Ajker Patrika

দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার

খালার সঙ্গে শত্রুতা মুহাম্মদ ইউনূসের, আমি ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’: টিউলিপ সিদ্দিক

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪৫
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি দেশটির পার্লামেন্টারি আসনের এমপিও। দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বেশ ঘনিষ্ঠ।

বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর কাছে নতুন নয়। তবে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে—এই খবর মাত্র সপ্তাহখানেক আগে তিনি জেনেছেন আইনজীবীর মারফত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিয়েছেন।

বরাবরের মতো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘পুরোপুরি অবাস্তব’। আগামীকাল সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার আদালতে টিউলিপসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। সশরীরে বা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনি এই শুনানিতে অংশ নেবেন কি না?

জবাবে টিউলিপ বলেন, ‘আমি হোগো কিথ কেসির কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আমার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, সেটা তাঁদের পরামর্শের আলোকে নির্ধারণ করা হবে।’

তিনি বলেন, আদালতে হাজির হতে ‘আনুষ্ঠানিক সমন’ পাননি তিনি। তাঁর ‘বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে’, তা তিনি ‘এখনো জানেন না’।

এই ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমি যেন এক চরম অস্বস্তিকর দুঃস্বপ্নে আটকে গেছি, যেখানে আমাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অথচ আমি এখনো জানতে পারিনি, অভিযোগটা কী বা এই বিচার আসলে কী নিয়ে।’

বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে টিউলিপের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। টিউলিপ দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যর্পণ ইস্যু সামনে আসবে। তবে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।’

টিউলিপ যে দেশের নাগরিক, তার থেকে প্রায় ৫ হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন তাঁর খালা শেখ হাসিনা। কিন্তু গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার শাসন ভেঙে পড়ে। টানা দেড় দশকের শাসনামলে ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে থাকা হাসিনা নির্মম প্রাণঘাতী উপায়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যখন তাঁর সরকারের পতন হয়, তখন তাঁর সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা। পরে হাসিনা ও রেহানা—দুজনই ভারতে চলে যান।

টিউলিপ জানান, সেই সময়টা ছিল ঢাকায় অবস্থান করা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য সত্যিকারের ভয়াবহ সময়। তবে ব্রিটেনে টিউলিপের স্বামী, দুই সন্তানের জীবন তাতে খুব একটা বাধাগ্রস্ত হয়নি। সবকিছুই ছিল তাঁদের জন্য স্বাভাবিক।

শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে টিউলিপ বলেন, ‘আমি এখানে আমার খালাকে রক্ষা করার জন্য আসিনি। আমি জানি, তাঁর সরকারি দায়িত্ব কীভাবে পরিচালিত হয়েছে, কীভাবে শেষ হয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। আর আমি সত্যিই আশা করি, বাংলাদেশের মানুষ যে পরিসমাপ্তি চায়, তারা যেন তা পায়।’

হাসিনার পতনের পর তাঁর এবং টিউলিপের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার তছরুপের অভিযোগ ওঠে। একটি ছবিকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগের পালে হাওয়া লাগে। ছবিটিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে রাশিয়া সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বসে আছেন। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন হাস্যোজ্জ্বল টিউলিপ সিদ্দিক। তবে খালার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগকে তিনি ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এই ছবির বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘আমার খালা রাশিয়ায় সরকারি সফরে গিয়েছিলেন। আমি ও আমার বোন লন্ডন থেকে রাশিয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি কোনো রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিইনি। আমরা ভ্রমণ করেছি, মজা করেছি, রেস্টুরেন্টে গেছি, শপিং করেছি। সফরের শেষ দিনে, সেখানে উপস্থিত সব রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্যদের চা পান ও এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে ছবিও তোলা হয়েছিল। আমি দুই মিনিটের জন্য পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।’

তবে কেবল এই অভিযোগই নয়, টিউলিপের বিরুদ্ধে পরে কিংস ক্রসে ২০০৪ সালে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এই ফ্ল্যাট হাসিনার দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির। টিউলিপ জানান, ফ্ল্যাটের আগের মালিক তাঁর ‘ধর্মপিতা’ এবং তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবে এর আগে, টিউলিপ দুই বছর আগে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এই ফ্ল্যাট তাঁকে তাঁর বাবা-মা কিনে উপহার দিয়েছিলেন।

এরপর প্রশ্ন ওঠে, টিউলিপ কেন ক্রিকলউডে থাকা নিজের বাড়ি রেখে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রোপার্টি ডেভেলপারের নামে থাকা একটি বাড়িতে বসবাস করছেন? এই বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তিকে তিনি লেবার পার্টির মাধ্যমেই চিনেছিলেন। টিউলিপ জানান, তাঁর নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। তাই তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন।

টিউলিপ জানান, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ডেভিড অ্যামেস তাঁর কর্মস্থলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে তাঁকে স্থানান্তরিত হতে বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি সেই পরিচিত ব্যক্তির ওপর নির্ভর করেন। তিনি জানান, তিনি বাজার মূল্য অনুসারে ভাড়া দিয়েছেন। এবং এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তিনি নিজে বিষয়টি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে উপস্থাপন করেন।

দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ‘ব্যাপক’ বৈঠক শেষে লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। তবে ম্যাগনাস যোগ করেন, ‘তিনি তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক এবং সরকারি ভূমিকার কারণে সম্ভাব্য মানহানির ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না, এটি দুঃখজনক।’ তবে এই বিষয়ে টিউলিপ কিছুটা বিরক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি তো আমার খালার পরে জন্মেছি, সেটা তো আমি বদলাতে পারি না। এটা অদ্ভুত কথা! যেন বলা হচ্ছে, তোমাকে তোমার জন্মের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত ছিল।’

টিউলিপের দাবি, তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পালা থামেনি। তাঁর আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টতা চাইলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি—বলেও অভিযোগ করেন টিউলিপ। তিনি এ বছর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। তবে ড. ইউনূস তা নাকচ করে বলেন, এটি বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের অপরাধ তদন্ত সংস্থা লন্ডনে হাসিনার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে। জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে একটি বাড়িও রয়েছে, যেখানে টিউলিপের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন এবং এখনো তাঁর কিছু জিনিসপত্র সেই বাড়িতে রয়েছে। টিউলিপ দাবি করেন, এটার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।

টিউলিপ বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু লোক ভুল করেছে এবং তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই। সত্য হলো, আমি শুধুই কোল্যাটারাল ড্যামেজ। কারণ, আমার খালার সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের শত্রুতার পরিণতি এটা। এ ক্ষেত্রে আমি যে বড় শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি, তাতে সন্দেহ নেই।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। ছবি: এএফপি
হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের মুরাক উ শহরের হাসপাতালটিতে বুধবার রাতে একটি সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা রয়টার্সকে বলেন, ‘মুরাক উ জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সরাসরি হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোয় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।’

ওয়াই হুন অং নামে স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী জানান, হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। কারণ, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কিছু ছবি শেয়ার করে ওয়াই হুন অং জানান, হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়েছে। আশপাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। হামলার পর বাকি রোগীদের একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা জানান, মুরাক উ শহরটি গত বছর থেকেই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক জান্তার সঙ্গে বড় কোনো লড়াই হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত চলছে।

সম্প্রতি, জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী—২০২৪ সালে মিয়ানমারে বিমান হামলার ঘটনা ছিল ১ হাজার ৭১৬টি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিমান হামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি।

২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টি থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি বর্তমানে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় একটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড: মালিক ভ্রাতৃদ্বয় থাইল্যান্ডে আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০০
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।

আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।

এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তাঁরা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।

তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’

আরব সাগরতীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ডের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’

এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’

মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলার তেলের ট্যাংকার মেরে দেওয়ার ঘোষণায় ট্রাম্পকে ‘জলদস্যু’ বলল কারাকাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৫
ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে একটি বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে একটি বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি। একটি বিশাল ট্যাংকার। খুব বড়। সত্যি বলতে গেলে, যা এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় জব্দ।’ ট্যাংকার জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জাহাজটিকে ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার’ বলে আখ্যা দেন।

নিকোলাস মাদুরো সরকার দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা করে একে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুগিরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই ‘তেল উপনিবেশে’ পরিণত হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছে এবং বিগত মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে একঘরে করার প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছে। অপর দিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত তেল মজুতের অধিকারী ভেনেজুয়েলা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছে।

এই জব্দের খবরে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী, এই পদক্ষেপ জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে আরও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানান, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–এফবিআই, প্রতিরক্ষা দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর এবং ইউএস কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। দেশের শীর্ষ সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘বহু বছর ধরে এই তেলের ট্যাংকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল, কারণ এটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনকারী একটি অবৈধ তেল শিপিং নেটওয়ার্কে জড়িত ছিল।’

বন্ডির শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিশাল জাহাজের ওপর চক্কর কাটছে এবং সেনারা দড়ি ব্যবহার করে জাহাজের ডেকে নামছে। ক্লিপটিতে ইউনিফর্ম পরা পুরুষদের সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলো ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি এবং গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।

এই অপারেশনে দুটি হেলিকপ্টার, ১০ কোস্ট গার্ড সদস্য ও ১০ জন মেরিনস, তার সঙ্গে বিশেষ বাহিনী যুক্ত ছিল। সিবিএসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এমন আরও পদক্ষেপের কথা ভাবছে।

সাংবাদিকেরা ট্যাংকারের তেলের কী হবে—জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তা রাখব, মনে হয়... আমি ধরে নিচ্ছি, আমরা তেলটা রেখে দেব।’

মেরিটাইম রিস্ক অর্গানাইজেশন সংস্থা ভ্যানগার্ড টেক জাহাজটিকে স্কিপার নামে শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিশ্বাস, জাহাজটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান ‘স্পুফিং’ বা মিথ্যা অবস্থান প্রচার করে আসছিল। সিবিএসের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করা কথিত তেল পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর ২০২২ সালে স্কিপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত