Ajker Patrika

‘আমি সাঁকো ভাঙিনি ঠেলাঠুলা দিয়েছি ’

ফুলপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ০৫
Thumbnail image

ফুলপুরের পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী একটি সাঁকো ভেঙে মানুষের চলাচল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগ তুলে সাঁকোর বাঁশ ও কাঠ নদীতে ফেলে দিয়েছেন। এতে মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ওই প্রার্থীর ভাতিজা হাফিজুর রহমান জরিপ বলেন, ‘আমি সাঁকো ভেঙেছি, এটা ঠিক না। কয়েকজন ছেলে এটা ভাঙছে। আমি আরও ঠেলাঠুলা দিয়েছি।’ তবে ওই প্রার্থীর ভাই সামাদ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। যদিও পরাজিত প্রার্থী আব্দুল হাকিম সাঁকোটি ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছর আগে স্বেচ্ছাশ্রমে খরিয়া নদীর ওপর সাঁকোটি তৈরি করেন তাঁরা। গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পয়ারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হাকিম পরাজিত হয়ে জামানত হারান।

এতে ক্ষোভে আবদুল হাকিমের কয়েকজন কর্মী নির্বাচনের পরের দিন রাতে সাঁকোর বাঁশ ও কাঠ ফেলে দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সাহাপুর গ্রামের সবজিচাষি আবুল হোসেন বলেন, আগে সাঁকো দিয়ে ৭-৮ মণ সবজি নিয়ে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে খরচ হতো ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর তিন কিলোমিটার ঘুরে যেতে খরচ হয় ২১০ থেকে ২৪০ টাকা।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সাহাপুরের ভোটাররা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। আমার লোকজন রাগ করে সাঁকোটি ভেঙে ফেলেছে। আমি এখন ঢাকায়। বাড়িতে আসলে ঠিক করে দেব।’

সদ্য পাস করা ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, ‘সাঁকোটি ভেঙে চাষিদের দুর্ভোগে ফেলেছে। সবার রাগ থামুক। পরে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেব।’

সদ্য পাস করা ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, ‘সাঁকোটি নির্বাচনের পরের দিন রাতে ভেঙে ফেলায় এলাকাবাসী খুব কষ্টে আছে। কয়েকটা দিন যাক। পরে ব্যাপারটা সুরাহা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত