Ajker Patrika

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিমানের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৯: ৫৬
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিমানের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬ দিনের রিমান্ডে

বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাঁদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আসামিরা হলেন—আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম। বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো নিয়মিত মামলা রুজু হয়নি। দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি মূলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। 

এদিকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান। 

অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। 

পদগুলো হলো-জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)। 

এসব পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীসময়ে প্রার্থীদের মুঠোফোনে ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরপরই তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে এই পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার জন্য প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তদন্ত শেষে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত