ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আপসমীমাংসা করা হয়েছে। সালিসে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং খুন-পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আসামিপক্ষের লোকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে হত্যা মামলার আসামি এবং বাদীপক্ষের লোকেদের উপস্থিতিতে এই আপস-মীমাংসা হয়।
স্থানীয় ও সালিস বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুকুল মিনার সঙ্গে ময়েনদিয়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান মাতুব্বরের শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গত বছর ২৩ জুলাই সকাল থেকে কাটাখাল এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০টি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত শহীদ ফকির (৪৭) ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ওই দিন সন্ধ্যায় মারা যান। নিহত শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন। নিহত শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুদ শেখের সমর্থক ছিলেন।
ওই হত্যার ঘটনায় ২৯ জনকে আসামি করে গত ২৬ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের ফুপাতো ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুদ শেখ বলেন, ‘সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় এ ঘটনায় একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের আপস-মীমাংসা হয়েছে।’
মাসুদ শেখ আরও বলেন, ‘যদিও আমি সালিসে শেষ পর্যন্ত ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি, আসামিপক্ষের লোকেরা নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং ওই সময় বাদীপক্ষের লোকজন কর্তৃক আসামিপক্ষের লোকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে সালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মান্নান মাতুব্বর এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের সম্মতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেনের মধ্যস্থতায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং ওই সময় বাদীপক্ষের লোকজন কর্তৃক আসামিপক্ষের লোকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে সালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
মান্নান মাতুব্বর আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ধার্যকৃত টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান মামলা-মোকদ্দমা যার যার খরচে প্রত্যাহার করতে হবে।’
এ মামলার বাদী, নিহতের ফুপাতো ভাই আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, ‘এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে উভয় পক্ষের সম্মতিতে এক সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে আপস-মীমাংসা করা হয়।’
মুশা মিয়া আরও বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলেই পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকজন এসে আমাদের লোকজনের সঙ্গে এক হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আপস-মীমাংসা করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে সালিস বৈঠক করে হত্যা মামলার মীমাংসার বিষয়টি জানা নেই। মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।’
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আপসমীমাংসা করা হয়েছে। সালিসে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং খুন-পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আসামিপক্ষের লোকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে হত্যা মামলার আসামি এবং বাদীপক্ষের লোকেদের উপস্থিতিতে এই আপস-মীমাংসা হয়।
স্থানীয় ও সালিস বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুকুল মিনার সঙ্গে ময়েনদিয়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান মাতুব্বরের শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গত বছর ২৩ জুলাই সকাল থেকে কাটাখাল এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০টি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত শহীদ ফকির (৪৭) ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ওই দিন সন্ধ্যায় মারা যান। নিহত শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন। নিহত শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুদ শেখের সমর্থক ছিলেন।
ওই হত্যার ঘটনায় ২৯ জনকে আসামি করে গত ২৬ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের ফুপাতো ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুদ শেখ বলেন, ‘সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় এ ঘটনায় একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের আপস-মীমাংসা হয়েছে।’
মাসুদ শেখ আরও বলেন, ‘যদিও আমি সালিসে শেষ পর্যন্ত ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি, আসামিপক্ষের লোকেরা নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং ওই সময় বাদীপক্ষের লোকজন কর্তৃক আসামিপক্ষের লোকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে সালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মান্নান মাতুব্বর এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের সম্মতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেনের মধ্যস্থতায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং ওই সময় বাদীপক্ষের লোকজন কর্তৃক আসামিপক্ষের লোকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে সালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
মান্নান মাতুব্বর আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ধার্যকৃত টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান মামলা-মোকদ্দমা যার যার খরচে প্রত্যাহার করতে হবে।’
এ মামলার বাদী, নিহতের ফুপাতো ভাই আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, ‘এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে উভয় পক্ষের সম্মতিতে এক সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে আপস-মীমাংসা করা হয়।’
মুশা মিয়া আরও বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলেই পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকজন এসে আমাদের লোকজনের সঙ্গে এক হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আপস-মীমাংসা করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে সালিস বৈঠক করে হত্যা মামলার মীমাংসার বিষয়টি জানা নেই। মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৯ দিন আগে