দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি দেশটির পার্লামেন্টারি আসনের এমপিও। দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বেশ ঘনিষ্ঠ।
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর কাছে নতুন নয়। তবে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে—এই খবর মাত্র সপ্তাহখানেক আগে তিনি জেনেছেন আইনজীবীর মারফত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিয়েছেন।
বরাবরের মতো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘পুরোপুরি অবাস্তব’। আগামীকাল সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার আদালতে টিউলিপসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। সশরীরে বা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনি এই শুনানিতে অংশ নেবেন কি না?
জবাবে টিউলিপ বলেন, ‘আমি হোগো কিথ কেসির কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আমার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, সেটা তাঁদের পরামর্শের আলোকে নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, আদালতে হাজির হতে ‘আনুষ্ঠানিক সমন’ পাননি তিনি। তাঁর ‘বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে’, তা তিনি ‘এখনো জানেন না’।
এই ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমি যেন এক চরম অস্বস্তিকর দুঃস্বপ্নে আটকে গেছি, যেখানে আমাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অথচ আমি এখনো জানতে পারিনি, অভিযোগটা কী বা এই বিচার আসলে কী নিয়ে।’
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে টিউলিপের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। টিউলিপ দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যর্পণ ইস্যু সামনে আসবে। তবে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।’
টিউলিপ যে দেশের নাগরিক, তার থেকে প্রায় ৫ হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন তাঁর খালা শেখ হাসিনা। কিন্তু গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার শাসন ভেঙে পড়ে। টানা দেড় দশকের শাসনামলে ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে থাকা হাসিনা নির্মম প্রাণঘাতী উপায়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যখন তাঁর সরকারের পতন হয়, তখন তাঁর সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা। পরে হাসিনা ও রেহানা—দুজনই ভারতে চলে যান।
টিউলিপ জানান, সেই সময়টা ছিল ঢাকায় অবস্থান করা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য সত্যিকারের ভয়াবহ সময়। তবে ব্রিটেনে টিউলিপের স্বামী, দুই সন্তানের জীবন তাতে খুব একটা বাধাগ্রস্ত হয়নি। সবকিছুই ছিল তাঁদের জন্য স্বাভাবিক।
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে টিউলিপ বলেন, ‘আমি এখানে আমার খালাকে রক্ষা করার জন্য আসিনি। আমি জানি, তাঁর সরকারি দায়িত্ব কীভাবে পরিচালিত হয়েছে, কীভাবে শেষ হয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। আর আমি সত্যিই আশা করি, বাংলাদেশের মানুষ যে পরিসমাপ্তি চায়, তারা যেন তা পায়।’
হাসিনার পতনের পর তাঁর এবং টিউলিপের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার তছরুপের অভিযোগ ওঠে। একটি ছবিকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগের পালে হাওয়া লাগে। ছবিটিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে রাশিয়া সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বসে আছেন। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন হাস্যোজ্জ্বল টিউলিপ সিদ্দিক। তবে খালার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগকে তিনি ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এই ছবির বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘আমার খালা রাশিয়ায় সরকারি সফরে গিয়েছিলেন। আমি ও আমার বোন লন্ডন থেকে রাশিয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি কোনো রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিইনি। আমরা ভ্রমণ করেছি, মজা করেছি, রেস্টুরেন্টে গেছি, শপিং করেছি। সফরের শেষ দিনে, সেখানে উপস্থিত সব রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্যদের চা পান ও এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে ছবিও তোলা হয়েছিল। আমি দুই মিনিটের জন্য পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।’
তবে কেবল এই অভিযোগই নয়, টিউলিপের বিরুদ্ধে পরে কিংস ক্রসে ২০০৪ সালে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এই ফ্ল্যাট হাসিনার দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির। টিউলিপ জানান, ফ্ল্যাটের আগের মালিক তাঁর ‘ধর্মপিতা’ এবং তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবে এর আগে, টিউলিপ দুই বছর আগে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এই ফ্ল্যাট তাঁকে তাঁর বাবা-মা কিনে উপহার দিয়েছিলেন।
এরপর প্রশ্ন ওঠে, টিউলিপ কেন ক্রিকলউডে থাকা নিজের বাড়ি রেখে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রোপার্টি ডেভেলপারের নামে থাকা একটি বাড়িতে বসবাস করছেন? এই বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তিকে তিনি লেবার পার্টির মাধ্যমেই চিনেছিলেন। টিউলিপ জানান, তাঁর নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। তাই তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন।
টিউলিপ জানান, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ডেভিড অ্যামেস তাঁর কর্মস্থলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে তাঁকে স্থানান্তরিত হতে বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি সেই পরিচিত ব্যক্তির ওপর নির্ভর করেন। তিনি জানান, তিনি বাজার মূল্য অনুসারে ভাড়া দিয়েছেন। এবং এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তিনি নিজে বিষয়টি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে উপস্থাপন করেন।
দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ‘ব্যাপক’ বৈঠক শেষে লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। তবে ম্যাগনাস যোগ করেন, ‘তিনি তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক এবং সরকারি ভূমিকার কারণে সম্ভাব্য মানহানির ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না, এটি দুঃখজনক।’ তবে এই বিষয়ে টিউলিপ কিছুটা বিরক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি তো আমার খালার পরে জন্মেছি, সেটা তো আমি বদলাতে পারি না। এটা অদ্ভুত কথা! যেন বলা হচ্ছে, তোমাকে তোমার জন্মের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত ছিল।’
টিউলিপের দাবি, তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পালা থামেনি। তাঁর আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টতা চাইলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি—বলেও অভিযোগ করেন টিউলিপ। তিনি এ বছর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। তবে ড. ইউনূস তা নাকচ করে বলেন, এটি বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের অপরাধ তদন্ত সংস্থা লন্ডনে হাসিনার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে। জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে একটি বাড়িও রয়েছে, যেখানে টিউলিপের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন এবং এখনো তাঁর কিছু জিনিসপত্র সেই বাড়িতে রয়েছে। টিউলিপ দাবি করেন, এটার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
টিউলিপ বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু লোক ভুল করেছে এবং তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই। সত্য হলো, আমি শুধুই কোল্যাটারাল ড্যামেজ। কারণ, আমার খালার সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের শত্রুতার পরিণতি এটা। এ ক্ষেত্রে আমি যে বড় শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি, তাতে সন্দেহ নেই।’
গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি দেশটির পার্লামেন্টারি আসনের এমপিও। দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বেশ ঘনিষ্ঠ।
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর কাছে নতুন নয়। তবে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে—এই খবর মাত্র সপ্তাহখানেক আগে তিনি জেনেছেন আইনজীবীর মারফত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিয়েছেন।
বরাবরের মতো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘পুরোপুরি অবাস্তব’। আগামীকাল সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার আদালতে টিউলিপসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। সশরীরে বা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনি এই শুনানিতে অংশ নেবেন কি না?
জবাবে টিউলিপ বলেন, ‘আমি হোগো কিথ কেসির কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আমার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, সেটা তাঁদের পরামর্শের আলোকে নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, আদালতে হাজির হতে ‘আনুষ্ঠানিক সমন’ পাননি তিনি। তাঁর ‘বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে’, তা তিনি ‘এখনো জানেন না’।
এই ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমি যেন এক চরম অস্বস্তিকর দুঃস্বপ্নে আটকে গেছি, যেখানে আমাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অথচ আমি এখনো জানতে পারিনি, অভিযোগটা কী বা এই বিচার আসলে কী নিয়ে।’
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে টিউলিপের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। টিউলিপ দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যর্পণ ইস্যু সামনে আসবে। তবে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।’
টিউলিপ যে দেশের নাগরিক, তার থেকে প্রায় ৫ হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন তাঁর খালা শেখ হাসিনা। কিন্তু গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার শাসন ভেঙে পড়ে। টানা দেড় দশকের শাসনামলে ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে থাকা হাসিনা নির্মম প্রাণঘাতী উপায়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যখন তাঁর সরকারের পতন হয়, তখন তাঁর সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা। পরে হাসিনা ও রেহানা—দুজনই ভারতে চলে যান।
টিউলিপ জানান, সেই সময়টা ছিল ঢাকায় অবস্থান করা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য সত্যিকারের ভয়াবহ সময়। তবে ব্রিটেনে টিউলিপের স্বামী, দুই সন্তানের জীবন তাতে খুব একটা বাধাগ্রস্ত হয়নি। সবকিছুই ছিল তাঁদের জন্য স্বাভাবিক।
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে টিউলিপ বলেন, ‘আমি এখানে আমার খালাকে রক্ষা করার জন্য আসিনি। আমি জানি, তাঁর সরকারি দায়িত্ব কীভাবে পরিচালিত হয়েছে, কীভাবে শেষ হয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। আর আমি সত্যিই আশা করি, বাংলাদেশের মানুষ যে পরিসমাপ্তি চায়, তারা যেন তা পায়।’
হাসিনার পতনের পর তাঁর এবং টিউলিপের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার তছরুপের অভিযোগ ওঠে। একটি ছবিকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগের পালে হাওয়া লাগে। ছবিটিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে রাশিয়া সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বসে আছেন। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন হাস্যোজ্জ্বল টিউলিপ সিদ্দিক। তবে খালার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগকে তিনি ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এই ছবির বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘আমার খালা রাশিয়ায় সরকারি সফরে গিয়েছিলেন। আমি ও আমার বোন লন্ডন থেকে রাশিয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি কোনো রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিইনি। আমরা ভ্রমণ করেছি, মজা করেছি, রেস্টুরেন্টে গেছি, শপিং করেছি। সফরের শেষ দিনে, সেখানে উপস্থিত সব রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্যদের চা পান ও এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে ছবিও তোলা হয়েছিল। আমি দুই মিনিটের জন্য পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।’
তবে কেবল এই অভিযোগই নয়, টিউলিপের বিরুদ্ধে পরে কিংস ক্রসে ২০০৪ সালে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এই ফ্ল্যাট হাসিনার দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির। টিউলিপ জানান, ফ্ল্যাটের আগের মালিক তাঁর ‘ধর্মপিতা’ এবং তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবে এর আগে, টিউলিপ দুই বছর আগে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এই ফ্ল্যাট তাঁকে তাঁর বাবা-মা কিনে উপহার দিয়েছিলেন।
এরপর প্রশ্ন ওঠে, টিউলিপ কেন ক্রিকলউডে থাকা নিজের বাড়ি রেখে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রোপার্টি ডেভেলপারের নামে থাকা একটি বাড়িতে বসবাস করছেন? এই বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তিকে তিনি লেবার পার্টির মাধ্যমেই চিনেছিলেন। টিউলিপ জানান, তাঁর নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। তাই তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন।
টিউলিপ জানান, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ডেভিড অ্যামেস তাঁর কর্মস্থলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে তাঁকে স্থানান্তরিত হতে বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি সেই পরিচিত ব্যক্তির ওপর নির্ভর করেন। তিনি জানান, তিনি বাজার মূল্য অনুসারে ভাড়া দিয়েছেন। এবং এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তিনি নিজে বিষয়টি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে উপস্থাপন করেন।
দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ‘ব্যাপক’ বৈঠক শেষে লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। তবে ম্যাগনাস যোগ করেন, ‘তিনি তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক এবং সরকারি ভূমিকার কারণে সম্ভাব্য মানহানির ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না, এটি দুঃখজনক।’ তবে এই বিষয়ে টিউলিপ কিছুটা বিরক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি তো আমার খালার পরে জন্মেছি, সেটা তো আমি বদলাতে পারি না। এটা অদ্ভুত কথা! যেন বলা হচ্ছে, তোমাকে তোমার জন্মের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত ছিল।’
টিউলিপের দাবি, তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পালা থামেনি। তাঁর আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টতা চাইলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি—বলেও অভিযোগ করেন টিউলিপ। তিনি এ বছর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। তবে ড. ইউনূস তা নাকচ করে বলেন, এটি বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের অপরাধ তদন্ত সংস্থা লন্ডনে হাসিনার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে। জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে একটি বাড়িও রয়েছে, যেখানে টিউলিপের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন এবং এখনো তাঁর কিছু জিনিসপত্র সেই বাড়িতে রয়েছে। টিউলিপ দাবি করেন, এটার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
টিউলিপ বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু লোক ভুল করেছে এবং তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই। সত্য হলো, আমি শুধুই কোল্যাটারাল ড্যামেজ। কারণ, আমার খালার সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের শত্রুতার পরিণতি এটা। এ ক্ষেত্রে আমি যে বড় শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি, তাতে সন্দেহ নেই।’
রোববার (১০ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই প্রতীকের উৎস জনপ্রিয় জাপানি অ্যানিমে ওয়ান পিস ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল। এর কাহিনি হলো—একদল জলদস্যু একত্র হয়ে কর্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার অনেক তরুণ ও বিক্ষোভকারীর কাছে সরকারের
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প গত শুক্রবার এই বৈঠকের ঘোষণা দেন। সেদিনই ছিল রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির জন্য তাঁর দেওয়া সময়সীমার শেষ দিন। এর আগে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, যদি ৮ আগস্টের মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে রাজি না হয়, তবে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি সরাসরি পুতিনের
২ ঘণ্টা আগেঅস্কার, বাফটা, এমনকি ‘ডেম’ খেতাব—অভিনয়ের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে এমন বহু সম্মাননা পেয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা থম্পসন। তবে একটি প্রস্তাবও পেয়েছিলেন, যা তিনি ভদ্রভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বিখ্যাত এই অভিনেত্রীকে ডেটে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে এক বাড়িতে আছড়ে পড়া একটি উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর চেয়ে পুরোনো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, গত ২৬ জুন দিনের আলোয় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আকাশ পেরিয়ে একটি উজ্জ্বল আগুনের গোলা বিস্ফোরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে