নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসানকে হত্যার দায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফয়সাল, আশিকুর ওরফে আশিক, মো. রাসেল, ওলিউর রহমান ওলি, সাদ্দাম হোসেন, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ।
প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আরও তিন মাস কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। একজন স্কুলছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য। কিন্তু সব আসামি অল্প বয়সী তাই তাদের বয়স বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। রায়ের পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। খালাস প্রাপ্ত দুজনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকলে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় অন্যান্য লোকজনসহ মো. মোশারফ হোসেন মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি নামের এক প্রতিবেশী মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান। মেহেদীর ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে। নিহত মেহেদী মিরপুর বাংলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করা হয়। বিচার চলাকালে ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসানকে হত্যার দায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফয়সাল, আশিকুর ওরফে আশিক, মো. রাসেল, ওলিউর রহমান ওলি, সাদ্দাম হোসেন, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ।
প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আরও তিন মাস কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। একজন স্কুলছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য। কিন্তু সব আসামি অল্প বয়সী তাই তাদের বয়স বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। রায়ের পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। খালাস প্রাপ্ত দুজনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকলে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় অন্যান্য লোকজনসহ মো. মোশারফ হোসেন মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি নামের এক প্রতিবেশী মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান। মেহেদীর ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে। নিহত মেহেদী মিরপুর বাংলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করা হয়। বিচার চলাকালে ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে