নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এই আইনের সুফল মেলেনি। আইনটি সম্পর্কে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যেও ধারণা কম। ভুক্তভোগীরাও অনেক সময় এই আইনে মামলা করতে আগ্রহী হন না। আজ বুধবার বিকেলে ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০; প্রায়োগিক প্রতিবন্ধকতা ও বাস্তবায়ন বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন’–শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা তৈরি জরুরি। এই আইন বাস্তবায়নের কিছু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ৷
সভায় সংসদ সদস্য লুতফুন নেসা খান বলেন, ইউনিয়নগুলোতে প্রতি মাসে কয়টি পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং কতগুলো মামলা হয়েছে সেই তথ্য থাকা দরকার। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা এবং মামলা হওয়া, না হওয়া রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। এলাকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে প্রথমেই মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে যান নারীরা ৷ আর মেম্বার চেয়ারম্যান স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের পক্ষ নেন। ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে নারীদের সমান অধিকার রেখে উত্তরাধিকার আইন করা যাচ্ছে না।
আরেক সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে যত আইন আছে, সেগুলো যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ হতো, তাহলে এত সভা সমাবেশ করতে হতো না। আইনের বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নারী নয়, পুরুষদের প্রতিও সহিংসতা হয়।’
সভায় বক্তারা বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ নয়, সহিংসতা বন্ধ করা জরুরি—এই দৃষ্টিকোণ থেকে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সঠিক আইনে মামলা না হওয়ায় পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। অপরাধীও শাস্তি পাচ্ছে না। নারীর প্রতি সহিংসতার যেকোনো ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যৌতুক বা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দেওয়া হয়। সঠিক আইনে মামলা হয় না বলে অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী পার পেয়ে যান।
সুইডিশ দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান বলেন, ‘সারা বিশ্বেই নারীদের প্রতি সহিংসতা চলছে। নারীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নারী অধিকারকে তুচ্ছ বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমরা নারী অধিকারের জায়গা থেকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমরা কথা বলি তখন পুরুষদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ সময় বক্তারা আইনজীবী ও বিচারকদের পারিবারিক সহিংসতা আইনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এই আইনের বিষয়ে প্রচারণা চালানো দরকার বলে মত প্রকাশ করেন।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এই আইনের সুফল মেলেনি। আইনটি সম্পর্কে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যেও ধারণা কম। ভুক্তভোগীরাও অনেক সময় এই আইনে মামলা করতে আগ্রহী হন না। আজ বুধবার বিকেলে ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০; প্রায়োগিক প্রতিবন্ধকতা ও বাস্তবায়ন বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন’–শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা তৈরি জরুরি। এই আইন বাস্তবায়নের কিছু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ৷
সভায় সংসদ সদস্য লুতফুন নেসা খান বলেন, ইউনিয়নগুলোতে প্রতি মাসে কয়টি পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং কতগুলো মামলা হয়েছে সেই তথ্য থাকা দরকার। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা এবং মামলা হওয়া, না হওয়া রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। এলাকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে প্রথমেই মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে যান নারীরা ৷ আর মেম্বার চেয়ারম্যান স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের পক্ষ নেন। ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে নারীদের সমান অধিকার রেখে উত্তরাধিকার আইন করা যাচ্ছে না।
আরেক সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে যত আইন আছে, সেগুলো যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ হতো, তাহলে এত সভা সমাবেশ করতে হতো না। আইনের বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নারী নয়, পুরুষদের প্রতিও সহিংসতা হয়।’
সভায় বক্তারা বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ নয়, সহিংসতা বন্ধ করা জরুরি—এই দৃষ্টিকোণ থেকে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সঠিক আইনে মামলা না হওয়ায় পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। অপরাধীও শাস্তি পাচ্ছে না। নারীর প্রতি সহিংসতার যেকোনো ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যৌতুক বা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দেওয়া হয়। সঠিক আইনে মামলা হয় না বলে অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী পার পেয়ে যান।
সুইডিশ দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান বলেন, ‘সারা বিশ্বেই নারীদের প্রতি সহিংসতা চলছে। নারীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নারী অধিকারকে তুচ্ছ বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমরা নারী অধিকারের জায়গা থেকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমরা কথা বলি তখন পুরুষদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ সময় বক্তারা আইনজীবী ও বিচারকদের পারিবারিক সহিংসতা আইনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এই আইনের বিষয়ে প্রচারণা চালানো দরকার বলে মত প্রকাশ করেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে