নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের হাতে মারধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দুই ছাত্রের অভিযোগ আমলে নিয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চমেকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার চিকিৎসাধীন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন ও জাহিদ হোসেন ওয়াকিল অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, চমেকের চার ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান হিসেবে আছেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, যেহেতু গতকাল চিকিৎসাধীন দুই ছাত্র ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ৬০তম ব্যাচের অভিজিৎ দাশ ও ৫৯তম ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম। অভিযুক্ত বাকিরা হলেন ৫৯তম ব্যাচের তানজিন, ৬০তম ব্যাচের শামিম, বোখারি, ৬১তম ব্যাচের সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ইমতিয়াজ আলম, মো. হাবিব, নিব্রাস, ৬২তম ব্যাচের মাহিন, সাজু দাশ, সৌরভ দেবনাথ, ইব্রাহিম সাকিব, জাকির হোসেন সাইল, জুলফিকার মো. শোয়াইব, চমন দাশ ও ফাহিম। তাঁরা আহত অপর দুজন এম এ রাইয়ান, মোবাশ্বির আহমেদ শুভ্রকেও মারধর করেন।
পৃথক ছয় পৃষ্ঠা করে মোট ১২ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগে নির্যাতনের কারণ হিসেবে সহপাঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালিত রেটিনা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ওই কোচিংয়ে ক্লাস নেন না বলার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এ ছাড়া নির্যাতনের কথা বাইরে প্রকাশ না করার হুমকি এবং হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
২০ থেকে ২২ জন মারধরে অংশ নেন বলে আহত ৬২ ব্যাচের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন ও ওয়াকিল অভিযোগ করেন। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি পড়ালেখা করার নিশ্চয়তা চেয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান।
আহত শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন বলেন, ‘টিউশনি থেকে আসছি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে ইমতিয়াজ আলম। তারপর আমাকে বেঁধে সে অবস্থায় মুখে পানি ঢালতে থাকে। একপর্যায়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে পানি ঢালা বন্ধ করে। এরপর তালিকা ধরে কয়েকজনের নাম বের করে বলে, আমরা কোথাও (রেটিনা কোচিং সেন্টার) ক্লাস নিই কি না? আমি আমারটা উত্তর দিলাম, না। অন্যেরটা জানি না। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্টাম্প, প্লাস্টিকের পাইপ, কাঠের তক্তা দিয়ে মারধর। একপর্যায়ে মাটিতে শুয়ে পড়লে দুই মিনিট চেয়ারে বসিয়ে পানি খাওয়ানো হয়। এরপর আবার জয়েন্টগুলোতে স্টাম্প দিয়ে আঘাত করতে থাকে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার গভীর রাতে চমেকের ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন—চমেকের ৬২তম ব্যাচের ছাত্র এম এ রাইয়ান, মোবাশ্বির হোসাইন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেন।
আহতদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে চমেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্য আহত এমএ রাইয়ান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শুভ্র নারায়ণগঞ্জে একজন অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের হাতে মারধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দুই ছাত্রের অভিযোগ আমলে নিয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চমেকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার চিকিৎসাধীন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন ও জাহিদ হোসেন ওয়াকিল অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, চমেকের চার ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান হিসেবে আছেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, যেহেতু গতকাল চিকিৎসাধীন দুই ছাত্র ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ৬০তম ব্যাচের অভিজিৎ দাশ ও ৫৯তম ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম। অভিযুক্ত বাকিরা হলেন ৫৯তম ব্যাচের তানজিন, ৬০তম ব্যাচের শামিম, বোখারি, ৬১তম ব্যাচের সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ইমতিয়াজ আলম, মো. হাবিব, নিব্রাস, ৬২তম ব্যাচের মাহিন, সাজু দাশ, সৌরভ দেবনাথ, ইব্রাহিম সাকিব, জাকির হোসেন সাইল, জুলফিকার মো. শোয়াইব, চমন দাশ ও ফাহিম। তাঁরা আহত অপর দুজন এম এ রাইয়ান, মোবাশ্বির আহমেদ শুভ্রকেও মারধর করেন।
পৃথক ছয় পৃষ্ঠা করে মোট ১২ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগে নির্যাতনের কারণ হিসেবে সহপাঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালিত রেটিনা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ওই কোচিংয়ে ক্লাস নেন না বলার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এ ছাড়া নির্যাতনের কথা বাইরে প্রকাশ না করার হুমকি এবং হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
২০ থেকে ২২ জন মারধরে অংশ নেন বলে আহত ৬২ ব্যাচের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন ও ওয়াকিল অভিযোগ করেন। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি পড়ালেখা করার নিশ্চয়তা চেয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান।
আহত শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন বলেন, ‘টিউশনি থেকে আসছি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে ইমতিয়াজ আলম। তারপর আমাকে বেঁধে সে অবস্থায় মুখে পানি ঢালতে থাকে। একপর্যায়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে পানি ঢালা বন্ধ করে। এরপর তালিকা ধরে কয়েকজনের নাম বের করে বলে, আমরা কোথাও (রেটিনা কোচিং সেন্টার) ক্লাস নিই কি না? আমি আমারটা উত্তর দিলাম, না। অন্যেরটা জানি না। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্টাম্প, প্লাস্টিকের পাইপ, কাঠের তক্তা দিয়ে মারধর। একপর্যায়ে মাটিতে শুয়ে পড়লে দুই মিনিট চেয়ারে বসিয়ে পানি খাওয়ানো হয়। এরপর আবার জয়েন্টগুলোতে স্টাম্প দিয়ে আঘাত করতে থাকে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার গভীর রাতে চমেকের ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন—চমেকের ৬২তম ব্যাচের ছাত্র এম এ রাইয়ান, মোবাশ্বির হোসাইন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেন।
আহতদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে চমেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্য আহত এমএ রাইয়ান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শুভ্র নারায়ণগঞ্জে একজন অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে