Ajker Patrika

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩: ১৫
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

বাংলাদেশসহ ৬টি দেশে মোট ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শনিবার ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। রপ্তানির তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো— সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকা।

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩–২৪ মৌসুমে খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি চাহিদা। এই পরিস্থিতির মধ্যে এই রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত।

উল্লেখিত দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো–অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)। ই–প্লাটফর্মে প্রতিযোগিতামূলক দামে এনসিইএল অভ্যন্তরীণ উৎপাদকদের থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে। এরপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধের পর আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হবে।

ভারতের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী প্রদেশ মহারাষ্ট্র এনসিইএলকে এই রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ করবে।

এ ছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। সাধারণত এসব পেঁয়াজ মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের কিছু দেশের বাজারে রপ্তানি করা হয়। সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে সাদা পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি। কারণ এর বীজের দাম অনেক বেশি। সেই সঙ্গে উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয়।

যেসব দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকার চলতি বছরের রবি মৌসুমের জন্য মূল্য স্থিতিশীলতা তহবিলের (পিএসএফ) অধীনে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। লক্ষ্যপূরণে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন ন্যাশনাল কো–অপারেটিভ কনজিউমারস ফেডারেশন (এনসিসিএফ) এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো–অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এনএএফইডি) স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে ক্রয়, মজুত এবং কৃষকদের নিবন্ধনে সহযোগিতা করছে।

মজুতের সময় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভোক্তা বিষয়ক বিভাগ এবার ৫ হাজার টন পেঁয়াজ হিমাগারে রাখার পরিকল্পনা করেছে, যা আগের বছর ছিল ১ হাজার ২০০ টন। সে লক্ষ্যে মুম্বাইয়ের ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (বিএআরসি) থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গত বছরের পাইলট প্রকল্পের অধীনে হিমাগারে পেঁয়াজ রাখার ফলে ১০ শতাংশেরও কম ক্ষতি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত