Ajker Patrika

ট্রান্সফরমার চুরি, আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা কৃষকের

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২২, ১৩: ৫১
ট্রান্সফরমার চুরি, আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা কৃষকের

মেহেরপুরের গাংনীতে একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় চাষিরা ফসল আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সর্বেশষ গত রোববার রাতে উপজেলার দেবীপুর ভিটাপাড়া ইসহাকের ডিপের মাঠে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। আগেও বিভিন্ন সময় ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মালিক হবিবর রহমান জানান, মাঠে এখন আমনের আবাদ চলছে। এই মুহূর্তে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় আমন ধান নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ সময় ধানে পানি না দিলে চিটা পড়ে যাবে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

ট্রান্সফরমারের দামও অনেক। এই মুহূর্তে আমাদের কেনা সম্ভব না। যদি দ্রুত এই ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে অনেক চাষি ক্ষতির শিকার হবে।’

সেচ পাম্পের মালিক আকাশ আহমেদ বলেন, ‘গত রোববার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও ট্রান্সফরমারটি ছিল। সকালে দেখি, চুরি হয়ে গেছে। আমার স্কিমে অনেকের আমন ধানসহ বিভিন্ন আবাদ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সবজিরও চাষ করা হয়েছে। এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে যদি দ্রুত ট্রান্সফরমার ঠিক না করা যায়। সন্ধ্যার পর দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগে ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়।’

আমন চাষি ফনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার আড়াই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ রয়েছে। এ মুহূর্তে ধানের সেচ দিতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে। এখনো আমার ধানে ১০টা সেচ দিতে হবে। ধানের সেচ দিতে না পারলে ধান চিটা হয়ে যাবে। আর এতে ধানের ফলন কমে যাবে।’

ধান চাষি নবিছউদ্দিন বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না আসায় চোরেরা এই সুযোগে ট্রান্সফরমারগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে যে মূল্যবান পিতল ছিল, সেগুলো নিয়ে যায় আর ঠোসগুলো ফেলে যায়। আমি আমার ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মালিক আব্দুস সালাম জানান, তিনটি ডিপের স্কিমে প্রায় তিন শ বিঘা জমির আবাদ রয়েছে। মেশিনের মাধ্যমে আবাদ করতে হলে জ্বালানির দাম অনেক বেশি, খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এই ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ করেন তিনি।

দেবীপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি জানান, ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার কারণে ধান চাষিরা সকালে ধানে সেচ দিতে পারেনি। তিনটি সেচ পাম্পের আওতায় প্রায় ৩০০ বিঘা আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল রয়েছে। প্রতিনিয়ত সেচ দেওয়া লাগে। তাই দ্রুত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা না হলে কৃষকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

বামন্দী সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওঅ্যান্ডএম) মো. হানিফ রেজা বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির সমাধান করব। চাষিদের যাতে কৃষি খাতে কোনো সমস্যা না হয়, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’

বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইসরাফিল হোসেন বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরির খবর শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত