নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় দুই শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার পথে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি ডাকাত চক্রের পরিচয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীজুড়ে ডাকাতি করে আসছিল।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া নিয়ে ডাকাতি করত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে চক্রটি গাড়ির নম্বরপ্লেট টেপ দিয়ে ঢেকে দিত। চক্রটি সপ্তাহে এক দিন রাতভর একাধিক ডাকাতি করত। চক্রের সাত সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—চক্রের মূল হোতা আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে অনিক। গাড়ি ভাড়া নেওয়া ও ডাকাতির সময় গাড়ির চালক ফখরুল ইসলাম। মো. আলমাস, সামুন, শাহিন, বাবু ও শফিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার, দুটি চাপাতি। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া একটি ল্যাপটপ, শিক্ষার্থীদের একটিসহ মোট ১৮টি মোবাইল, নগদ ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও ৩ হাজার টাকা।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মাহবুব আলম।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রাজধানীর রমনা থানার মগবাজারের ওয়ারলেস এলাকায় ডা. সিরাজুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত ভারতীয় দুই শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল দুই সপ্তাহের ছুটিতে ভারতে ফেরার পথে ২৩ জানুয়ারি ভোররাতে ছিনতাইয়ের শিকার হন। ঘটনার সময়ে সাদা রঙের গাড়িতে থাকা চারজন ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর পথ রোধ করে। তারা সবাই মুখোশ পরা ছিল। চারজনের দুজন দুই শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ধরে। অপর দুজন তাঁদের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ, ল্যাপটপ, মোবাইল, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি ও ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ঘটনার দিন ভুক্তভোগীরা রমনা থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। থানার পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত একটি ডাকাত দলের সন্ধান পায়। ঘটনার সময় চারজন উপস্থিত থাকলেও ডাকাত দলের সাত সদস্যের তথ্য পাওয়া যায়।
মাহবুব আলম আরও বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাত চক্রের সদস্যরা অভিনব কায়দায় ডাকাতি করে আসছিল। তারা বিভিন্নজনের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে রাতভর ডাকাতি করত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা গাড়ির নম্বরপ্লেট ঢেকে রাখত। পুরো রাজধানীজুড়ে দাপিয়ে বেড়াত চক্রটি। আর সুযোগ পেলেই তারা সাধারণ মানুষের সর্বস্ব ছিনিয়ে দ্রুত চলে যেত। চক্রটি সপ্তাহে এক দিন ডাকাতি করত। চক্রের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের মূল হোতা অনিকের বিরুদ্ধে আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পরে ছিনতাই মামলা হলেও ডাকাতির প্রমাণ পাওয়ায় এই মামলা ডাকাতিতে রূপান্তরিত করা হবে।
রাজধানীতে প্রায়ই এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, আপনাদের নজরদারি নেই কেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, টহল পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও নজরদারি রয়েছে। যেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘটছে, সেখানে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই ছিনতাইকারীরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা ছিনতাইয়ের কাজ করে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সেই কাজই ডিবি পুলিশ করে যাচ্ছে।
প্রাইভেট কার যাঁরা ভাড়া দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জানতেন না তাঁর গাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিনতাইয়ের কাজে যাচ্ছে। পরিচিত অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে গাড়ি ভাড়া না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ছিনতাই করত, নাকি সমগ্র ঢাকা শহরে ছিনতাই করত—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাঁদের নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই, রাতে বের হয়ে সময়-সুযোগ বুঝে ছিনতাই করত।
১৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এই মোবাইলগুলোর মালিক কে বা কারা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্ধার ১৮টি মোবাইলের মধ্যে একটি ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থীর। বাকি ১৭টি মোবাইলের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় দুই শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার পথে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি ডাকাত চক্রের পরিচয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীজুড়ে ডাকাতি করে আসছিল।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া নিয়ে ডাকাতি করত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে চক্রটি গাড়ির নম্বরপ্লেট টেপ দিয়ে ঢেকে দিত। চক্রটি সপ্তাহে এক দিন রাতভর একাধিক ডাকাতি করত। চক্রের সাত সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—চক্রের মূল হোতা আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে অনিক। গাড়ি ভাড়া নেওয়া ও ডাকাতির সময় গাড়ির চালক ফখরুল ইসলাম। মো. আলমাস, সামুন, শাহিন, বাবু ও শফিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার, দুটি চাপাতি। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া একটি ল্যাপটপ, শিক্ষার্থীদের একটিসহ মোট ১৮টি মোবাইল, নগদ ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও ৩ হাজার টাকা।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মাহবুব আলম।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রাজধানীর রমনা থানার মগবাজারের ওয়ারলেস এলাকায় ডা. সিরাজুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত ভারতীয় দুই শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল দুই সপ্তাহের ছুটিতে ভারতে ফেরার পথে ২৩ জানুয়ারি ভোররাতে ছিনতাইয়ের শিকার হন। ঘটনার সময়ে সাদা রঙের গাড়িতে থাকা চারজন ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর পথ রোধ করে। তারা সবাই মুখোশ পরা ছিল। চারজনের দুজন দুই শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ধরে। অপর দুজন তাঁদের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ, ল্যাপটপ, মোবাইল, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি ও ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ঘটনার দিন ভুক্তভোগীরা রমনা থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। থানার পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত একটি ডাকাত দলের সন্ধান পায়। ঘটনার সময় চারজন উপস্থিত থাকলেও ডাকাত দলের সাত সদস্যের তথ্য পাওয়া যায়।
মাহবুব আলম আরও বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাত চক্রের সদস্যরা অভিনব কায়দায় ডাকাতি করে আসছিল। তারা বিভিন্নজনের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে রাতভর ডাকাতি করত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা গাড়ির নম্বরপ্লেট ঢেকে রাখত। পুরো রাজধানীজুড়ে দাপিয়ে বেড়াত চক্রটি। আর সুযোগ পেলেই তারা সাধারণ মানুষের সর্বস্ব ছিনিয়ে দ্রুত চলে যেত। চক্রটি সপ্তাহে এক দিন ডাকাতি করত। চক্রের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের মূল হোতা অনিকের বিরুদ্ধে আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পরে ছিনতাই মামলা হলেও ডাকাতির প্রমাণ পাওয়ায় এই মামলা ডাকাতিতে রূপান্তরিত করা হবে।
রাজধানীতে প্রায়ই এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, আপনাদের নজরদারি নেই কেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, টহল পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও নজরদারি রয়েছে। যেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘটছে, সেখানে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই ছিনতাইকারীরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা ছিনতাইয়ের কাজ করে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সেই কাজই ডিবি পুলিশ করে যাচ্ছে।
প্রাইভেট কার যাঁরা ভাড়া দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জানতেন না তাঁর গাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিনতাইয়ের কাজে যাচ্ছে। পরিচিত অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে গাড়ি ভাড়া না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ছিনতাই করত, নাকি সমগ্র ঢাকা শহরে ছিনতাই করত—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাঁদের নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই, রাতে বের হয়ে সময়-সুযোগ বুঝে ছিনতাই করত।
১৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এই মোবাইলগুলোর মালিক কে বা কারা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্ধার ১৮টি মোবাইলের মধ্যে একটি ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থীর। বাকি ১৭টি মোবাইলের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়া হবে।
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
৩ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪