Ajker Patrika

নারাজি থেকে পিছিয়ে গেলেন এলমার বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী ওরফে মেঘলা হত্যা মামলায় নারাজি দেবেন না এলমার বাবা। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার বাদী এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী লিখিতভাবে এ কথা জানিয়েছেন। 

নারাজি আবেদন থেকে বাদী পিছিয়ে যাওয়ায় আত্মহত্যা প্ররোচনার যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল তা গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক। মামলাটি এখন বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হবে। 
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আদালতে লিখে দিয়ে জানিয়েছেন তিনি তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করবেন না। অভিযোগপত্র গ্রহণ করলেও তার কোনো আপত্তি থাকবে না। 

নিহত এলমা চৌধুরী স্বামী ইফতেখার আবেদীনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর গত ২০ জুন বাদী আদালতে এই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে নারাজি আবেদন দাখিলের জন্য সময় চান। গত ৩ আগস্ট আরেক দফা সময় চান। দুই দফা সময় নেওয়ার পর আজ বাদী আদালতে এসে নারাজি দেবেন না বলে জানান। 

হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এই অভিযোগ ছিল বাদীর। 

এই তদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামী ইফতেখারের প্ররোচনায় এলমা চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ইফতেখারের মা শিরিন আমিন ও পালক বাবা মোহাম্মদ আমিনের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

এই মামলায় গত বছর ১৮ ডিসেম্বর ইফতেখারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তিনি জামিনে আছেন। 

গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান থানা-পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এলমা চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এলমা চৌধুরীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২ এপ্রিল এলমা চৌধুরীর সঙ্গে ইফতেখার আবেদীনের বিয়ে হয়। এলমা চৌধুরীকে বিয়ের পর থেকেই তার পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী ইফতেখার ও তার পরিবারের সদস্যরা। পড়াশোনা বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় এলমা চৌধুরীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন তার স্বামী। ওদিকে তিন মাস পর স্বামী ইফতেখার কানাডায় চলে যান। সম্প্রতি দেশে ফিরে এসে আবারও এলমা চৌধুরীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন তিনি। 

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এলমা চৌধুরীকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইফতেখার, তার মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মোহাম্মদ আমিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। 

এজাহারে আরও বলা হয় এলমা চৌধুরীর নাকে কালচে দাগ, ওপরের ঠোঁট, বাম কান, থুতনি, পিঠ, পায়ের আঙুল, পায়ের হাঁটুর নিচে কাটাছেঁড়া ও আঘাতের চিহ্ন ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত