Ajker Patrika

রিজার্ভ সংকটে পাকিস্তান, সোনা আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ০৮: ৫৩
রিজার্ভ সংকটে পাকিস্তান, সোনা আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে পাকিস্তান সরকার ৬০ দিনের জন্য সোনা, রত্নপাথর ও গয়না রপ্তানি-আমদানির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে ২০১৩ সালের এসআরও ৭৬০ সাময়িকভাবে স্থগিত করে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে, যা মূলত মূল্যবান ধাতুর বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপট রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সোনা ও মূল্যবান ধাতু দুবাই হয়ে ভারতে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করাই এ নিষেধাজ্ঞার অন্যতম উদ্দেশ্য।

সরকারি এক কর্মকর্তা পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে বলেন, ‘সোনার দামে বিশাল পার্থক্য থাকায় তা ভারত রপ্তানির বড় প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। আমরা সেটাই ঠেকাতে চাইছি।’

পাকিস্তানে সোনা দীর্ঘদিন ধরে এক ঐতিহ্যবাহী সম্পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি দেশটির সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও উৎপাদন খাতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পাকিস্তান মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বর্ণবাজার থেকে সোনা আমদানি করে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাকিস্তান ১ কোটি ৯৪ হাজার ডলারের গয়না রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। গত বছর ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার গয়না রপ্তানি করে দেশটি।

পাকিস্তান সরকার রপ্তানি সুবিধা স্কিমের আওতায় গয়না রপ্তানিতে একাধিক প্রণোদনা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে শুল্ক ফেরত সুবিধা, নির্দিষ্ট কাঁচামালের জন্য শূন্য হারে কর, এবং রপ্তানির কাগজপত্র প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ।

২০২৩ সালে সরকার সোনা আমদানির নিয়মাবলি সহজ করে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে শুল্ক নির্ধারণ ও ট্র্যাকিংয়ের জন্য কম্পিউটারভিত্তিক পদ্ধতি চালু করে।

এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব মূল্যবান ধাতুর আন্তর্জাতিক বাজার এবং পাকিস্তানের গয়না রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত