Ajker Patrika

লঞ্চের যাত্রীদের মালামাল লুটে নিতেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লঞ্চের যাত্রীদের মালামাল লুটে নিতেন তাঁরা

লঞ্চ যাত্রীদের টার্গেট করে মালামাল ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো একটি চক্র। চক্রটি বিভিন্ন সময়ে সাধারণ যাত্রীদের অজ্ঞান করে স্বর্বশান্ত কর বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। তেমনি একটি চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন—বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দূর্গাপুর এলাকার সাহেব আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম বিশ্বাস (৩০) ও একই এলাকার খালেক হাওলাদারের ছেলে মো. স্বপন হাওলাদার (৪২)।

পরে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কেবিন খোলার কাজে ব্যবহৃত নকল চাবি, চুরি, ছিনতাই শেষে মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাগ, জুসের বোতল, দুটি মোবাইল ফোন, যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে পুলিশপ্লা জায় নৌপুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস।

গৌতম কুমার বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম বাহন লঞ্চ। আর এই লঞ্চে যাতায়াত করা মানুষকে টার্গেট করে মালামাল চুরি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল একটি চক্র। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুরভী ০৭ লঞ্চের তৃতীয় তলার একটি কেবিনে পরিবার নিয়ে ওঠেন রেজাউল করিম। কেবিনে মালামাল রেখে লঞ্চের ক্যান্টিনে খেতে যান। এসে দেখেন ব্যাগ থেকে নগদ টাকা, স্বণালংকারসহ আনুমানিক ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে।’

‘ভুক্তভোগী রেজাউল করিম নৌ পুলিশের সদরঘাট থানায় অভিযোগ দেন। চুরির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে পুলিশ। গতকাল সোমবার সদরঘারে লঞ্চ টার্মিনালে সন্দেহজনকভাবে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করার সময়ে দুজনকে আটক করে নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার সদস্যরা।’

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে নৌ পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, তাঁরা সদরঘাট কেন্দ্রিক ছিনতাই, চুরি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে লঞ্চে চুরি করতেন। চক্রের সদস্যরা যাত্রীদের বিভিন্নভাবে খাদ্যের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে যাত্রীদের স্বর্বস্ব লুটে নিতেন। যাত্রীদের মালামাল ছিনতাইও করতেন তাঁরা।

নৌ পুলিশের এসপি গৌতম কুমার বলেন, চক্রের মূলহোতা খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধ দেশের বিভিন্ন থানায় আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় ৩৮০ ধারায় চুরির মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত