মির্জাপুর প্রতিনিধি
সংরক্ষিত বনাঞ্চল হয়ে উঠেছে অরক্ষিত। যেখানে বন্যপ্রাণী ও গাছগাছালি থাকার কথা, সেখানে প্রতিদিন গড়ে উঠছে নতুন নতুন ঘর ও প্রতিষ্ঠান। বন বিভাগকে হাত করে এসব বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। এতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ দিনে দিন কমছে।
মির্জাপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়ন এলাকায় এমন জবর দখলের চিত্র দেখা গেছে। বন বিভাগের তথ্যমতে, বাঁশতৈল রেঞ্জের অধীনে এ উপজেলার বাঁশতৈল, আজগানা, তরফপুর ও পাশের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর এই চারটি ইউনিয়ন রয়েছে। এই রেঞ্জে বন বিভাগের ১৪ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর জমি দখল হয়ে গেছে।
এই বন শাল, গজারি ও ওষধি বৃক্ষ ছাড়াও নানা প্রজাতির বৃক্ষে পরিপূর্ণ ছিল এ সময়। স্বাধীনতার পর থেকে এই বনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও বিভিন্নজনের লোকজন এসে বসতি গড়তে শুরু করে। তাঁরা বনের জমি কেটে আবাদি জমি তৈরি করে এবং বাড়িঘর নির্মাণ করেন। তাঁদের এ কাজে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে সুবিধা নিয়ে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ছয় মাসে বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়নের বন বিভাগের জমিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি নতুন ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হয়েছে। এ ছাড়া সোনালী গ্রামে বনের জমিতে একাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতেও দেখা গেছে।
সোনালী গ্রামের আজাহার ও এছাক বন বিভাগের জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণ করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, বাঁশতৈল বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেই তাঁরা ঘর নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে বাঁশতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এক বন কর্মকর্তার সুপারিশে তাঁদের ঘর নির্মাণ করতে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গোড়াই-সখীপুর সড়ক সংলগ্ন আজাগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে বনের জমিতে ঘর নির্মাণ করছেন পলাশতলী গ্রামের বোরহান সিকদারের প্রবাসী নাতি। ঘর তৈরি শেষে এখন ডুয়া পাকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া গোড়াই-সখীপুর সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বেলতৈল গ্রামে মার্কেট নির্মাণ করছেন গ্রামের দারোগ আলী। এভাবে গত তিন মাসে ওই এলাকায় ১৫ থেকে ২০টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে।
বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আতাহার আলী জানান, বন বিভাগকে ম্যানেজ না করলে কোনো স্থাপনাই তৈরি করা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন বন বিভাগের জমিতে বাড়িঘর তুলে বসবাস করছেন। এভাবে ঘর তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্ষমতাসীন নেতারা।
এ বিষয়ে বাঁশতৈল রেঞ্জের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাঁদের লোকবলের স্বল্পতা রয়েছে। সবদিকে নজর রাখতে পারছেন না। নতুন করে দখল হলে খোঁজ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চল হয়ে উঠেছে অরক্ষিত। যেখানে বন্যপ্রাণী ও গাছগাছালি থাকার কথা, সেখানে প্রতিদিন গড়ে উঠছে নতুন নতুন ঘর ও প্রতিষ্ঠান। বন বিভাগকে হাত করে এসব বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। এতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ দিনে দিন কমছে।
মির্জাপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়ন এলাকায় এমন জবর দখলের চিত্র দেখা গেছে। বন বিভাগের তথ্যমতে, বাঁশতৈল রেঞ্জের অধীনে এ উপজেলার বাঁশতৈল, আজগানা, তরফপুর ও পাশের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর এই চারটি ইউনিয়ন রয়েছে। এই রেঞ্জে বন বিভাগের ১৪ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর জমি দখল হয়ে গেছে।
এই বন শাল, গজারি ও ওষধি বৃক্ষ ছাড়াও নানা প্রজাতির বৃক্ষে পরিপূর্ণ ছিল এ সময়। স্বাধীনতার পর থেকে এই বনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও বিভিন্নজনের লোকজন এসে বসতি গড়তে শুরু করে। তাঁরা বনের জমি কেটে আবাদি জমি তৈরি করে এবং বাড়িঘর নির্মাণ করেন। তাঁদের এ কাজে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে সুবিধা নিয়ে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ছয় মাসে বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়নের বন বিভাগের জমিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি নতুন ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হয়েছে। এ ছাড়া সোনালী গ্রামে বনের জমিতে একাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতেও দেখা গেছে।
সোনালী গ্রামের আজাহার ও এছাক বন বিভাগের জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণ করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, বাঁশতৈল বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেই তাঁরা ঘর নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে বাঁশতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এক বন কর্মকর্তার সুপারিশে তাঁদের ঘর নির্মাণ করতে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গোড়াই-সখীপুর সড়ক সংলগ্ন আজাগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে বনের জমিতে ঘর নির্মাণ করছেন পলাশতলী গ্রামের বোরহান সিকদারের প্রবাসী নাতি। ঘর তৈরি শেষে এখন ডুয়া পাকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া গোড়াই-সখীপুর সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বেলতৈল গ্রামে মার্কেট নির্মাণ করছেন গ্রামের দারোগ আলী। এভাবে গত তিন মাসে ওই এলাকায় ১৫ থেকে ২০টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে।
বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আতাহার আলী জানান, বন বিভাগকে ম্যানেজ না করলে কোনো স্থাপনাই তৈরি করা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন বন বিভাগের জমিতে বাড়িঘর তুলে বসবাস করছেন। এভাবে ঘর তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্ষমতাসীন নেতারা।
এ বিষয়ে বাঁশতৈল রেঞ্জের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাঁদের লোকবলের স্বল্পতা রয়েছে। সবদিকে নজর রাখতে পারছেন না। নতুন করে দখল হলে খোঁজ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫