ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ধসে পড়ছে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতুর রিটেইনিং ওয়ালের (ঠেস দেয়াল) সিসি ব্লক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতু এলাকা। এ ছাড়া ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে সেতুর মূল অংশ, রাস্তাঘাটসহ অসংখ্য স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর আশপাশের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। তাঁদের আশঙ্কা, নদের ধস ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সেতুর মূল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সেতুর পারের স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সেতু পরিদর্শন করেছি। সেতুর রিটেইনিং ওয়াল ভেঙে গিয়ে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এলজিইডির জেলা কার্যালয় থেকে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত দল পরিদর্শন করেছে। তারা সেতুর টপো সার্ভে করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেতু রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করছে।
জানা গেছে, ইসলামপুর-শেরপুর-বকশীগঞ্জ বহুমুখী সড়কে ফকিরপাড়া পাইলিং ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৮ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরেজমিনে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি আগের চেয়ে বেড়েছে, দেখা দিয়েছে ভাঙনও। সেতুর পূর্ব পারের সীমানাখুঁটি ঘেঁষে বয়ে চলছে তীব্র স্রোত। ফলে সেতুর পূর্ব পাশের রিটেইনিং ওয়াল ভেঙে গেছে। এতে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে, ভাঙছে ফসলি জমিও। এ ছাড়া নদের পারে প্রস্তাবিত শ্মশানঘাট, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসহ অসংখ্য বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম হতাশা ও ভাঙনভীতির মধ্যে দিন পার করছে।
সেতুপারের বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই সেতুর একদম কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদের মধ্যে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর সীমানা ঘেঁষে নদের তীব্র স্রোত বইছিল। স্রোতে সেতুর পাড় ভাঙছে, সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। আশিক শেখ বলেন, কয়েক দিন ধরে সেতুর সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। নদের ভাঙন রোধে এখনো কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অপর এক বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ইসলামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, সেতুর সিসি ব্লক ধসে যাওয়া বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। সেতু রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিইডি বিভাগকে জানিয়েছি। এ ছাড়া সেতু এলাকায় কোনো ক্রমেই বালু উত্তোলন করতে দেওয়া যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘সেতু এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কি না, তা আমি জানি না। তবে এখন খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ধসে পড়ছে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতুর রিটেইনিং ওয়ালের (ঠেস দেয়াল) সিসি ব্লক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতু এলাকা। এ ছাড়া ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে সেতুর মূল অংশ, রাস্তাঘাটসহ অসংখ্য স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর আশপাশের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। তাঁদের আশঙ্কা, নদের ধস ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সেতুর মূল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সেতুর পারের স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সেতু পরিদর্শন করেছি। সেতুর রিটেইনিং ওয়াল ভেঙে গিয়ে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এলজিইডির জেলা কার্যালয় থেকে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত দল পরিদর্শন করেছে। তারা সেতুর টপো সার্ভে করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেতু রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করছে।
জানা গেছে, ইসলামপুর-শেরপুর-বকশীগঞ্জ বহুমুখী সড়কে ফকিরপাড়া পাইলিং ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৮ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরেজমিনে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি আগের চেয়ে বেড়েছে, দেখা দিয়েছে ভাঙনও। সেতুর পূর্ব পারের সীমানাখুঁটি ঘেঁষে বয়ে চলছে তীব্র স্রোত। ফলে সেতুর পূর্ব পাশের রিটেইনিং ওয়াল ভেঙে গেছে। এতে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে, ভাঙছে ফসলি জমিও। এ ছাড়া নদের পারে প্রস্তাবিত শ্মশানঘাট, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসহ অসংখ্য বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম হতাশা ও ভাঙনভীতির মধ্যে দিন পার করছে।
সেতুপারের বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই সেতুর একদম কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদের মধ্যে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর সীমানা ঘেঁষে নদের তীব্র স্রোত বইছিল। স্রোতে সেতুর পাড় ভাঙছে, সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। আশিক শেখ বলেন, কয়েক দিন ধরে সেতুর সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। নদের ভাঙন রোধে এখনো কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অপর এক বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ইসলামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, সেতুর সিসি ব্লক ধসে যাওয়া বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। সেতু রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিইডি বিভাগকে জানিয়েছি। এ ছাড়া সেতু এলাকায় কোনো ক্রমেই বালু উত্তোলন করতে দেওয়া যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘সেতু এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কি না, তা আমি জানি না। তবে এখন খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে