বাগেরহাট প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দখলে থাকা বাগেরহাটের হোজির নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের নেতৃত্বে হোজির সেতুর নিচের বাঁধ অপসারণ করা হয়।
এ সময় জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, জেলা পুলিশের সদস্য, ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে এই নদীর সব বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণ করা হবে বলে জানায় প্রশাসন।
দীর্ঘদিন পরে নদীটির বাঁধ অপসারণ করায় খুশি স্থানীয়রা। তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীটিতে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মাছ চাষ করতেন। তাঁরা এই নদী থেকে একটা মাছও ধরতে পারতেন না। গ্রামবাসীর প্রয়োজনে এই নদীতে পানি ওঠানো বা নামানো হতো না। এই নদীর পানি ব্যবহার করা হতো মৎস্যচাষিদের সুবিধার্থে। সরকারিভাবে নদীটির বাঁধ অপসারণ হওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছেন।
মো. আব্বাস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, নদীর বাঁধ কাটায় তাঁদের ভালো হয়েছে। এখন নদী থেকে মাছ ধরতে পারবেন, নদীতে গোসল করতে পারবেন, নদীতে নৌকা চালাতে পারবেন। নিজেদের প্রয়োজনমতো এই নদী ব্যবহার করতে পারবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আরজু বলেন, প্রশাসন সরকারি নদী অবৈধ দখলমুক্ত করেছে। এতে এলাকার মানুষের উপকার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ বছর আগেও একবার এই নদী দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁধ কেটে দেওয়ার কিছুদিন পরে আবারও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু হয়, এটা দেখবে কে? পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে খননকাজ শুরুর জন্য দেওয়া একাধিক বাঁধ এখনো রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জেনেছেন; হোজির নদীতে বাঁধ, পাটা ও নেট দিয়ে মাছ চাষসহ সব ধরনের অবৈধ কাজ হচ্ছিল। তাঁরা হোজির সেতুর নিচে দেওয়া বাঁধটি অপসারণ করেছেন। এই নদীর অন্যান্য স্থানে যেসব বাঁধ, নেট-পাটা রয়েছে, সেগুলোও অপসারণের কাজ চলছে। প্রয়োজনে আরও দু-এক দিন এই নদী দখলমুক্ত করতে কাজ করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কেউ এই খালে অবৈধ বাঁধ বা মাছ চাষ করতে চাইলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে অবস্থিত সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হোজির নদীর ছয় কিলোমিটারে বাঁধ দিয়ে সমন্বিতভাবে মাছ চাষ করতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী। গত ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে হোজির নদী দখল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরেই দখলদারদের উচ্ছেদে নামে প্রশাসন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দখলে থাকা বাগেরহাটের হোজির নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের নেতৃত্বে হোজির সেতুর নিচের বাঁধ অপসারণ করা হয়।
এ সময় জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, জেলা পুলিশের সদস্য, ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে এই নদীর সব বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণ করা হবে বলে জানায় প্রশাসন।
দীর্ঘদিন পরে নদীটির বাঁধ অপসারণ করায় খুশি স্থানীয়রা। তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীটিতে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মাছ চাষ করতেন। তাঁরা এই নদী থেকে একটা মাছও ধরতে পারতেন না। গ্রামবাসীর প্রয়োজনে এই নদীতে পানি ওঠানো বা নামানো হতো না। এই নদীর পানি ব্যবহার করা হতো মৎস্যচাষিদের সুবিধার্থে। সরকারিভাবে নদীটির বাঁধ অপসারণ হওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছেন।
মো. আব্বাস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, নদীর বাঁধ কাটায় তাঁদের ভালো হয়েছে। এখন নদী থেকে মাছ ধরতে পারবেন, নদীতে গোসল করতে পারবেন, নদীতে নৌকা চালাতে পারবেন। নিজেদের প্রয়োজনমতো এই নদী ব্যবহার করতে পারবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আরজু বলেন, প্রশাসন সরকারি নদী অবৈধ দখলমুক্ত করেছে। এতে এলাকার মানুষের উপকার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ বছর আগেও একবার এই নদী দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁধ কেটে দেওয়ার কিছুদিন পরে আবারও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু হয়, এটা দেখবে কে? পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে খননকাজ শুরুর জন্য দেওয়া একাধিক বাঁধ এখনো রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জেনেছেন; হোজির নদীতে বাঁধ, পাটা ও নেট দিয়ে মাছ চাষসহ সব ধরনের অবৈধ কাজ হচ্ছিল। তাঁরা হোজির সেতুর নিচে দেওয়া বাঁধটি অপসারণ করেছেন। এই নদীর অন্যান্য স্থানে যেসব বাঁধ, নেট-পাটা রয়েছে, সেগুলোও অপসারণের কাজ চলছে। প্রয়োজনে আরও দু-এক দিন এই নদী দখলমুক্ত করতে কাজ করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কেউ এই খালে অবৈধ বাঁধ বা মাছ চাষ করতে চাইলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে অবস্থিত সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হোজির নদীর ছয় কিলোমিটারে বাঁধ দিয়ে সমন্বিতভাবে মাছ চাষ করতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী। গত ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে হোজির নদী দখল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরেই দখলদারদের উচ্ছেদে নামে প্রশাসন।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪