উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠানই চার কর্মদিবসের দিকে ঝুঁকছে। অনেকের ধারণা, কর্মীদের চাপমুক্ত রাখলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। জাপানে প্রাথমিক গবেষণায় এ পদ্ধতি বেশ সফল প্রমাণিত হয়েছে।
কানাডার টরন্টোর এক ছোট কারখানায় এ পদ্ধতি কাজে লাগানোর চিন্তা করেন কারখানার মালিক জাখারি টথ। তিনি কর্মীদের বলেন, তাঁরা চাইলে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে বাড়তি ছুটি কাটাতে পারেন। এ সুবিধা দেওয়ার পরই তাঁদের মধ্যে ছুটির দিনেও কাজে আসার প্রবণতা দেখা দেওয়া শুরু হয়।
বিজনেস ইনসাইডারকে টথ বলেন, জাপান ও অন্যান্য স্থানে চার কর্মদিবস পদ্ধতি সফল হওয়ার কথা শুনে তিনি ও তাঁর ম্যানেজাররা মিলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টথ কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চিন্তা করে এ পদ্ধতি গ্রহণ করলেও বন্ধের দিনেও কর্মীরা কাজে চলে আসবেন—এমনটা তিনি আশা করেননি। প্রথম প্রথম তাঁকে না জানিয়েই কর্মীরা বন্ধের দিন অফিসে চলে আসতেন।
মেটেক্স করপোরেশনের মালিক ও প্রেসিডেন্ট জাখারি টথ বলেন, ‘কোনো কাজ শেষ করা বাকি থাকলে সেই কর্মী বন্ধের দিনেও কাজে আসতেন। কারণ, ওই কর্মীরা চান না উৎপাদনশীলতা কমে যাক। তাঁরা নিশ্চিত করতে চান, আমরা যেন চার দিন কর্মদিবস চালিয়ে যাই।’
টথ বলেন, ‘কর্মীদের কম কাজ করার সুযোগ দিলে প্রয়োজনে তাঁরা বেশি কাজ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আমি কখনো এমন দেখিনি। এমন আগ্রহ দেখাটা বেশ আনন্দের।’
এ পদ্ধতিতে কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা কমে যায়। টথের এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, কর্মীদের ওপর কাজের চাপ কম দিলে তা ব্যবসার জন্য লাভজনক হতে পারে।
যেসব প্রতিষ্ঠান চার কর্মদিবস মেনে চলে, তাদের আয় স্থিতিশীল, কখনো কখনো তা বেড়েও যায়। কর্মীরা তখন কম চাপ বোধ করেন এবং তাঁদের ওপর ধকল কম যায়। তখন তাঁদের কাজে সৃজনশীলতাও বেড়ে যায়। কর্মদিবস কমে যাওয়ার কারণে টথের কর্মীরা কিছু কিছু প্রকল্প শেষ করার জন্য় যে চাপ বোধ করেন, তা তাঁদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।
মেটেক্সে প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎপাদনশীলতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন টথ। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি কারখানার জন্য পানির মান পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে। চার কর্মদিবস পদ্ধতি অবলম্বনের পর যে কাজ করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগত, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হচ্ছে! টথ এই উৎপাদনশীলতার কৃতিত্ব কর্মীদেরই দেন।
তিনি বলেন, ‘কর্মীরা তাঁদের সময় আরও দক্ষভাবে কাজে লাগাচ্ছেন।’
মেটেক্স বাড়তি ছুটির দিনটি সবার জন্য একই রাখেনি। এই ছুটি ভিন্ন ভিন্ন দিন হওয়ায় অফিস পুরোপুরি খালি থাকছে না। তবে টথ বলছেন, কোম্পানির বাইরে অনেকে এ পদ্ধতির ব্যাপারে সন্দিহান।
তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাদের বলেছে, এ পদক্ষেপের কারণে আমাদের ব্যবসা অপেশাদার হয়ে উঠছে।’ যাঁরা এ ধরনের মন্তব্য করেন, তাঁদের অনেকে পুরোনো প্রজন্মের মানুষ। তাঁরা এ ধরনের ব্যবস্থা দেখে অভ্যস্ত নন।
তবে এ ব্যবস্থার কারণে কিছুটা সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে। কর্মীদের সব তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করতে হয়। টথ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শুরুতে আমাদের এ বিষয়ে কাজ করতে হয়েছিল।’
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠানই চার কর্মদিবসের দিকে ঝুঁকছে। অনেকের ধারণা, কর্মীদের চাপমুক্ত রাখলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। জাপানে প্রাথমিক গবেষণায় এ পদ্ধতি বেশ সফল প্রমাণিত হয়েছে।
কানাডার টরন্টোর এক ছোট কারখানায় এ পদ্ধতি কাজে লাগানোর চিন্তা করেন কারখানার মালিক জাখারি টথ। তিনি কর্মীদের বলেন, তাঁরা চাইলে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে বাড়তি ছুটি কাটাতে পারেন। এ সুবিধা দেওয়ার পরই তাঁদের মধ্যে ছুটির দিনেও কাজে আসার প্রবণতা দেখা দেওয়া শুরু হয়।
বিজনেস ইনসাইডারকে টথ বলেন, জাপান ও অন্যান্য স্থানে চার কর্মদিবস পদ্ধতি সফল হওয়ার কথা শুনে তিনি ও তাঁর ম্যানেজাররা মিলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টথ কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চিন্তা করে এ পদ্ধতি গ্রহণ করলেও বন্ধের দিনেও কর্মীরা কাজে চলে আসবেন—এমনটা তিনি আশা করেননি। প্রথম প্রথম তাঁকে না জানিয়েই কর্মীরা বন্ধের দিন অফিসে চলে আসতেন।
মেটেক্স করপোরেশনের মালিক ও প্রেসিডেন্ট জাখারি টথ বলেন, ‘কোনো কাজ শেষ করা বাকি থাকলে সেই কর্মী বন্ধের দিনেও কাজে আসতেন। কারণ, ওই কর্মীরা চান না উৎপাদনশীলতা কমে যাক। তাঁরা নিশ্চিত করতে চান, আমরা যেন চার দিন কর্মদিবস চালিয়ে যাই।’
টথ বলেন, ‘কর্মীদের কম কাজ করার সুযোগ দিলে প্রয়োজনে তাঁরা বেশি কাজ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আমি কখনো এমন দেখিনি। এমন আগ্রহ দেখাটা বেশ আনন্দের।’
এ পদ্ধতিতে কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা কমে যায়। টথের এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, কর্মীদের ওপর কাজের চাপ কম দিলে তা ব্যবসার জন্য লাভজনক হতে পারে।
যেসব প্রতিষ্ঠান চার কর্মদিবস মেনে চলে, তাদের আয় স্থিতিশীল, কখনো কখনো তা বেড়েও যায়। কর্মীরা তখন কম চাপ বোধ করেন এবং তাঁদের ওপর ধকল কম যায়। তখন তাঁদের কাজে সৃজনশীলতাও বেড়ে যায়। কর্মদিবস কমে যাওয়ার কারণে টথের কর্মীরা কিছু কিছু প্রকল্প শেষ করার জন্য় যে চাপ বোধ করেন, তা তাঁদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।
মেটেক্সে প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎপাদনশীলতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন টথ। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি কারখানার জন্য পানির মান পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে। চার কর্মদিবস পদ্ধতি অবলম্বনের পর যে কাজ করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগত, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হচ্ছে! টথ এই উৎপাদনশীলতার কৃতিত্ব কর্মীদেরই দেন।
তিনি বলেন, ‘কর্মীরা তাঁদের সময় আরও দক্ষভাবে কাজে লাগাচ্ছেন।’
মেটেক্স বাড়তি ছুটির দিনটি সবার জন্য একই রাখেনি। এই ছুটি ভিন্ন ভিন্ন দিন হওয়ায় অফিস পুরোপুরি খালি থাকছে না। তবে টথ বলছেন, কোম্পানির বাইরে অনেকে এ পদ্ধতির ব্যাপারে সন্দিহান।
তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাদের বলেছে, এ পদক্ষেপের কারণে আমাদের ব্যবসা অপেশাদার হয়ে উঠছে।’ যাঁরা এ ধরনের মন্তব্য করেন, তাঁদের অনেকে পুরোনো প্রজন্মের মানুষ। তাঁরা এ ধরনের ব্যবস্থা দেখে অভ্যস্ত নন।
তবে এ ব্যবস্থার কারণে কিছুটা সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে। কর্মীদের সব তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করতে হয়। টথ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শুরুতে আমাদের এ বিষয়ে কাজ করতে হয়েছিল।’
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে ডেটা চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন এর কাছ থেকে সম্মাননা পেল ব্র্যাক ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান কে-কোমওয়েলের মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জিআইজেডের
২ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরে নেপালে ৪৭৫ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু কাঁচা পাটই রপ্তানি করা হয়েছে ১৫৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে নেপালি সংবাদমাধ্যম মেরিটাইম গেটওয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
২১ ঘণ্টা আগে