Ajker Patrika

ঘুষ গ্রহণের অপরাধে দুদকের ২ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৯: ১৮
ঘুষ গ্রহণের অপরাধে দুদকের ২ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারের পর এবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
 
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। ১২ জুলাই তাঁদের নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

দুদক চেয়ারম্যানের আদেশে বলা হয়, পাবনায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কক্ষে মো. সামছুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত ২৬ জুন এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ দেশের দুটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচার হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, মেসার্স হক টাইলস লিমিটেডের মালিক মো. শামসুল হকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে গত ২৮ জুন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ গ্রহণ করে চাকরি শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কাজ করেছেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। সে কারণে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর ৩৯ (খ) ও ৩৯ (ঙ) বিধি মোতাবেক যথাক্রমে অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (নম্বর ০৮/২-২৩) দায়ের করায় এবং ওই বিধিমালার ৪৩ (১) বিধি অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত ও অপরিহার্য মনে করেছে কমিশন।

উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, তিনি বগুড়ায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেনের সম্পদ বিবরণী যাচাই করেন। সে সময় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস দেন সুদীপ কুমার। তখন আলমগীর হোসেনের কাছে ঘুষ দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড দুদকের ফরেনসিক ল্যাববিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা সুদীপ কুমারের বলে জানিয়েছেন। ফলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সাক্ষীদের সঙ্গে টেলিফোনে বা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ না করার জন্য দুদকের যে নির্দেশনা রয়েছে তা অমান্য করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর ৩৯ (খ), ৩৯ (ঙ) ও ৩৯ (চ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার কারণে বিধিমালার ৪৩ (১) অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত