২০২০ সালের জুন মাসে ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির মালিকানাধীন একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সৌরশক্তি প্রকল্পের চুক্তি বাগাতে সমর্থ হয়। এই চুক্তির অধীনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়, স্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গত বুধবার প্রকাশিত মার্কিন ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায় আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মার্কিন হেফাজতে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘সম্ভাব্য সব আইনি পদক্ষেপ নেবে’।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য প্রস্তাবিত কয়েক শ মিলিয়ন ডলার ঘুষের বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যখন আদানির কোম্পানিগুলো ২০২১ সাল থেকে মার্কিনভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করছিল।
এসব ঘটনার বিবরণ মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটরদের ৫৪ পৃষ্ঠার ফৌজদারি অভিযোগপত্র এবং এসইসির দুটি দেওয়ানি অভিযোগ থেকে পাওয়া গেছে। নথিতে অভিযুক্তদের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ইলেকট্রনিক মেসেজ প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালের শুরুতে, ভারতের সরকারি সংস্থা সোলার এনার্জি করপোরেশন, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আজুর পাওয়ার গ্লোবালের সঙ্গে ১২ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন প্রকল্পের চুক্তি করে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় কোম্পানির বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা ছিল।
এই প্রকল্প আদানি গ্রিন এনার্জির জন্য একটি বড় অগ্রগতি ছিল। এই কোম্পানি পরিচালনা করেন আদানির ভাতিজা সাগর আদানি।
যুক্তরাষ্ট্রের এসইসির অভিযোগ অনুসারে, এর আগে কোম্পানিটি এই খাতে তাদের ইতিহাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল এবং এখনো কোনো লাভ করতে পারেনি।
ভারতের সরকারের সঙ্গে আদানির প্রকল্পটি শিগগিরই বাধার সম্মুখীন হয়। স্থানীয় রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে দাম কমার প্রত্যাশায় নতুন করে সৌরশক্তি কিনতে অনিচ্ছুক ছিল।
এ সময় সাগর আদানি এবং আজুরের সিইও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার পরিকল্পনা আঁটেন। একটি বার্তায় সাগর আদানি লিখেছেন, ‘আমরা এটির গ্রহণযোগ্যতার জন্য প্রণোদনা দ্বিগুণ করেছি।’
আজুরের সিইও রঞ্জিত গুপ্তর বিরুদ্ধেও মার্কিন বিচার বিভাগ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে।
২০২১ সালের আগস্টে গৌতম আদানি অন্ধ্রপ্রদেশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন এবং তাঁকে ২২৮ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এরপর ২০২৩ সালে, এফবিআই সাগর আদানির ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করে।
গত অক্টোবরে একটি গ্র্যান্ড জুরি গৌতম আদানি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে, যা ২০ নভেম্বর উন্মোচন করা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য ২৭ বিলিয়ন ডলার পড়ে গেছে।
২০২০ সালের জুন মাসে ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির মালিকানাধীন একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সৌরশক্তি প্রকল্পের চুক্তি বাগাতে সমর্থ হয়। এই চুক্তির অধীনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়, স্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গত বুধবার প্রকাশিত মার্কিন ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায় আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মার্কিন হেফাজতে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘সম্ভাব্য সব আইনি পদক্ষেপ নেবে’।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য প্রস্তাবিত কয়েক শ মিলিয়ন ডলার ঘুষের বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যখন আদানির কোম্পানিগুলো ২০২১ সাল থেকে মার্কিনভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করছিল।
এসব ঘটনার বিবরণ মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটরদের ৫৪ পৃষ্ঠার ফৌজদারি অভিযোগপত্র এবং এসইসির দুটি দেওয়ানি অভিযোগ থেকে পাওয়া গেছে। নথিতে অভিযুক্তদের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ইলেকট্রনিক মেসেজ প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালের শুরুতে, ভারতের সরকারি সংস্থা সোলার এনার্জি করপোরেশন, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আজুর পাওয়ার গ্লোবালের সঙ্গে ১২ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন প্রকল্পের চুক্তি করে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় কোম্পানির বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা ছিল।
এই প্রকল্প আদানি গ্রিন এনার্জির জন্য একটি বড় অগ্রগতি ছিল। এই কোম্পানি পরিচালনা করেন আদানির ভাতিজা সাগর আদানি।
যুক্তরাষ্ট্রের এসইসির অভিযোগ অনুসারে, এর আগে কোম্পানিটি এই খাতে তাদের ইতিহাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল এবং এখনো কোনো লাভ করতে পারেনি।
ভারতের সরকারের সঙ্গে আদানির প্রকল্পটি শিগগিরই বাধার সম্মুখীন হয়। স্থানীয় রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে দাম কমার প্রত্যাশায় নতুন করে সৌরশক্তি কিনতে অনিচ্ছুক ছিল।
এ সময় সাগর আদানি এবং আজুরের সিইও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার পরিকল্পনা আঁটেন। একটি বার্তায় সাগর আদানি লিখেছেন, ‘আমরা এটির গ্রহণযোগ্যতার জন্য প্রণোদনা দ্বিগুণ করেছি।’
আজুরের সিইও রঞ্জিত গুপ্তর বিরুদ্ধেও মার্কিন বিচার বিভাগ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে।
২০২১ সালের আগস্টে গৌতম আদানি অন্ধ্রপ্রদেশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন এবং তাঁকে ২২৮ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এরপর ২০২৩ সালে, এফবিআই সাগর আদানির ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করে।
গত অক্টোবরে একটি গ্র্যান্ড জুরি গৌতম আদানি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে, যা ২০ নভেম্বর উন্মোচন করা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য ২৭ বিলিয়ন ডলার পড়ে গেছে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১২ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
২১ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে