অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘শাস্তিমূলক শুল্ক’ এড়াতে ভিয়েতনাম এবার চীনের রপ্তানিতে কঠোর নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে ভিয়েতনামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো চীনা পণ্যের ওপর নজর রাখবে হ্যানয় সরকার। শুধু তা-ই নয়, চীনমুখী সংবেদনশীল রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।
সরকারি নথিপত্র এবং এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই পদক্ষেপের প্রস্তাব এমন সময়ে এল, যখন হোয়াইট হাউসের প্রভাবশালী বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোসহ ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা এই ধারণা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, চীনা পণ্য কম শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ‘মেড ইন ভিয়েতনাম’ লেবেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগে ভিয়েতনাম বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছিল, যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির বিশাল বাণিজ্য উদ্বৃত্তের বিষয়ে নমনীয় থাকেন। তবে এরপরও ট্রাম্পের ‘লিবারেশন ডে’ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
যদিও এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, তবে গত বুধবার ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
রপ্তানিনির্ভর ভিয়েতনাম আশা করছে, এই শুল্ক ২২ থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে বা তারও নিচে নামিয়ে আনা যাবে। এ বিষয়ে অবগত তিন ব্যক্তি এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জানান, গত মার্চে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা এই সীমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার শুরুর ঘোষণা দিয়ে ভিয়েতনামের সরকার রাষ্ট্রীয় পোর্টালে জানায়, তারা ‘বাণিজ্য জালিয়াতি’ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তবে এই পরিভাষার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ভিয়েতনাম সরকার।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে অনেক বহুজাতিক সংস্থা বেইজিংয়ের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামে কারখানা স্থাপন করে ‘চীন প্লাস ওয়ান’ নীতি বাস্তবায়ন করেছে।
ট্রাম্পের বেপরোয়া শুল্কনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। কারণ, একদিকে তাদের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে শীর্ষ বিনিয়োগের উৎস এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার ঝুঁকিও নিতে চাইছে না। যেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত নিয়ে চীন-ভিয়েতনাম বিরোধ বহুদিন ধরে চলে আসছে।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা নাভারো ৬ এপ্রিল ফক্স নিউজে কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেন, ‘চীন শুল্ক ফাঁকি দিতে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভিয়েতনামকে ব্যবহার করছে।’
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, কিছু ক্ষেত্রে চীনা পণ্যবাহী জাহাজ ভিয়েতনামের বন্দরে অবস্থান করে। জাহাজবোঝাই পণ্যগুলো ‘ভিয়েতনামে তৈরি হয়েছে’ এমন প্রমাণপত্র পাওয়ার জন্যই মূলত এই বিরতি দেওয়া হয়। এরপর সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে যাত্রা করে।
এখন চীনা পণ্যে কঠোর নজরদারি করতে ভিয়েতনামের প্রস্তাব ট্রান্সশিপমেন্টের অপব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে উদ্বেগ, তা কমাতে যথেষ্ট কি না বা দেশটি সম্পূর্ণরূপে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, বেইজিং ও হ্যানয়ের মধ্যে বাণিজ্য মূলত একটি উইন-উইন পরিস্থিতি। আমরা বিশ্বাস করি, ভিয়েতনাম তার নিজস্ব দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ এবং চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে একটি সিদ্ধান্ত নেবে।
চিপস, স্যাটেলাইট ও বিমান
এদিকে ভিয়েতনামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে প্রবাহিত সংবেদনশীল পণ্যের ক্ষেত্রেও হ্যানয় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। রয়টার্স একটি খসড়া আদেশ পর্যালোচনা করে দেখেছে, ভিয়েতনাম সেমিকন্ডাক্টরের মতো দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে চায়। এ ধরনের ইলেকট্রনিকস বেসামরিক ও সামরিক—উভয় কাজেই ব্যবহার করা যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রস্তুত করা এই আদেশে কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ৪ এপ্রিলের একটি ব্যাখ্যা নোট আকারে এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নথিতে বলা হয়, প্রধান বাণিজ্য অংশীদারেরা হ্যানয়কে অনুরোধ করেছে, যাতে ‘রপ্তানিকারক দেশের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তর বা লেবেল লাগানোর সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায়।’
মার্কিন সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উন্নয়নকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। ওয়াশিংটন অত্যাধুনিক মার্কিন চিপ চীনে সরবরাহ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে, ভিয়েতনাম এখন এই ধরনের পণ্যের বাণিজ্যের জন্য নতুন ঘোষণা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা করছে। হ্যানয় এর আগে জানিয়েছিল, তারা মার্চ মাসের বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সহজীকরণ ও অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপের মধ্যে ভিয়েতনাম ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবার সহজ শর্তে অনুমোদন দেওয়ার কথাও ভাবছে। মাস্ক ৪ এপ্রিল এক এক্স পোস্টে ভিয়েতনামে একাধিক গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশে ইলন মাস্কের প্রাধান্য বেইজিং হুমকি হিসেবেই দেখছে। যেখানে চীনও পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে বিপুল স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে স্টারলিংকের বিকল্প যোগাযোগ পরিষেবা অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে।
ভিয়েতনামের কূটনীতিকদের বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনা নেতা সি চিন পিং হ্যানয় সফর করবেন। এ বিষয়ে অবগত দুজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, সির সফরে ভিয়েতনামের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনের কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চায়না (কম্যাক) নির্মিত উড়োজাহাজ অনুমোদন চূড়ান্ত হতে পারে। এর ফলে ভিয়েতনামের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য চীনা জেট বিমান ইজারা নেওয়া ও কেনার পথ খুলতে পারে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি ক্রেতা খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে। গত সপ্তাহেই ভিয়েতনামের বিমান সংস্থাগুলোর বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঋণচুক্তির ঘোষণা আসে। আর এরপরই চীনের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তির আভাস মিলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘শাস্তিমূলক শুল্ক’ এড়াতে ভিয়েতনাম এবার চীনের রপ্তানিতে কঠোর নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে ভিয়েতনামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো চীনা পণ্যের ওপর নজর রাখবে হ্যানয় সরকার। শুধু তা-ই নয়, চীনমুখী সংবেদনশীল রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।
সরকারি নথিপত্র এবং এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই পদক্ষেপের প্রস্তাব এমন সময়ে এল, যখন হোয়াইট হাউসের প্রভাবশালী বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোসহ ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা এই ধারণা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, চীনা পণ্য কম শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ‘মেড ইন ভিয়েতনাম’ লেবেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগে ভিয়েতনাম বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছিল, যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির বিশাল বাণিজ্য উদ্বৃত্তের বিষয়ে নমনীয় থাকেন। তবে এরপরও ট্রাম্পের ‘লিবারেশন ডে’ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
যদিও এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, তবে গত বুধবার ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
রপ্তানিনির্ভর ভিয়েতনাম আশা করছে, এই শুল্ক ২২ থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে বা তারও নিচে নামিয়ে আনা যাবে। এ বিষয়ে অবগত তিন ব্যক্তি এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জানান, গত মার্চে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা এই সীমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার শুরুর ঘোষণা দিয়ে ভিয়েতনামের সরকার রাষ্ট্রীয় পোর্টালে জানায়, তারা ‘বাণিজ্য জালিয়াতি’ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তবে এই পরিভাষার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ভিয়েতনাম সরকার।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে অনেক বহুজাতিক সংস্থা বেইজিংয়ের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামে কারখানা স্থাপন করে ‘চীন প্লাস ওয়ান’ নীতি বাস্তবায়ন করেছে।
ট্রাম্পের বেপরোয়া শুল্কনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। কারণ, একদিকে তাদের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে শীর্ষ বিনিয়োগের উৎস এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার ঝুঁকিও নিতে চাইছে না। যেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত নিয়ে চীন-ভিয়েতনাম বিরোধ বহুদিন ধরে চলে আসছে।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা নাভারো ৬ এপ্রিল ফক্স নিউজে কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেন, ‘চীন শুল্ক ফাঁকি দিতে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভিয়েতনামকে ব্যবহার করছে।’
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, কিছু ক্ষেত্রে চীনা পণ্যবাহী জাহাজ ভিয়েতনামের বন্দরে অবস্থান করে। জাহাজবোঝাই পণ্যগুলো ‘ভিয়েতনামে তৈরি হয়েছে’ এমন প্রমাণপত্র পাওয়ার জন্যই মূলত এই বিরতি দেওয়া হয়। এরপর সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে যাত্রা করে।
এখন চীনা পণ্যে কঠোর নজরদারি করতে ভিয়েতনামের প্রস্তাব ট্রান্সশিপমেন্টের অপব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে উদ্বেগ, তা কমাতে যথেষ্ট কি না বা দেশটি সম্পূর্ণরূপে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, বেইজিং ও হ্যানয়ের মধ্যে বাণিজ্য মূলত একটি উইন-উইন পরিস্থিতি। আমরা বিশ্বাস করি, ভিয়েতনাম তার নিজস্ব দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ এবং চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে একটি সিদ্ধান্ত নেবে।
চিপস, স্যাটেলাইট ও বিমান
এদিকে ভিয়েতনামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে প্রবাহিত সংবেদনশীল পণ্যের ক্ষেত্রেও হ্যানয় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। রয়টার্স একটি খসড়া আদেশ পর্যালোচনা করে দেখেছে, ভিয়েতনাম সেমিকন্ডাক্টরের মতো দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে চায়। এ ধরনের ইলেকট্রনিকস বেসামরিক ও সামরিক—উভয় কাজেই ব্যবহার করা যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রস্তুত করা এই আদেশে কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ৪ এপ্রিলের একটি ব্যাখ্যা নোট আকারে এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নথিতে বলা হয়, প্রধান বাণিজ্য অংশীদারেরা হ্যানয়কে অনুরোধ করেছে, যাতে ‘রপ্তানিকারক দেশের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তর বা লেবেল লাগানোর সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায়।’
মার্কিন সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উন্নয়নকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। ওয়াশিংটন অত্যাধুনিক মার্কিন চিপ চীনে সরবরাহ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে, ভিয়েতনাম এখন এই ধরনের পণ্যের বাণিজ্যের জন্য নতুন ঘোষণা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা করছে। হ্যানয় এর আগে জানিয়েছিল, তারা মার্চ মাসের বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সহজীকরণ ও অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপের মধ্যে ভিয়েতনাম ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবার সহজ শর্তে অনুমোদন দেওয়ার কথাও ভাবছে। মাস্ক ৪ এপ্রিল এক এক্স পোস্টে ভিয়েতনামে একাধিক গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশে ইলন মাস্কের প্রাধান্য বেইজিং হুমকি হিসেবেই দেখছে। যেখানে চীনও পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে বিপুল স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে স্টারলিংকের বিকল্প যোগাযোগ পরিষেবা অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে।
ভিয়েতনামের কূটনীতিকদের বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনা নেতা সি চিন পিং হ্যানয় সফর করবেন। এ বিষয়ে অবগত দুজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, সির সফরে ভিয়েতনামের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনের কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চায়না (কম্যাক) নির্মিত উড়োজাহাজ অনুমোদন চূড়ান্ত হতে পারে। এর ফলে ভিয়েতনামের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য চীনা জেট বিমান ইজারা নেওয়া ও কেনার পথ খুলতে পারে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি ক্রেতা খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে। গত সপ্তাহেই ভিয়েতনামের বিমান সংস্থাগুলোর বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঋণচুক্তির ঘোষণা আসে। আর এরপরই চীনের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তির আভাস মিলছে।
সব ধরনের শিল্প ও কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ধুঁকতে থাকা পুরোনো শিল্পকারখানা যেমন চাপে পড়বে, তেমনি পিছু হঠতে পারে নতুন বিনিয়োগকারীও। কারণ কমিশন মনে করে, যাদের এই দামে গ্যাস কিনে শিল্প করা পোষাবে, তারা বিনিয়োগ করবে।
৩ ঘণ্টা আগেবার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে লভ্যাংশের টাকা তিন মাস অলস পড়ে থাকায় কোম্পানির চলতি মূলধন সংকুচিত হয়—এ সমস্যা দূর করতে নতুন নিয়ম আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এখন থেকে কোম্পানিগুলো ঘোষণার পরপরই লভ্যাংশের টাকা ব্যবহার করতে পারবে। তবে এজিএমের ঠিক এক দিন আগে তা আলাদা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেজাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠেছে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর। গতকাল রোববার ওসাকায় শুরু হওয়া এক্সপোতে ১৬০টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে, প্রদর্শন করছে তাদের প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও খাদ্যবৈচিত্র্য। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। আয়োজক জাপানের আশা, এই মেলা বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার কর
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট জটিলতা দূর করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা আসন্ন বাজেট যেন ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হয়, সেই প্রত্যাশাও জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে