্রিস (২৩), মাসুদ রানা (২৬), কফিল উদ্দিন (৩২), হাসান আলীকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনির আখড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী মো. জুয়েল (৩৫), মো. আলমাস (২৭) নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার লালমাই থানাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে গতিরোধ করে মালামালসহ পণ্যবাহী পিকআপ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভুক্তভোগী শাহেদুল হক রাজধানীর কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। ওই দিন কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকার অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার কোম্পানির হেড অফিস থেকে ১২৫টি (২০০০ কেজি) অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার নিয়ে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য রওনা হন।
তিনি আরও জানান, পথে রাত সাড়ে ৩টায় লালমাই থানাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের শানিচৌ নামক স্থানে একদল ডাকাত একটি পিকআপ নিয়ে গতিরোধ করে। এরপর পিকআপ থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে মারধর করে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মালামালসহ তার পিকআপটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহত শাহেদুলকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় কুমিল্লা জেলার লালমাই থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে একটি দস্যুতার মামলা করা হয়।
আরিফ মহিউদ্দিন জানান, র্যাব-৩ এর একটি দল গত রোববার রাতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত দলের নেতা আবুল হোসেন, রহমত আলী, জসিম মিয়া, নয়ন মিয়া এবং মো. ইব্রাহীম নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, একটি চাপাতি, একটি ছুরি, চারটি গামছা, তিনটি রশি, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার ৩১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মো. ইদ্রিস, মাসুদ রানা, কফিল উদ্দিন, হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে কুমিল্লার লালমাই থেকে ছিনতাই করা ১২৫ ড্রাম অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার বোঝাইসহ একটি পিকআপ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও একটি বলেরো পিকআপ, একটি চাপাতি, একটি ছুরি, তিনটি লোহার রড, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার, চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পরে গ্রেপ্তার ৪ জনের দেওয়া তথ্যে রাজধানীর ওই এলাকা থেকে একটি চোরাই পিকআপ ও দুটি মোবাইলসহ মো. জুয়েল, মো. আলমাস নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৩ সিও বলেন, ‘ডাকাত দলটির সকল সদস্যই রাজধানী, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। গ্রেপ্তার আবুল হোসেন পেশায় একজন ট্রাকচালক। তার এই পেশার আড়ালে তিনি সরাসরি ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তারা মহাসড়কে নির্জন কোনো স্থানে এসে টার্গেট করা গাড়িটিকে ওভারটেক করে গতিরোধ করে ড্রাইভারসহ সবাইকে মারধর ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে গাড়ি এবং মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেতেন। ডাকাতি করা মালামাল এবং গাড়িগুলো বিভিন্ন চোরাকারবারিদের কাছে বিক্রি করে দেন তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন মহাসড়কে ডাকাতি করা সম্ভব না হয়, তখন বাড়িঘর এবং দোকানপাটে তারা ডাকাতি করে থাকেন। তারা বেশ কয়েকটি মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতি, বাসে ডাকাতি, ঘরবাড়ি ও দোকানে ডাকাতি এবং প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
গ্রেপ্তার হওয়া প্রায় সবার বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মহাসড়ক ও এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দারও রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। র্যাবের দাবি, ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালানোর আড়ালে তারা টার্গেট করা যানবাহন আটকে ডাকাতি করতেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর টিকাটুলির র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্র এবং সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত দলের নেতা আবুল হোসেন (৩৫), রহমত আলী (২৮), জসিম মিয়া (৩৩), নয়ন মিয়া (২৪) এবং মো. ইব্রাহীম (২৬) নামে পাঁচজন ও তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইদ্রিস (২৩), মাসুদ রানা (২৬), কফিল উদ্দিন (৩২), হাসান আলীকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনির আখড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী মো. জুয়েল (৩৫), মো. আলমাস (২৭) নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার লালমাই থানাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে গতিরোধ করে মালামালসহ পণ্যবাহী পিকআপ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভুক্তভোগী শাহেদুল হক রাজধানীর কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। ওই দিন কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকার অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার কোম্পানির হেড অফিস থেকে ১২৫টি (২০০০ কেজি) অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার নিয়ে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য রওনা হন।
তিনি আরও জানান, পথে রাত সাড়ে ৩টায় লালমাই থানাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের শানিচৌ নামক স্থানে একদল ডাকাত একটি পিকআপ নিয়ে গতিরোধ করে। এরপর পিকআপ থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে মারধর করে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মালামালসহ তার পিকআপটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহত শাহেদুলকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় কুমিল্লা জেলার লালমাই থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে একটি দস্যুতার মামলা করা হয়।
আরিফ মহিউদ্দিন জানান, র্যাব-৩ এর একটি দল গত রোববার রাতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত দলের নেতা আবুল হোসেন, রহমত আলী, জসিম মিয়া, নয়ন মিয়া এবং মো. ইব্রাহীম নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, একটি চাপাতি, একটি ছুরি, চারটি গামছা, তিনটি রশি, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার ৩১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মো. ইদ্রিস, মাসুদ রানা, কফিল উদ্দিন, হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে কুমিল্লার লালমাই থেকে ছিনতাই করা ১২৫ ড্রাম অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার বোঝাইসহ একটি পিকআপ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও একটি বলেরো পিকআপ, একটি চাপাতি, একটি ছুরি, তিনটি লোহার রড, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার, চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পরে গ্রেপ্তার ৪ জনের দেওয়া তথ্যে রাজধানীর ওই এলাকা থেকে একটি চোরাই পিকআপ ও দুটি মোবাইলসহ মো. জুয়েল, মো. আলমাস নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৩ সিও বলেন, ‘ডাকাত দলটির সকল সদস্যই রাজধানী, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। গ্রেপ্তার আবুল হোসেন পেশায় একজন ট্রাকচালক। তার এই পেশার আড়ালে তিনি সরাসরি ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তারা মহাসড়কে নির্জন কোনো স্থানে এসে টার্গেট করা গাড়িটিকে ওভারটেক করে গতিরোধ করে ড্রাইভারসহ সবাইকে মারধর ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে গাড়ি এবং মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেতেন। ডাকাতি করা মালামাল এবং গাড়িগুলো বিভিন্ন চোরাকারবারিদের কাছে বিক্রি করে দেন তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন মহাসড়কে ডাকাতি করা সম্ভব না হয়, তখন বাড়িঘর এবং দোকানপাটে তারা ডাকাতি করে থাকেন। তারা বেশ কয়েকটি মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতি, বাসে ডাকাতি, ঘরবাড়ি ও দোকানে ডাকাতি এবং প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
গ্রেপ্তার হওয়া প্রায় সবার বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে