ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় ২০১৮ সালের ১৪ মে দুই বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল। ভুক্তভোগী দুজনের একজন এরই মধ্যে মারা গেছে। অন্যজন চিকিৎসাধীন। তারপর কেটে গেছে তিন বছর। অবশেষে ওই ঘটনার দায়ী ব্যক্তিকে সাজা শোনালেন আদালত। আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুকে গতকাল বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৪ (১) ধারায় এ দণ্ডাদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের মো. মানিক হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু ২০১৮ সালের ১৪ মে রাত ২টার দিকে মামলার বাদীর দুই মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে একজনের চোখ, মুখ, গলা ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর বোনের গলার বাম পাশ, কাঁধ, ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন।
রায়ে আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (আমৃত্যু) ও ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে একই আইনের ৪ (২) (খ) ধারায় অপরাধ দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ডের টাকা এই আইনের ১৫ ধারামতে ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে। আসামিকে প্রদত্ত সাজা একসঙ্গে চলবে। অর্থদণ্ডের টাকা এই আইনের ১৬ ধারামতে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত ভুক্তভোগী মেয়েটি ভোলা সদরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাস করেছে। আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে অন্য কারও সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক হলে আসামি অপুর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে আসামি ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে রাতের আঁধারে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে ওই মেয়ে ও তার বোন অ্যাসিডদগ্ধ হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত গতকাল বুধবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ূন কবির। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই রায় দেন। জরিমানার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যেরা বলেন, দুই মেয়ের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় আদালতের এ রায়ে তাঁরা খুশি।
ভোলায় ২০১৮ সালের ১৪ মে দুই বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল। ভুক্তভোগী দুজনের একজন এরই মধ্যে মারা গেছে। অন্যজন চিকিৎসাধীন। তারপর কেটে গেছে তিন বছর। অবশেষে ওই ঘটনার দায়ী ব্যক্তিকে সাজা শোনালেন আদালত। আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুকে গতকাল বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৪ (১) ধারায় এ দণ্ডাদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের মো. মানিক হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু ২০১৮ সালের ১৪ মে রাত ২টার দিকে মামলার বাদীর দুই মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে একজনের চোখ, মুখ, গলা ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর বোনের গলার বাম পাশ, কাঁধ, ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন।
রায়ে আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (আমৃত্যু) ও ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে একই আইনের ৪ (২) (খ) ধারায় অপরাধ দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ডের টাকা এই আইনের ১৫ ধারামতে ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে। আসামিকে প্রদত্ত সাজা একসঙ্গে চলবে। অর্থদণ্ডের টাকা এই আইনের ১৬ ধারামতে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত ভুক্তভোগী মেয়েটি ভোলা সদরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাস করেছে। আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে অন্য কারও সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক হলে আসামি অপুর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে আসামি ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে রাতের আঁধারে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে ওই মেয়ে ও তার বোন অ্যাসিডদগ্ধ হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত গতকাল বুধবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ূন কবির। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই রায় দেন। জরিমানার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যেরা বলেন, দুই মেয়ের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় আদালতের এ রায়ে তাঁরা খুশি।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে