নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর সীমা তুলে নেওয়ার প্রথম কর্মদিবসে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় ধস হয়েছে। আজ রোববার দিনের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দেড় শতাংশের বেশি সূচক হারিয়েছে, যা ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন। তবে আজকের দিনের দরপতন অনেকটা অনুমিতই ছিল।
এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজ ট্রেজারার সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস আরোপের সময় বাজারে অনেক শেয়ার অতিমূল্যায়িত ছিল। ফ্লোর প্রাইসের কারণে সেটি সংশোধন হতে পারেনি, যার প্রতিফলন আজকে বাজারে দেখা গেছে।’
আজ রোববার লেনদনে শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় সকাল ১০টা ০৬ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১২২ পয়েন্ট নেমে যায়। তবে দিন শেষে সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার করে ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে উঠে, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কম।
ডিএসইর অপর সূচক ডিএসইএস ১৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে ১৩৭৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট হারিয়ে ২১৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিন শেষে ডিএসইতে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৯৬ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫৭টির শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা তুলে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে তিন বিবেচনায় ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর বহাল রাখা হয়েছে।
সর্বনিম্ন দর বেঁধে রাখায় অনেকে এতদিন শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। ফলে ফ্লোর প্রাইস ওঠার সুযোগে অনেকেই শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। সে কারণে ফ্লোর প্রাইস ওঠার প্রথম দিন যে দরপতন হবে, তা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে শেয়ারদর ওঠানামার সীমা বা সার্কিট ব্রেকার আগের মতই ১০ শতাংশই থাকছে। অর্থাৎ, কোনো শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় শেয়ারদর ক্রমশ কমতে থাকায় ২০২০ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মত ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। ওই বছরের জুন থেকে প্রথমে বীমা খাত ও পরে আরো কিছু খাতের শেয়ারদর বাড়তে থাকলে পরে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল কমিশন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আতঙ্কে আবার পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হলে দ্বিতীয়বারের মত ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয় ২৮ জুলাই।
বিনিয়োগকারীদের একাংশের দাবির মুখে এবছরের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর এমন কোম্পানিও দেখা যায়, তার দর টানা ৪০ কর্মদিবস এক শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার এসব কোম্পানিতে সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে সূচক মোটামুটি একটি বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও শেয়ারের লেনদেন একেবারেই কমে আসে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা অর্ডার বসিয়েও শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না; লেনদেনও কমে আসে অনেকটাই।
ওই অবস্থায় স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনসহ বড় বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানায় বিএসইসিকে। তবে নির্বাচনের আগে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বিএসইসি।
ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর সীমা তুলে নেওয়ার প্রথম কর্মদিবসে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় ধস হয়েছে। আজ রোববার দিনের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দেড় শতাংশের বেশি সূচক হারিয়েছে, যা ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন। তবে আজকের দিনের দরপতন অনেকটা অনুমিতই ছিল।
এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজ ট্রেজারার সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস আরোপের সময় বাজারে অনেক শেয়ার অতিমূল্যায়িত ছিল। ফ্লোর প্রাইসের কারণে সেটি সংশোধন হতে পারেনি, যার প্রতিফলন আজকে বাজারে দেখা গেছে।’
আজ রোববার লেনদনে শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় সকাল ১০টা ০৬ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১২২ পয়েন্ট নেমে যায়। তবে দিন শেষে সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার করে ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে উঠে, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কম।
ডিএসইর অপর সূচক ডিএসইএস ১৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে ১৩৭৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট হারিয়ে ২১৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিন শেষে ডিএসইতে ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৯৬ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫৭টির শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা তুলে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে তিন বিবেচনায় ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর বহাল রাখা হয়েছে।
সর্বনিম্ন দর বেঁধে রাখায় অনেকে এতদিন শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। ফলে ফ্লোর প্রাইস ওঠার সুযোগে অনেকেই শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। সে কারণে ফ্লোর প্রাইস ওঠার প্রথম দিন যে দরপতন হবে, তা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে শেয়ারদর ওঠানামার সীমা বা সার্কিট ব্রেকার আগের মতই ১০ শতাংশই থাকছে। অর্থাৎ, কোনো শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় শেয়ারদর ক্রমশ কমতে থাকায় ২০২০ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে প্রথমবারের মত ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। ওই বছরের জুন থেকে প্রথমে বীমা খাত ও পরে আরো কিছু খাতের শেয়ারদর বাড়তে থাকলে পরে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল কমিশন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আতঙ্কে আবার পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হলে দ্বিতীয়বারের মত ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয় ২৮ জুলাই।
বিনিয়োগকারীদের একাংশের দাবির মুখে এবছরের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর এমন কোম্পানিও দেখা যায়, তার দর টানা ৪০ কর্মদিবস এক শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার এসব কোম্পানিতে সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে সূচক মোটামুটি একটি বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও শেয়ারের লেনদেন একেবারেই কমে আসে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা অর্ডার বসিয়েও শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না; লেনদেনও কমে আসে অনেকটাই।
ওই অবস্থায় স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনসহ বড় বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানায় বিএসইসিকে। তবে নির্বাচনের আগে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বিএসইসি।
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড়
১ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে আম ও ইলিশ আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো। গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আল
৯ মিনিট আগেমিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন সুমিত পোদ্দার। রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৪ প্রকল্প অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকল্পগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ
৫ ঘণ্টা আগে