কামরুল হাসান
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা। ফুলের মতো দেখতে মেয়েটির ডাকনামও ফুল। একদিন সেই মেয়েটিই খুন হয়ে গেল। শুধু খুন নয়, ধর্ষণের পরে খুন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখলাম, শোবার ঘরের খাটের ওপরে ঝরা বকুলের মতো পড়ে আছে মেয়েটি। পাশে সিরাজ ভাই বসে কাঁদছেন।
ডিআইটি সড়ক ধরে মৌচাক বা মালিবাগ থেকে রামপুরা টিভি স্টেশনের দিকে যেতে চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের পরই হাজীপাড়া। করাতকল পেরিয়ে বাঁয়ে পশ্চিম দিকে একটি ঢালু পথ নেমে গেছে। সেই পথমুখের ৩ নম্বর বাড়িটিই ঘটনাস্থল। ২০০০ সালের ১ জুলাই সকালে আমি যখন অকুস্থলে পৌঁছালাম, ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে। ডিবির কর্মকর্তারা সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজছেন। তখনকার ডিসি ডিবি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বিদেশে ছিলেন, দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। কয়েক বছর আগে এই কর্মকর্তা বিদেশে মারা যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই তরুণ এসি রুহুল আমিন ও তৌফিক মাহবুব চৌধুরী। তাঁরা দুজনই এখন ডিআইজি।
খুনি কীভাবে এই বাড়িতে ঢুকল, তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর তাঁদের ফ্ল্যাটে যেমন একটি জানালা কাটা ছিল; ঠিক সে রকমই জানালার একটি অংশ কাটা ছিল ফুলের ঘরে। পুরো বাড়িতে আর কোনো কিছু খোয়া যায়নি, শুধু ফুলের শোবার ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। প্রথম দেখায় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, সেই কাটা জানালা দিয়েই খুনিরা ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এরপর একই পথ দিয়ে পালিয়ে গেছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে মানুষ, কিন্তু তাদের কেউ কিছু টের পাননি।
এভাবে কয়েক দিন তদন্ত চলে। তথ্য মোটাতাজা হতে থাকে। গোয়েন্দারা একমত হন, খুনিরা এই বাড়ির ভেতরেই ছিল। তাঁরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠল, এত লোক থাকতে খুনিরা কেন এই কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মারতে যাবে? ধীরে ধীরে সেটাও পরিষ্কার হয়। হাজীপাড়ার সেই বাড়িই ছিল হত্যাকাণ্ডের কারণ। বিরোধ এই সম্পদ নিয়ে।
পাঁচ রুমের একতলা এই বাড়ির মালিক ছিলেন ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম এ সামাদ। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় জমির দলিল করেন পিতার নামে। পরে তাঁর বাবা দানপত্র অনুযায়ী তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেন। এম এ সামাদের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন তাঁর সৎভাই এম এ কাদের। কয়েক বছর পর কাদের বিয়ে করেন, বউ নিয়ে আলাদা বাসা নেন। ১৯৯২ সালে গৃহকর্তা সামাদের স্ত্রী মারা যান। তখন একদিন কাদের এই বাড়িতে এসে একটি কক্ষ দখল করে থাকতে শুরু করেন। সামাদের ছেলে এতে বাধা দেন। তাঁদের শায়েস্তা করতে মামলা দিয়ে ভাই ও তাঁর ছেলেদের কারাগারে পাঠান কাদের। ’৯৫ সালে সামাদও মারা যান।
সামাদের পুত্ররা বাড়িটি ভাড়া দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু কাদের ভাড়াটেদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এরপর সামাদের ছেলেরা কাদেরের হাত থেকে বাড়িটি বাঁচাতে তাঁদের খালু পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে থাকতে দেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে গফরগাঁও থেকে বদলি হয়ে এই বাড়িতে ওঠেন।
বাড়িতে মোট পাঁচটি কক্ষের দুটিতে থাকতেন এএসপি সিরাজুল, তাঁর স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে ফুল। অন্য কক্ষগুলোতে থাকত কাদেরের পরিবার ও তাঁর শ্যালিকা হেনা। এক বাড়িতে দুই পরিবারের থাকা নিয়ে প্রায়ই ঠোকাঠুকি হতো। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
কাদের ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। হাজীপাড়ার বাড়িতে কাদেরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, দুই মেয়ে হৃদি ও আঁচল এবং শ্যালিকা হেনা থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে কাদেরের দুই শ্যালক ও অন্য তিন যুবক অনেক রাত পর্যন্ত এ বাড়িতেই ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের সন্দেহ চলে যায় কাদেরের দিকে। পুলিশ এ বাড়ির গৃহকর্মী সুফিয়া ও প্রতিবেশী মিন্টুকেও আটক করে। তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, বাড়ি দখল করতে ভাড়াটে লোক দিয়ে কাদেরই মেয়েটিকে খুন করিয়েছেন। কাদের ও তাঁর স্ত্রীকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জেরা করা হয়। তাঁরা কেউই শেষ পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেননি।
ফুলের মা লায়লা ইসলাম ঘটনার পরদিন রমনা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় প্রথমে কারও নাম উল্লেখ করেননি। পরে একটি সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাদের, তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, শ্যালক মো. শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন। ২০০১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। তাতে কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা, গৃহকর্মী সুফিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালের ৩০ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যরা খালাস পান।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সেই রায় হয়। হাইকোর্ট কাদের ও তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরের সাজা বহাল রেখে শওকত ও কবিরকে খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক আপিল করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এম এ কাদের এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরকে খালাস দিয়ে দেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সেই রায় হয়। রায়ে আদালত বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রায়ের সেই কপি উচ্চ আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর কাদের মারা যান।
যেদিন আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন ফুলের মা লায়লা ইসলামের একটি প্রতিক্রিয়া নিয়েছিলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এখন মনে হচ্ছে, ফুল নামে আদৌ কেউ জন্মগ্রহণই করেনি। এ নামে কেউ ছিল না, কেউ খুনও হয়নি। বিচারের নামে এত দিন যা হলো, সব নাটক। আপিল আদালত ছিল সেই নাটকের শেষ দৃশ্য।
লায়লা ইসলামের এ কথার আমি কোনো জবাব দিতে পারিনি।
আরও পড়ুন:
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা। ফুলের মতো দেখতে মেয়েটির ডাকনামও ফুল। একদিন সেই মেয়েটিই খুন হয়ে গেল। শুধু খুন নয়, ধর্ষণের পরে খুন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখলাম, শোবার ঘরের খাটের ওপরে ঝরা বকুলের মতো পড়ে আছে মেয়েটি। পাশে সিরাজ ভাই বসে কাঁদছেন।
ডিআইটি সড়ক ধরে মৌচাক বা মালিবাগ থেকে রামপুরা টিভি স্টেশনের দিকে যেতে চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের পরই হাজীপাড়া। করাতকল পেরিয়ে বাঁয়ে পশ্চিম দিকে একটি ঢালু পথ নেমে গেছে। সেই পথমুখের ৩ নম্বর বাড়িটিই ঘটনাস্থল। ২০০০ সালের ১ জুলাই সকালে আমি যখন অকুস্থলে পৌঁছালাম, ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে। ডিবির কর্মকর্তারা সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজছেন। তখনকার ডিসি ডিবি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বিদেশে ছিলেন, দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। কয়েক বছর আগে এই কর্মকর্তা বিদেশে মারা যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই তরুণ এসি রুহুল আমিন ও তৌফিক মাহবুব চৌধুরী। তাঁরা দুজনই এখন ডিআইজি।
খুনি কীভাবে এই বাড়িতে ঢুকল, তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর তাঁদের ফ্ল্যাটে যেমন একটি জানালা কাটা ছিল; ঠিক সে রকমই জানালার একটি অংশ কাটা ছিল ফুলের ঘরে। পুরো বাড়িতে আর কোনো কিছু খোয়া যায়নি, শুধু ফুলের শোবার ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। প্রথম দেখায় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, সেই কাটা জানালা দিয়েই খুনিরা ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এরপর একই পথ দিয়ে পালিয়ে গেছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে মানুষ, কিন্তু তাদের কেউ কিছু টের পাননি।
এভাবে কয়েক দিন তদন্ত চলে। তথ্য মোটাতাজা হতে থাকে। গোয়েন্দারা একমত হন, খুনিরা এই বাড়ির ভেতরেই ছিল। তাঁরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠল, এত লোক থাকতে খুনিরা কেন এই কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মারতে যাবে? ধীরে ধীরে সেটাও পরিষ্কার হয়। হাজীপাড়ার সেই বাড়িই ছিল হত্যাকাণ্ডের কারণ। বিরোধ এই সম্পদ নিয়ে।
পাঁচ রুমের একতলা এই বাড়ির মালিক ছিলেন ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম এ সামাদ। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় জমির দলিল করেন পিতার নামে। পরে তাঁর বাবা দানপত্র অনুযায়ী তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেন। এম এ সামাদের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন তাঁর সৎভাই এম এ কাদের। কয়েক বছর পর কাদের বিয়ে করেন, বউ নিয়ে আলাদা বাসা নেন। ১৯৯২ সালে গৃহকর্তা সামাদের স্ত্রী মারা যান। তখন একদিন কাদের এই বাড়িতে এসে একটি কক্ষ দখল করে থাকতে শুরু করেন। সামাদের ছেলে এতে বাধা দেন। তাঁদের শায়েস্তা করতে মামলা দিয়ে ভাই ও তাঁর ছেলেদের কারাগারে পাঠান কাদের। ’৯৫ সালে সামাদও মারা যান।
সামাদের পুত্ররা বাড়িটি ভাড়া দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু কাদের ভাড়াটেদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এরপর সামাদের ছেলেরা কাদেরের হাত থেকে বাড়িটি বাঁচাতে তাঁদের খালু পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে থাকতে দেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে গফরগাঁও থেকে বদলি হয়ে এই বাড়িতে ওঠেন।
বাড়িতে মোট পাঁচটি কক্ষের দুটিতে থাকতেন এএসপি সিরাজুল, তাঁর স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে ফুল। অন্য কক্ষগুলোতে থাকত কাদেরের পরিবার ও তাঁর শ্যালিকা হেনা। এক বাড়িতে দুই পরিবারের থাকা নিয়ে প্রায়ই ঠোকাঠুকি হতো। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
কাদের ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। হাজীপাড়ার বাড়িতে কাদেরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, দুই মেয়ে হৃদি ও আঁচল এবং শ্যালিকা হেনা থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে কাদেরের দুই শ্যালক ও অন্য তিন যুবক অনেক রাত পর্যন্ত এ বাড়িতেই ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের সন্দেহ চলে যায় কাদেরের দিকে। পুলিশ এ বাড়ির গৃহকর্মী সুফিয়া ও প্রতিবেশী মিন্টুকেও আটক করে। তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, বাড়ি দখল করতে ভাড়াটে লোক দিয়ে কাদেরই মেয়েটিকে খুন করিয়েছেন। কাদের ও তাঁর স্ত্রীকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জেরা করা হয়। তাঁরা কেউই শেষ পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেননি।
ফুলের মা লায়লা ইসলাম ঘটনার পরদিন রমনা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় প্রথমে কারও নাম উল্লেখ করেননি। পরে একটি সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাদের, তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, শ্যালক মো. শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন। ২০০১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। তাতে কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা, গৃহকর্মী সুফিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালের ৩০ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যরা খালাস পান।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সেই রায় হয়। হাইকোর্ট কাদের ও তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরের সাজা বহাল রেখে শওকত ও কবিরকে খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক আপিল করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এম এ কাদের এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরকে খালাস দিয়ে দেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সেই রায় হয়। রায়ে আদালত বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রায়ের সেই কপি উচ্চ আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর কাদের মারা যান।
যেদিন আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন ফুলের মা লায়লা ইসলামের একটি প্রতিক্রিয়া নিয়েছিলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এখন মনে হচ্ছে, ফুল নামে আদৌ কেউ জন্মগ্রহণই করেনি। এ নামে কেউ ছিল না, কেউ খুনও হয়নি। বিচারের নামে এত দিন যা হলো, সব নাটক। আপিল আদালত ছিল সেই নাটকের শেষ দৃশ্য।
লায়লা ইসলামের এ কথার আমি কোনো জবাব দিতে পারিনি।
আরও পড়ুন:
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগে