Ajker Patrika

মাস্টারমাইন্ড রিমান্ডে, খুনিদের একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২১ মে ২০২১, ২০: ১২
মাস্টারমাইন্ড রিমান্ডে, খুনিদের একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ঢাকা: মিরপুরের পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে এম এ আউয়ালকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি সাবেক এই এমপিসহ তিনজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য দুজন হলেন, নূর মোহাম্মাদ হাসান, জহুরুল ইসলাম ওরফে বিট্ট বাবু। এর আগে বৃহস্পতিবার সুমন ব্যাপারী ও রকি তালুকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিকে মামলার আসামি মানিক র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। র‍্যাবের দাবি, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে খুন করানোর জন্য মানিককে ভাড়া করেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁরা ৩০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। মামলায় তিন নম্বর আসামি হিসেবে গত বুধবার র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এই সাবেক সংসদ সদস্য।

র‍্যাব ৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মানিক র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। প্রথমে র‍্যাব খবর পায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। টহল টিম সেখানে গেলে র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তাঁরা। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর দুজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলে সেখানে একজনকে গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ এসে নিহত মানিককে পল্লবীর হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করে। তাঁর লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ঘটনার সময় প্রথমে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহীনকে এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। এ সময় বাবুসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নজরদারি করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সাবেক এমপি আউয়ালকে ফোন করে পল্লবীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন বলেন, ‘স্যার ফিনিশড’। এরপর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গা–ঢাকা দেয়।

গত ১৬ মে বিকালে সুমনের নেতৃত্বে চলা নৃশংসভাবে খুন হন সাহিনুদ্দিন শাহীন। রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বর ডি ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কে ডেকে নিয়ে ছয় বছরের ছেলের সামনেই চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালের নাম উঠে আসে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তখনই দাবি করেন নিহতের মা আকলিমা বেগম।

তিনি বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি একদিন পর ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছায়া তদন্তে নেমে বুধবার নরসিংদীর ভৈরবে অভিযান চালিয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগের রাতে চাঁদপুরের হাইমচর থেকে হাসান (১৯) ও পটুয়াখালীর বাউফল থেকে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। সুমন ব্যাপারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সব মিলিয়ে ওই হত্যায় সাতজন গ্রেপ্তার ও একজন নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জমকালো দোতলা বাড়িতে দূতাবাস, সামনে সারি সারি কূটনৈতিক গাড়ি—৭ বছর পর জানা গেল ভুয়া

বেনজীরের এক ফ্ল্যাটেই ১৯ ফ্রিজ, আরও বিপুল ব্যবহার সামগ্রী উঠছে নিলামে

অবশেষে রাজি ভারত, ‘জিতেছে বাংলাদেশ’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে পলাতক আসামি

ই-মেইলে একযোগে ৫৪৭ ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, পুনর্বহালের দাবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত