Ajker Patrika

ঢাবিতে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে রড দিয়ে পেটালেন আরেক কর্মী

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে রড দিয়ে পেটালেন আরেক কর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে রড দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ১০০১১ নম্বর রুমে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মোনাফ প্রান্ত। মোনাফ শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ২০১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল মাহমুদ একই সেশনের বাংলা বিভাগের ছাত্র। দুজনই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের অনুসারী। ইউনুস ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। 

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসেল মাহমুদ। 

হলের একাধিক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে জানান, হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর এলাকাভিত্তিক রুমের দৌরাত্ম্য কমাতে রুম পরিবর্তন করা হয়। সেই হিসেবে রাসেলের কক্ষে মোনাফ প্রান্তকে শিফট করা হয়। কক্ষে প্রবেশ করেই রাসেলকে জিনিসপত্র নিয়ে রুম থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে বলে অভিযুক্ত মোনাফ। রাসেলের বের হতে দেরি হওয়ায় তাঁকে তখন রড দিয়ে আঘাত করে মোনাফ। পরে রাসেলের বন্ধুরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগী রাসেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোনাফ আমাকে অতর্কিতভাবে মারধর করে। রড দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে। কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। তার সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটিও হয়নি। আমি এ ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ 

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মোনাফ প্রান্ত বলেন, ‘ছোট ও বিচ্ছিন্ন একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাকে একটি পক্ষ বড় বানাচ্ছে। আমার কিছু বলার নেই।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি হল প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’ 

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়টি নজরে রাখতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দুজনের ব্যক্তিগত বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে। হল প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। আমরা হল প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত