অনলাইন ডেস্ক
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই দশকের দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের সঙ্গে গোপন আর্থিক সমঝোতায় পৌঁছেছে এক্সনমোবিল।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের ১১ জন গ্রামবাসীর সঙ্গে এই আইনি লড়াই চলছিল। মার্কিন এই তেল জায়ান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সেনাবাহিনীর লোকেরা গ্রামবাসীদের অবর্ণনীয় নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং মারধর করেছে।
সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সনমোবিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলায় যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে সেটিসহ এ ধরনের যেকোনো নিপীড়নের তারা নিন্দা জানায়।
মামলায় গ্রামবাসীরা বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। প্রিয়জনকে চোখের সামনে গুলি করা হয়েছে; অন্তঃসত্ত্বা নারীদের যৌন নিপীড়নের আগে বারবার লাফাতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং পুরুষদের বৈদ্যুতিক শক, ছ্যাঁকা দেওয়া এবং ছুরির তীক্ষ্ণ আগা দিয়ে শরীরে গ্রাফিতি আঁকার মতো নির্যাতন করা হয়েছে।
এক্সনমোবিল বলেছে, ‘কোনো কর্মচারী সরাসরি বাদীদের কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। মীমাংসার ফলে সব পক্ষের অভিযোগের নিষ্পত্তি হলো। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ব্যক্তিদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
মামলায় উল্লেখিত নৃশংসতাগুলো উত্তর আচেহ এলাকায় অরুণ গ্যাসক্ষেত্রে, যেখানে এক্সনমোবিলের কার্যক্রম চলছিল সেখানে এবং এর আশপাশে সংঘটিত হয়েছিল। ‘কোম্পানির মুকুটে রত্ন’ বলে অভিহিত এ গ্যাসক্ষেত্রটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর একটি।
মামলা চলাকালীন এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এক্সনমোবিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুনাফা করার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এ নিয়ে বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মামলাটি নিষ্পত্তি করল এই তেল-গ্যাস জায়ান্ট।
মামলার বাদীরা এই নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক গ্রামবাসী বিবিসিকে বলেন, ‘আমার স্বামীকে তো কোনো কিছুই আর ফিরিয়ে আনবে না। কিন্তু এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে দুই দশকের লড়াইয়ের পর একটি ন্যায়বিচার পাওয়া গেল। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য জীবন বদলে দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল রাইটস অ্যাডভোকেটস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক টেরেন্স কলিংসওয়ার্থ ২০০১ সালে এ মামলা করেন। তিনি বলেন, এই মীমাংসার পর গ্রামবাসীরা অন্তত কিছুটা শান্তি পাবে।
সবাই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন, কারণ বিশ্বব্যাপী এমন নির্যাতনের বিষয়টি এর মাধ্যমে অন্তত সবার নজরে এল।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই দশকের দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের সঙ্গে গোপন আর্থিক সমঝোতায় পৌঁছেছে এক্সনমোবিল।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের ১১ জন গ্রামবাসীর সঙ্গে এই আইনি লড়াই চলছিল। মার্কিন এই তেল জায়ান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সেনাবাহিনীর লোকেরা গ্রামবাসীদের অবর্ণনীয় নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং মারধর করেছে।
সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সনমোবিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলায় যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে সেটিসহ এ ধরনের যেকোনো নিপীড়নের তারা নিন্দা জানায়।
মামলায় গ্রামবাসীরা বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। প্রিয়জনকে চোখের সামনে গুলি করা হয়েছে; অন্তঃসত্ত্বা নারীদের যৌন নিপীড়নের আগে বারবার লাফাতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং পুরুষদের বৈদ্যুতিক শক, ছ্যাঁকা দেওয়া এবং ছুরির তীক্ষ্ণ আগা দিয়ে শরীরে গ্রাফিতি আঁকার মতো নির্যাতন করা হয়েছে।
এক্সনমোবিল বলেছে, ‘কোনো কর্মচারী সরাসরি বাদীদের কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। মীমাংসার ফলে সব পক্ষের অভিযোগের নিষ্পত্তি হলো। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ব্যক্তিদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
মামলায় উল্লেখিত নৃশংসতাগুলো উত্তর আচেহ এলাকায় অরুণ গ্যাসক্ষেত্রে, যেখানে এক্সনমোবিলের কার্যক্রম চলছিল সেখানে এবং এর আশপাশে সংঘটিত হয়েছিল। ‘কোম্পানির মুকুটে রত্ন’ বলে অভিহিত এ গ্যাসক্ষেত্রটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর একটি।
মামলা চলাকালীন এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এক্সনমোবিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুনাফা করার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এ নিয়ে বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মামলাটি নিষ্পত্তি করল এই তেল-গ্যাস জায়ান্ট।
মামলার বাদীরা এই নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক গ্রামবাসী বিবিসিকে বলেন, ‘আমার স্বামীকে তো কোনো কিছুই আর ফিরিয়ে আনবে না। কিন্তু এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে দুই দশকের লড়াইয়ের পর একটি ন্যায়বিচার পাওয়া গেল। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য জীবন বদলে দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল রাইটস অ্যাডভোকেটস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক টেরেন্স কলিংসওয়ার্থ ২০০১ সালে এ মামলা করেন। তিনি বলেন, এই মীমাংসার পর গ্রামবাসীরা অন্তত কিছুটা শান্তি পাবে।
সবাই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন, কারণ বিশ্বব্যাপী এমন নির্যাতনের বিষয়টি এর মাধ্যমে অন্তত সবার নজরে এল।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৩ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫