Ajker Patrika

করোনার চিকিৎসায় দুর্নীতি: রিজেন্টের সাহেদ ও স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ০৬
করোনার চিকিৎসায় দুর্নীতি: রিজেন্টের সাহেদ ও স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতিতে জড়িতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এ তিনজনে সাক্ষ্য দেন। 

যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, দুদকের এএসআই মো. হারুনার রশিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার হিসাব রক্ষক মো. কামরুল হাছান। 

সাক্ষীদের জেরা করার পর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। 

কারাগারে থাকা আসামি সাহেদকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। অন্য আসামিরাও আদালতে উপস্থিত হন। 

এর আগে গত বছর ১৪ আগস্ট মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত বছর ১২ জুন ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। 

আবুল কালাম আজাদ ও সাহেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। সাহেদ ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি জামিনে আছেন। 

২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি। মামলার এজাহারে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় পরে চার্জশিটে তাঁকেও আসামি করা হয়। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি। 

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন রোগীর করোনা নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষা করান। 

এতে আরও বলা হয়, যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক-নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত