নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চালানো গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ রোববার চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাইব্যুনালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা এমন একটা বিচার হবে, যেখানে শহীদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে। আসামিদের প্রতি জুলুম করা হবে না, আবার ছাড়ও দেওয়া হবে না।
আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।
চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, অপরাধটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব জায়গায় একসঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় একটা কমন ইনস্ট্রাকশন ছিল—গুলি করে সব মেরে ফেলা। অপরাধের আলামতগুলো সংগ্রহ করে কম্পাইল করা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনো পলাতক। প্রধান আসামি দেশ ত্যাগ করেছেন, অনেকে দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গণহত্যার আলামতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় যাঁরা আসামি হবেন, তাঁরা আলামতগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব আলামতগুলো দ্রুত সংরক্ষণ করে প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা, যাতে আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।’
এ সময় তিনি সব ধরনের আলামত তদন্ত সংস্থা বা প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছানোর জন্য ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এসব অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে, তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইব। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাঁরা সম্ভাব্য অপরাধী, তাঁরা যাতে আদালতের জুরিকডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তাজুল ইসলাম ছাড়া আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্টে সারা দেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় পৃথক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ছাড়াও সারা দেশে মামলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং ওই সময়ের প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চালানো গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ রোববার চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাইব্যুনালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা এমন একটা বিচার হবে, যেখানে শহীদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে। আসামিদের প্রতি জুলুম করা হবে না, আবার ছাড়ও দেওয়া হবে না।
আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।
চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, অপরাধটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব জায়গায় একসঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় একটা কমন ইনস্ট্রাকশন ছিল—গুলি করে সব মেরে ফেলা। অপরাধের আলামতগুলো সংগ্রহ করে কম্পাইল করা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনো পলাতক। প্রধান আসামি দেশ ত্যাগ করেছেন, অনেকে দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গণহত্যার আলামতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় যাঁরা আসামি হবেন, তাঁরা আলামতগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব আলামতগুলো দ্রুত সংরক্ষণ করে প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা, যাতে আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।’
এ সময় তিনি সব ধরনের আলামত তদন্ত সংস্থা বা প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছানোর জন্য ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এসব অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে, তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইব। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাঁরা সম্ভাব্য অপরাধী, তাঁরা যাতে আদালতের জুরিকডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তাজুল ইসলাম ছাড়া আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্টে সারা দেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় পৃথক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ছাড়াও সারা দেশে মামলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং ওই সময়ের প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪