আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.১৪ শতাংশ বেশি। এপ্রিল মাসে এ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২৩.৬৭ শতাংশে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিবেশে একটি ব্যতিক্রমী অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের বৃহৎ অংশ পরিচালনা হয়। এ কারণে রাজস্ব আদায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পারফরম্যান্স জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসেই কাস্টমস রাজস্ব আদায় করেছে ৭ হাজার ৩৮২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যেখানে গত অর্থবছরের এপ্রিল মাসে আদায় ছিল ৫ হাজার ৯৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে বছরের ব্যবধানে ১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকার বেশি আদায় বেড়েছে।
তবে প্রবৃদ্ধির এই চিত্র সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো পিছিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৭০ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ সময়ের ঘাটতি দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা প্রায় ১১.০৬ শতাংশ। পুরো অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ মে ও জুন মাসে রাজস্ব আদায় করতে হবে আরও ১৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা পূরণ করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
রাজস্ব আদায়ে এই গতি সত্ত্বেও বছরের শুরুটা ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সড়ক অবরোধ, ইন্টারনেট-সংযোগ বন্ধ এবং পরবর্তী সময়ে বন্যার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ডেলিভারি ও কাস্টমস কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে জুলাই ও আগস্টে রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হয়। তবে সংকট কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ধীরে ধীরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় এবং রাজস্ব আদায়ে গতি ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক চাপের এ সময়েও রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ভালো বার্তা। শুল্ক ফাঁকি রোধ, জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং চোরাচালান বন্ধে কঠোর নজরদারির কারণে রাজস্ব বাড়ছে।’
সাইদুল ইসলাম আরও জানান, কাস্টমসের কার্যক্রমে অটোমেশন, আধুনিকায়ন, পণ্য খালাসপ্রক্রিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর এবং অনিয়মে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ায় রাজস্ব আহরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি এসেছে।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতির প্রসঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, এনবিআর পূর্ববর্তী বছরের আদায়কে ভিত্তি ধরে পরবর্তী বছরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে থাকে। ফলে বাস্তবতার সঙ্গে কিছুটা বিচ্যুতি থাকা স্বাভাবিক। তবে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য। কর্মকর্তারা আশাবাদী, শেষ দুই মাসে পারফরম্যান্সের গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ফাল্গুনী ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাস্টম হাউসে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এ ধারা অর্থনীতির স্থিতিশীলতারও বার্তা বহন করে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.১৪ শতাংশ বেশি। এপ্রিল মাসে এ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২৩.৬৭ শতাংশে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিবেশে একটি ব্যতিক্রমী অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের বৃহৎ অংশ পরিচালনা হয়। এ কারণে রাজস্ব আদায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পারফরম্যান্স জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসেই কাস্টমস রাজস্ব আদায় করেছে ৭ হাজার ৩৮২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যেখানে গত অর্থবছরের এপ্রিল মাসে আদায় ছিল ৫ হাজার ৯৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে বছরের ব্যবধানে ১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকার বেশি আদায় বেড়েছে।
তবে প্রবৃদ্ধির এই চিত্র সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো পিছিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৭০ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ সময়ের ঘাটতি দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা প্রায় ১১.০৬ শতাংশ। পুরো অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ মে ও জুন মাসে রাজস্ব আদায় করতে হবে আরও ১৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা পূরণ করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
রাজস্ব আদায়ে এই গতি সত্ত্বেও বছরের শুরুটা ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সড়ক অবরোধ, ইন্টারনেট-সংযোগ বন্ধ এবং পরবর্তী সময়ে বন্যার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ডেলিভারি ও কাস্টমস কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে জুলাই ও আগস্টে রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হয়। তবে সংকট কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ধীরে ধীরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় এবং রাজস্ব আদায়ে গতি ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক চাপের এ সময়েও রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ভালো বার্তা। শুল্ক ফাঁকি রোধ, জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং চোরাচালান বন্ধে কঠোর নজরদারির কারণে রাজস্ব বাড়ছে।’
সাইদুল ইসলাম আরও জানান, কাস্টমসের কার্যক্রমে অটোমেশন, আধুনিকায়ন, পণ্য খালাসপ্রক্রিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর এবং অনিয়মে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ায় রাজস্ব আহরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি এসেছে।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতির প্রসঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, এনবিআর পূর্ববর্তী বছরের আদায়কে ভিত্তি ধরে পরবর্তী বছরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে থাকে। ফলে বাস্তবতার সঙ্গে কিছুটা বিচ্যুতি থাকা স্বাভাবিক। তবে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য। কর্মকর্তারা আশাবাদী, শেষ দুই মাসে পারফরম্যান্সের গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ফাল্গুনী ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাস্টম হাউসে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এ ধারা অর্থনীতির স্থিতিশীলতারও বার্তা বহন করে।
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, খাদ্য, প্লাস্টিক, তুলাসহ ছয় ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশটিতে এসব পণ্য রপ্তানিতে ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতিবিদেরা একে দেখছেন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্য বড় বাধা হিসেবে।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সংকুচিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) রাখা হচ্ছে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রকল্প। এতে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০ খাতেই খরচ করা হবে ৭৪.৪০ শতাংশ; টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার। একই সঙ্গে কমেছে কর্মক্ষম ও কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এ উঠে এসেছে এ চিত্র।
৬ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে
৬ ঘণ্টা আগে