মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান, চট্টগ্রাম
একশ টাকা আত্মসাতের দায়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। একই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডিত ব্যক্তি সোনালী ব্যাংক, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার মরফলা বাজার শাখার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড, ৪২০ ধারায় ছয় মাসে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ছয় মাস কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি মো. ইউনুস (৫০) সাতকানিয়া উপজেলার মইষ্যামুড়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। তিনি ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংক কৃষি শাখা সাতকানিয়া উপজেলার মরফলা বাজার শাখার ইনচার্জ ছিলেন। পলাতক থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি এক কৃষকের জামানতের টাকা তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বহু গ্রাহকের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে পকেটে ঢোকাতেন। এ গ্রাহকদের বেশির ভাগ নিরক্ষর, দরিদ্র। গ্রাহকের টাকা নিয়ে আসামি নিজের স্বাক্ষর করা ব্যাংক রসিদ দিতেন। পাস বইয়েও জমা হওয়ার অঙ্ক লিখে স্বাক্ষর দিতেন। কিন্তু ব্যাংকের শাখার বালামে তা তুলতেন না। এভাবে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে ছয় বছরের জন্য ছয়টি পৃথক মামলা করা হয়। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগেও একটি মামলা হয়। এ মামলার রায়ে আদালত এই সাজা দিলেন।’
এত কম টাকায় কঠোর শাস্তির বিষয়ে দুদকের পিপি বলেন, ‘আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ কত তা মুখ্য নয়। আসামি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের টাকা মেরে দিয়েছেন সেটাই মুখ্য বিষয়। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সাতকানিয়ার মরফলা বাজারে শাখার সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ থাকাকালে মো. ইউনুস ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। শাখাটি খোলা হয়েছিল কৃষক ও স্বল্প আয়ের মানুষের ঋণ দেওয়া ও সঞ্চয়ের জন্য। প্রতি সোমবার ও বুধবার শাখাটির কার্যক্রম চলত। ব্যাংকিং সময় শেষে উপজেলা শাখায় কাগজপত্রসহ হিসাব জমা দেওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু তিনি গ্রাহকদের পাস বইয়ে টাকা জমা নেওয়ার স্বাক্ষর করলেও ব্যাংকের বালাম বইয়ে জমার হিসাব তুলতেন না। অক্ষরজ্ঞানহীন কতিপয় গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করতেন। এ ঘটনা ধরা পড়লে ব্যাংক অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে। ২০০১ সালের ৩১ মে সোনালী ব্যাংক সাতকানিয়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সবুর সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক ছাইফুল্লাহ মো. এমরান একই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অপর আসামি ব্যাংকটির একই শাখার বার্তাবাহক মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, একশ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৯৯৭ সালের ২১ মে ও ২৩ মে গ্রাহকের টাকা উপজেলা শাখায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। মামলাটিতে আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন।
উল্লেখ্য, আসামির বিরুদ্ধে বছরওয়ারি ছয়টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর আজ একটির দেওয়া হলো। বাকি চারটি মামলাও রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আদালতসূত্র জানায়। সবগুলো মামলার তদন্ত করছে দুদক।
একশ টাকা আত্মসাতের দায়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। একই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডিত ব্যক্তি সোনালী ব্যাংক, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার মরফলা বাজার শাখার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড, ৪২০ ধারায় ছয় মাসে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ছয় মাস কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি মো. ইউনুস (৫০) সাতকানিয়া উপজেলার মইষ্যামুড়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। তিনি ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংক কৃষি শাখা সাতকানিয়া উপজেলার মরফলা বাজার শাখার ইনচার্জ ছিলেন। পলাতক থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি এক কৃষকের জামানতের টাকা তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বহু গ্রাহকের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে পকেটে ঢোকাতেন। এ গ্রাহকদের বেশির ভাগ নিরক্ষর, দরিদ্র। গ্রাহকের টাকা নিয়ে আসামি নিজের স্বাক্ষর করা ব্যাংক রসিদ দিতেন। পাস বইয়েও জমা হওয়ার অঙ্ক লিখে স্বাক্ষর দিতেন। কিন্তু ব্যাংকের শাখার বালামে তা তুলতেন না। এভাবে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে ছয় বছরের জন্য ছয়টি পৃথক মামলা করা হয়। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগেও একটি মামলা হয়। এ মামলার রায়ে আদালত এই সাজা দিলেন।’
এত কম টাকায় কঠোর শাস্তির বিষয়ে দুদকের পিপি বলেন, ‘আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ কত তা মুখ্য নয়। আসামি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের টাকা মেরে দিয়েছেন সেটাই মুখ্য বিষয়। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সাতকানিয়ার মরফলা বাজারে শাখার সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ থাকাকালে মো. ইউনুস ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। শাখাটি খোলা হয়েছিল কৃষক ও স্বল্প আয়ের মানুষের ঋণ দেওয়া ও সঞ্চয়ের জন্য। প্রতি সোমবার ও বুধবার শাখাটির কার্যক্রম চলত। ব্যাংকিং সময় শেষে উপজেলা শাখায় কাগজপত্রসহ হিসাব জমা দেওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু তিনি গ্রাহকদের পাস বইয়ে টাকা জমা নেওয়ার স্বাক্ষর করলেও ব্যাংকের বালাম বইয়ে জমার হিসাব তুলতেন না। অক্ষরজ্ঞানহীন কতিপয় গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করতেন। এ ঘটনা ধরা পড়লে ব্যাংক অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে। ২০০১ সালের ৩১ মে সোনালী ব্যাংক সাতকানিয়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সবুর সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক ছাইফুল্লাহ মো. এমরান একই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অপর আসামি ব্যাংকটির একই শাখার বার্তাবাহক মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, একশ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৯৯৭ সালের ২১ মে ও ২৩ মে গ্রাহকের টাকা উপজেলা শাখায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। মামলাটিতে আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন।
উল্লেখ্য, আসামির বিরুদ্ধে বছরওয়ারি ছয়টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর আজ একটির দেওয়া হলো। বাকি চারটি মামলাও রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আদালতসূত্র জানায়। সবগুলো মামলার তদন্ত করছে দুদক।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪