রঞ্জন কুমার দে, (শেরপুর) বগুড়া
বগুড়ার শেরপুরে গত সেপ্টেম্বরের শেষে আওয়ামী লীগের কর্মী মর্তুজা কাওসার অভিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর প্রায় সাত মাস পর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এর মধ্যেই টাকা চেয়ে ও হুমকির মাধ্যমে মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশের অভিযোগপত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের নয়াপাড়া এলাকায় খুন হন খন্দকারপাড়ার বাসিন্দা অভি। গত বছরের আগস্টে শেরপুরের বারদুয়ারী হাটের ইজারা নিয়ে অন্য পক্ষের সোহাগ ও জাহাঙ্গীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাঁর। এর জেরে ২০ আগস্ট অভি ও তাঁর লোকজন সোহাগকে ছুরিকাঘাত করেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (৩২), এনামুল মুসলেমিন সোহাগ (৩৬), শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৭), শেরপুর শহর যুবলীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল (৩২), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), শহর যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন (২৬) ও মো. জাহিদ খান রকি (২৭)। এ ছাড়াও আট-নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন এই মামলার আসামি জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি ঘরে আটকে রাখে। এই খুনের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম জড়িত আছেন, এ মর্মে তাঁরা স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সন্ধ্যায় মামলা হলে তাঁকে রাতে থানায় এনে স্বীকারোক্তির জন্য নির্যাতন করা হয়।
একপর্যায়ে আমিনুলকে জড়িত করা হবে না, এই শর্তে ২ লাখ টাকা দাবি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালাম। কিন্তু তিনি রাজি না হলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরদিন আদালতে পাঠানো হয়। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে গত ৮ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে পুলিশের আইজি, এআইজি (পিআইও) এবং অতিরিক্ত ডিআইজির (ডিসিপ্লিন শাখা) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে বেশ কয়েকজনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কয়েকজন জানান, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। এমনকি স্বীকারোক্তির জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন একজন।
সাক্ষী রেজওয়ান শাহ্ রামিম (২২) বলেন, ‘ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর শেরপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম আমাকে ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে অভি হত্যার বিষয়ে জানতে চান। আমি কিছু জানি না বললে আমাকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়। পরে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়ছে।’
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম বর্তমানে পাবনা জেলার চাটমোহর থানায় কর্মরত। তিনি নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই মামলায় পুলিশ কাউকে আসামি করেনি। বাদী যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, শুধু তাঁদেরকেই আসামি করা হয়েছে।
সাক্ষীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষীদের সামনে তাঁদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর নিয়েছি। এখন যদি তাঁরা অস্বীকার করেন, সেটা আদালত বিচার করবেন।’
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘মামলাটি আদালতে বিচারধীন। তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
বগুড়ার শেরপুরে গত সেপ্টেম্বরের শেষে আওয়ামী লীগের কর্মী মর্তুজা কাওসার অভিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর প্রায় সাত মাস পর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এর মধ্যেই টাকা চেয়ে ও হুমকির মাধ্যমে মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশের অভিযোগপত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের নয়াপাড়া এলাকায় খুন হন খন্দকারপাড়ার বাসিন্দা অভি। গত বছরের আগস্টে শেরপুরের বারদুয়ারী হাটের ইজারা নিয়ে অন্য পক্ষের সোহাগ ও জাহাঙ্গীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাঁর। এর জেরে ২০ আগস্ট অভি ও তাঁর লোকজন সোহাগকে ছুরিকাঘাত করেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (৩২), এনামুল মুসলেমিন সোহাগ (৩৬), শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৭), শেরপুর শহর যুবলীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল (৩২), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), শহর যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন (২৬) ও মো. জাহিদ খান রকি (২৭)। এ ছাড়াও আট-নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন এই মামলার আসামি জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি ঘরে আটকে রাখে। এই খুনের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম জড়িত আছেন, এ মর্মে তাঁরা স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সন্ধ্যায় মামলা হলে তাঁকে রাতে থানায় এনে স্বীকারোক্তির জন্য নির্যাতন করা হয়।
একপর্যায়ে আমিনুলকে জড়িত করা হবে না, এই শর্তে ২ লাখ টাকা দাবি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালাম। কিন্তু তিনি রাজি না হলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরদিন আদালতে পাঠানো হয়। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে গত ৮ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে পুলিশের আইজি, এআইজি (পিআইও) এবং অতিরিক্ত ডিআইজির (ডিসিপ্লিন শাখা) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে বেশ কয়েকজনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কয়েকজন জানান, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। এমনকি স্বীকারোক্তির জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন একজন।
সাক্ষী রেজওয়ান শাহ্ রামিম (২২) বলেন, ‘ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর শেরপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম আমাকে ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে অভি হত্যার বিষয়ে জানতে চান। আমি কিছু জানি না বললে আমাকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়। পরে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়ছে।’
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম বর্তমানে পাবনা জেলার চাটমোহর থানায় কর্মরত। তিনি নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই মামলায় পুলিশ কাউকে আসামি করেনি। বাদী যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, শুধু তাঁদেরকেই আসামি করা হয়েছে।
সাক্ষীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষীদের সামনে তাঁদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর নিয়েছি। এখন যদি তাঁরা অস্বীকার করেন, সেটা আদালত বিচার করবেন।’
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘মামলাটি আদালতে বিচারধীন। তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪