নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কোতোয়ালি থানা করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বর্ণিত অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভিপি নুর ছাড়াও এ মামলায় অব্যাহতি পাওয়া অন্য চারজন হলেন-ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহাগ, নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহিল বাকী।
গত ৮ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। দুটি অভিযোগপত্র থেকে নুরসহ অন্যদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় বাদীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে মামুন তাঁর লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় একই বছরের ১২ জানুয়ারি বাদী অসুস্থ অবস্থায় আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হাসান আল মামুন। একপর্যায়ে মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে কোতোয়ালি থানাধীন ৫৬৩ / ৫৬৬ মিউনিসিপ্যাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান আসামি সোহাগ। সেখানে বাদীকে সকালের নাশতা করিয়ে কৌশলে লঞ্চযোগে চাঁদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছে মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর মনে সন্দেহ জাগে। তখন দ্রুত ঢাকায় ফিরতে সোহাগকে তাড়া দেন বাদী। ওই দিনই বিকেলে সোহাগ বাদীকে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে অবস্থান নেন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন। এমনকি বাদী কান্নাকাটি করলে তাঁকে ‘নষ্ট মেয়ে’ বলেও ভয়ভীতি দেখান এবং কান্না করে লাভ হবে না বলে হুমকি দেন সোহাগ।
এরপর গত বছরের ২৯ মে আসামি সোহাগ বাদীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আরোহী সীমা ও বৈশাখী দাস নামের দুটি ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন গ্রুপে বাদীর মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেন। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২০ জুন বাদী এ বিষয়টি বিবাদী ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানান।
বিস্তারিত শোনার পর ভিপি নুর বাদীকে সুব্যবস্থার আশ্বাস দেন। ওই বছরের ২৪ জুন আসামি নুর বাদীকে নীলক্ষেত এলাকায় দেখা করতে বলেন এবং বাদী সেখানে উপস্থিত হলে তাঁকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। খারাপ মেয়ে বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
রাজধানীর কোতোয়ালি থানা করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বর্ণিত অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভিপি নুর ছাড়াও এ মামলায় অব্যাহতি পাওয়া অন্য চারজন হলেন-ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহাগ, নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহিল বাকী।
গত ৮ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। দুটি অভিযোগপত্র থেকে নুরসহ অন্যদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় বাদীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে মামুন তাঁর লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় একই বছরের ১২ জানুয়ারি বাদী অসুস্থ অবস্থায় আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হাসান আল মামুন। একপর্যায়ে মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে কোতোয়ালি থানাধীন ৫৬৩ / ৫৬৬ মিউনিসিপ্যাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান আসামি সোহাগ। সেখানে বাদীকে সকালের নাশতা করিয়ে কৌশলে লঞ্চযোগে চাঁদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছে মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর মনে সন্দেহ জাগে। তখন দ্রুত ঢাকায় ফিরতে সোহাগকে তাড়া দেন বাদী। ওই দিনই বিকেলে সোহাগ বাদীকে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে অবস্থান নেন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন। এমনকি বাদী কান্নাকাটি করলে তাঁকে ‘নষ্ট মেয়ে’ বলেও ভয়ভীতি দেখান এবং কান্না করে লাভ হবে না বলে হুমকি দেন সোহাগ।
এরপর গত বছরের ২৯ মে আসামি সোহাগ বাদীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আরোহী সীমা ও বৈশাখী দাস নামের দুটি ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন গ্রুপে বাদীর মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেন। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২০ জুন বাদী এ বিষয়টি বিবাদী ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানান।
বিস্তারিত শোনার পর ভিপি নুর বাদীকে সুব্যবস্থার আশ্বাস দেন। ওই বছরের ২৪ জুন আসামি নুর বাদীকে নীলক্ষেত এলাকায় দেখা করতে বলেন এবং বাদী সেখানে উপস্থিত হলে তাঁকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। খারাপ মেয়ে বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২০ দিন আগে