Ajker Patrika

রিকশাচালক থেকে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আগাম জামিন নিতে এসে কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

এবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন এরশাদ আলী। আজ মঙ্গলবার জামিন নিতে হাজির হন হাইকোর্টে।

তবে তাঁকে জামিন না দিয়ে শাহাবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এরশাদ আলীর আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন আদালতে বলেন, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। তাছাড়া এই মামলায় এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে সরাসির জড়িত থাকার অভিযোগ নেই। তাই জামিন দেওয়া যায়।

জামিনের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘অর্থ আত্মসাত গুরুতর অপরাধ। তাছাড়া এই মামলায় উল্লেখ করা টাকা অনেক বড় অংক। এই আসামিকে জামিন দিলে অন্য অপরাধীরা উৎসাহিত হবে। এখানে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।’

গত বছরের ৮ জুন এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে এরশাদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়—পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের নাম করে ছয়টি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার এবং সাতটি ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখা থেকে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন এরশাদ আলীসহ আসামিরা।

জানা যায়, এক সময় রাজশাহীতে রিকশা চালাতেন এরশাদ আলী। পরে শুরু করেন বালুর ব্যবসা। ধীরে ধীরে পাথর, রড ও সিমেন্টের ব্যবসায় নামেন। নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেন অন্তত ৫০০ কোটি টাকা। এই অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত